হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে একটি ভেষজ বা ঔষধি পাওয়া যায়। যা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাশাস্ত্রে বিভিন্ন রকম রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এই ঔষধি শিলাজিৎ নামেই পরিচিত। কিন্তু এটা আসলে কী? নির্দিষ্ট কিছু গাছপালায় পচন ধরিয়ে এই ঔষধ তৈরি করা যায়। এই শিলাজিতের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেলের মতো জরুরি উপাদান। যা শক্তি-ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সেই সঙ্গে ক্ষিপ্রতা এবং সহনশীলতাও বাড়িয়ে দেয়। মহিলা এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই এটা উপকারী। শুধু তা-ই নয়, এটা শরীরকে পুনরুজ্জীবিতও করে তোলে এবং যৌন উত্তেজক হিসেবেও কাজ করে। তবে এই ঔষধি ভেষজ সেবন নিয়ে নানা রকম ভুল ধারণা রয়েছে। সেইগুলোই ভাঙা দরকার। এই প্রসঙ্গে কথা বলছেন কপিভার আর অ্যান্ড ডি-র হেড ডা. কৃতী সোনি।
প্রথম মিথ: কাঁচা অবস্থায় শিলাজিৎ সেবন করলে দুর্দান্ত ফল পাওয়া যাবে। ডা. কৃতীর মতে, অনেকেরই ধারণা থাকে যে, শিলাজিৎকে যদি পরিশ্রুত করে খাওয়া হয়, তাহলে এর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। আদতে বিষয়টা তা নয়। বরং কাঁচা খেলেই সমস্যা হতে পারে। কারণ কাঁচা অবস্থায় এটা বিষাক্ত। শিলাজিৎ আসলে পাথরের নির্যাস, ফলে এর মধ্যে উপস্থিত থাকে ক্যাডমিয়াম, সিসা, আর্সেনিকের মতো ভারী ধাতু। এছাড়া অন্যান্য কেমিকেল ইমপিওরিটিও থাকতে পারে। তাই সেবন করার আগে এইগুলোকে দূর করা বাঞ্ছনীয়।
দ্বিতীয় মিথ: শিলাজিৎ হল ভায়াগ্রার পরিপূরক। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে, শিলাজিৎ কিন্তু ভায়াগ্রার পরিপূরক নয়। আসলে এটি টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। যা লিবিডোর উন্নতি করে। কিন্তু এটা ভায়াগ্রার মতো কার্যকর নয়। একমাত্র ডাক্তারদের পরামর্শেই ভায়াগ্রা সেবন করা উচিত। কিন্তু অন্য দিকে আবার শিলাজিৎ পুরোপুরি ভাবে প্রাকৃতিক উপাদান। এটা শুধু ফার্টিলিটির উন্নতিই করে না, এটা হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতেও সহায়ক। এছাড়াও এই প্রাকৃতিক উপাদান টিস্যু পুনরুজ্জীবিত করতেও সাহায্য করে, ত্বক জেল্লাদার ও সুন্দর হয়।