Season Change Illness: মশার কামড়ে লাল দগদগে দাগ-জ্বর! ওয়েদার চেঞ্জের সময় কীভাবে বাঁচবেন? রইল চিকিৎসকের পরামর্শ

দু-এক ফোঁটা বৃষ্টি এখনও হচ্ছে। তবে সেটা নিম্নচাপের, বর্ষার নয়। এবার শীত আসছে। সন্ধ্যায় বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা লাগে। ভোরের দিকে গায়ে চাদর দিতে হয়। সিজন চেঞ্জের এই সময়টায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে মরশুমি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সর্দি, কাশি, কফ, জ্বর, ভাইরাল সংক্রমণের সঙ্গে কলেরা, ম্যালেরিয়া, পিলিয়া হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে পুরোমাত্রায়। এই সময় শরীর খারাপ হলে তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। বর্ষার বিদায় আর শীতের শুরুর মুখে ম্যালেরিয়ার মতো রোগের প্রকোপও বাড়ে।

বৃষ্টির জমা জলে মশার প্রজনন: মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ চিন্তন কাটারিয়া লোকাল ১৮-কে বলেন, কিছু এলাকায় এখনও বৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে বিভিন্ন রোগ ছড়াচ্ছে। বৃষ্টির কারণে এবং জমা জলে মশা ডিম পাড়ে। ফলে এই সময় ম্যালেরিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সর্দি, কাশির মতো জলবাহিত রোগও হতে পারে।

মশার হাত থেকে বাঁচার ঘরোয়া উপায়: ম্যালেরিয়া থেকে রক্ষা পেতে চাইলে মশার হাত থেকে বাঁচতে হবে। দিনে বা রাতে মশারি ছাড়া ঘুমোলে চলবে না। সন্ধ্যা হলে মশা মারার ধূপ জ্বালানো উচিত, যাতে আশপাশে মশা আসতে না পারে। তবে সবার আগে আশপাশের নোংরা, জমা জল বা আবর্জনার স্তূপ থাকলে অবিলম্বে পরিস্কার করতে হবে। কারণ এই সব জায়গাই মশার প্রজননের জন্য আদর্শ। তাই বাড়ির আশপাশ পরিস্কার রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কোথাও যেন জল না জমে।

মাথায় রাখতে হবে, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগে জ্বর হয়। ডেঙ্গিতে প্লেটলেট কমে যায়। সারতে সময় লাগে। সাধারণ জ্বর বা দুর্বলতা থাকলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। একমাত্র সঠিক চিকিৎসাই এই ধরণের রোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।

মরশুমি রোগ থেকে বাঁচার উপায়: মরশুমি রোগের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে এই পাঁচটি বিষয় অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে।

মশারি ছাড়া ঘুম নয় – ঘুমনোর সময় মশারি খাটাতে হবে। সেটা দিন হোক বা রাত।

মশা মারার ধূপ – সন্ধ্যার সময় মশার প্রকোপ বাড়ে। এই সময়টায় মশা মারার ধূপ জ্বালানো উচিত।

আবর্জনা পরিষ্কার – ঘরের আশপাশে নোংরা-আবর্জনা যেন না থাকে।

জমা জল নিষ্কাশন – জমা জলের মশা বংশবিস্তার করে। তাই জমা জল পরিষ্কার করতে হবে।

চিকিৎসকের পরামর্শ – জ্বর বা দুর্বলতা থাকলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।