Weekend Trip: দিঘা-মন্দারমণি ছাড়ুন! কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে 'ভার্জিন' সমুদ্র সৈকত, উইকেন্ডে ঘুরে আসুন হরিপুর সি-বিচ
- Published by:Ananya Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
Weekend Trip: দিঘা-মন্দারমণি থেকে সামান্য দূরে কাঁথির কাছে অবস্থিত হরিপুর সমুদ্র সৈকতের নির্জনতা ও লাল কাঁকড়ার আকর্ষণ আপনাকে মুগ্ধ করবে।
দিঘা–মন্দারমনি তো অনেক হল এবার ঘুরে আসুন দিঘা থেকে সামান্য দূরে একেবারে ভার্জিন একটি সমুদ্র সৈকত থেকে। আজ আমরা কথা বলছি হরিপুর সমুদ্র সৈকতে। যে হরিপুরে ৬ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ার পরিকল্পনা করেছিল পরমাণু শক্তি মন্ত্রক। তারপর থেকেই হরিপুর সমুদ্র সৈকত পরিচিত লাভ করেছে। কাঁথি থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরের এই সৈকত এখন কাপলদের নতুন গন্তব্য।
advertisement
নির্জন, কোলাহলহীন আর শান্ত পরিবেশই হরিপুর সমুদ্র সৈকতের প্রধান পরিচয়। এখানে পর্যটকের খুব একটা ভিড় নেই বললেই চলে। তবে মাঝেমধ্যে স্থানীয় জেলেদের দেখা মেলে। আর ভোরবেলায় পৌঁছাতে পারলে চোখে পড়ে মাছ ধরার সুন্দর দৃশ্য। চারিদিকে বিস্তৃত ঝাউবন, নোনা হাওয়ার দোল আর ঢেউয়ের ছন্দ সব মিলিয়ে এই সমুদ্র সৈকত আপনার মনকে মুহূর্তেই প্রশান্ত করে।
advertisement
হরিপুরের অন্যতম আকর্ষণ লাল কাঁকড়ার বিচরণ। সৈকতে নেমে একটু হাঁটলেই দেখা যাবে হাজার হাজার লাল কাঁকড়ার দৌড়ঝাঁপ। তবে কাছে যেতেই তারা বালির নিচে হারিয়ে যায়। এই লাল কাঁকড়ার দৃশ্য, নির্জন সমুদ্রতট আর ঝাউবন মিলিয়ে হরিপুর সমুদ্র সৈকত থেকে আপনি একবার ঘুরে এলে বারবার যেতে ইচ্ছে হবে। প্রকৃতির এমন অক্ষত সৌন্দর্য খুব কম জায়গাতেই আজ দেখা যায়, তাই ব্যস্ততা থেকে দূরে একদিনের শান্ত ট্রিপে হরিপুর হবে আপনার জন্য শ্রেয়।
advertisement
হরিপুর সৈকতের পাশেই রয়েছে হরি মন্দির ও বিশ্বনাথের মন্দির, চাইলে আপনি এখানে ঘুরে আসতে পারেন। এই সমুদ্র সৈকতে এখনও কৃত্রিমতার ছোঁয়া লাগেনি, ফলে পরিবেশ শান্ত ও নির্মল। এখানে আজও দেখা যায় খুঁটি পুঁতে মাছ ধরার ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি। মাঝে মাঝে শুটকি মাছ শুকোনো করার দৃশ্যও চোখে পড়ে। চিংড়ির গন্ধে লাল কাঁকড়ার দল সৈকতে আরও বেশি ভিড় জমায়। পুরো এলাকায় এখনও গ্রামবাংলার সরলতা অটুট। এক পর্যটক ইন্দ্রানী মহাপাত্রর কথায়, “হরিপুরে এসে মনে হল, এত শান্ত সমুদ্র আগে কখনও দেখিনি। যেন নিজের জন্যই পুরো সৈকতটা খালি।”
advertisement
হরিপুর যেতে হলে প্রথমে কলকাতা থেকে ট্রেন বা বাসে কাঁথি পৌঁছাতে হবে। সেখান থেকে অটো বা টোটো করে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় এই সমুদ্র সৈকতে। প্রাইভেট গাড়িতেও আসা যায়—এনএইচ ১১৬বি জাতীয় সড়ক ধরে মাত্র আড়াই থেকে তিন ঘণ্টায় কাঁথি পৌঁছান সম্ভব। কাঁথি থেকে কাঁথি–শৌলা রাস্তা হয়ে জুনপুট, সেখান থেকে সমুদ্রপাড় বরাবর দু'কিলোমিটার এগোলেই মিলবে হরিপুর সমুদ্র সৈকত।
advertisement
তবে হরিপুরে থাকার মত কোনও হোটেল নেই এখনও। থাকার জন্য বাঁকিপুটের লজ বা কাঁথির হোটেলই ভরসা। কাঁথিতে ৭০০ টাকা থেকে সহজেই অনেক হোটেল পাওয়া যাবে। যারা দিঘা থেকে ফেরার পথে একটু আলাদা অভিজ্ঞতা খুঁজছেন বা খুব কম খরচে শান্ত পরিবেশে সময় কাটাতে চান, তাদের জন্য হরিপুর আদর্শ। সকালে পৌঁছে ঝাউবনে পিকনিক, সমুদ্রস্নান, লাল কাঁকড়া দেখা—সব মিলিয়ে একদিনে ঘুরে আসার জন্য পারফেক্ট জায়গা এটি।
