রবিবার মানেই মাংস-ভাতের দুপুর৷ অনেকেরই অভ্যাস থাকে মাংসের ঝোল থেকে আগে মেটের টুকরো তুলে নেওয়া৷ কারণ মাংসের ওই অংশ তাঁদের এতই প্রিয়৷ ঝোল ছাড়া মেটের চচ্চড়িও তাঁদের কাছে উপাদেয় বা লোভনীয়৷
2/ 6
মেটে খাওয়ার একাধিক ভাল দিক যেমন আছে, তেমনই অতিরিক্ত মেটে খেলে শরীরের বহু ক্ষতি করে৷ লিভারে কোলেস্টেরলের পরিমাণ খুব বেশি৷ যাঁদের শরীরে কোলেস্টেরল ইতিমধ্যেই বেশি, তাঁরা পারতপক্ষে মেটে খাবেন না৷ নয়তো হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়তে পারে৷
3/ 6
মেটে খেলে শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ভিটামিন এ জমতে পারে৷ সেক্ষেত্রে দেখা দেবে ভিটামিন এ টক্সিসিটি৷ কারণ আনার শরীরের নিজের লিভার বা যকৃৎ অতিরিক্ত ভিটামিন এ প্রক্রিয়া করতে পারে না৷ ফলে ভিটামিন এ প্রয়োজনের তুলনায় বেড়ে গিয়ে দেখা দিতে পারে হাইপারভিটামাইনোসিস৷
4/ 6
ভিটামিন এ-এর ঘাটতি পূরণে চিকিৎসরা মেটে খাওয়ার পরামর্শ দেন৷ কিন্তু সেটাও পরিমিত পরিমাণে৷ তাছাড়া কিছু ওষুধ নিয়মিত নিলে ভিটামিন এ-এর সঙ্গে বিক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ তাই সেই সব ওষুধ নিয়মিত নিলেও ডায়েটে মেটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে৷
5/ 6
ভিটামিন এ বেশি থাকে বলেই প্রেগন্যান্সির সময়ে অতিরিক্ত মেটে খাওয়া চলবে না৷ বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা পর্বের প্রথম অংশে মেটের পরিমাণ হতে হবে পরিমিত৷ চিকিৎসকদের একাংশের অভিমত, অতিরিক্ত ভিটামিন এ সেবনে সদ্যোজাতর জন্মগত ত্রুটি হতে পারে৷
6/ 6
মেনোপজ হয়েছে এমন মহিলা, বৃদ্ধদেরও ডায়েটে মেটে যত কম থাকে. ততই ভাল৷ শিশুদের শরীরে ভিটামিন দরকার ঠিকই৷ কিন্তু তাদের ডায়েটেও মেটে রাখুন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই৷