পেটের গোলমালের জেরে মনে অস্বস্তি? কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যে কাবু? তাহলে প্রেমানন্দ বাবার এই টোটকা শুনে নিন; চিরতরে বিদায় নেবে সমস্যা
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Premanand Tips for Stomach Cleaning: একবার কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তা গোটা দেহের সিস্টেমটাকেই বিগড়ে দিতে পারে। আসলে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে দেহের সমস্ত জল শুকিয়ে যায়। আর পেট ফোলা, অ্যাসিডিটি বা অম্বল, হার্ট বার্নের সমস্যা তো দেখা দেয়ই। সেই সঙ্গে দেখা দিতে পারে অর্শ বা পাইলসের সমস্যা। যার ফলে সারাক্ষণ ধরে মনের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করতে থাকে।
পেটের সমস্যা নেই, এমন মানুষ বোধহয় গোটা বিশ্বে খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। আর কিছু কিছু মানুষের তো এমন অবস্থা যে, সারাটা সময় ধরেই তাঁদের পেটের সমস্যার সঙ্গে যুঝতে হয়। কারও কারও পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যা থাকে, তো কেউ বা গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন, কারও কারও আবার অ্যাসিডিটি অথবা হার্ট বার্ন বা গলা-বুক জ্বলার সমস্যা থাকে। আর পেটের সমস্যার মধ্যে সবথেকে বড় সমস্যা হল কোষ্ঠকাঠিন্য বা কনস্টিপেশন। একবার কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তা গোটা দেহের সিস্টেমটাকেই বিগড়ে দিতে পারে।
advertisement
আসলে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে দেহের সমস্ত জল শুকিয়ে যায়। আর পেট ফোলা, অ্যাসিডিটি বা অম্বল, হার্ট বার্নের সমস্যা তো দেখা দেয়ই। সেই সঙ্গে দেখা দিতে পারে অর্শ বা পাইলসের সমস্যা। যার ফলে সারাক্ষণ ধরে মনের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে পেট সাফ করাটা জরুরি। আর তার জন্য যদি বৃন্দাবন রসিক সন্ত শিরোমণি প্রেমানন্দ মহারাজজির পরামর্শ শোনা হয়, তাহলে সমস্ত সমস্যা এমনকী মনের অস্বস্তিও অচিরেই দূর হবে। Representational Image
advertisement
পেটের জন্য শাস্ত্রে বর্ণিত নিয়ম: প্রেমানন্দ মহারাজ বলেছেন যে, খাবার সাধারণত বিষ এবং অমৃত হিসেবে কাজ করে। সেই কারণে কতটা খাবার খাওয়া হচ্ছে, সেটা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। আসলে অনেকেরই ক্রেভিং হয়। আর তার পাল্লায় পড়লে পেট কখনওই ঠিক হবে না। তাই প্রথম নিয়মটাই হল যে, শরীর যতটা চাইছে, ঠিক ততটাই খাওয়া উচিত। আর যাঁরা সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করেন, তাঁদের বেশি খাবারের প্রয়োজন হয়। Representational Image
advertisement
আবার যাঁরা কম পরিশ্রম করেন, তাঁদের শরীরে আবার কম খাবারের প্রয়োজন হয়। সেই কারণে শাস্ত্রে একটা নিয়ম রয়েছে। আর সেটা হল - পেটে যতটা জায়গা আছে, তার অর্ধেক খাওয়া। আর বাকি অর্ধেক অংশ জল আর বাতাস দিয়ে ভরা থাকা উচিত। আসলে পেটে যদি বাতাসের জন্য জায়গা রাখা না হয়, তাহলে সেই বাতাস সারা দেহে ছড়িয়ে যায়। যার জেরে মল অন্ত্র থেকে নির্গত হতে চায় না। Representational Image
advertisement
পেটের গোলমাল এড়াতে কী কী করণীয়? প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন যে, প্রথম যে কাজটা করা উচিত, সেটা হল - পেটের গোলমাল যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা। এর জন্য সাত্ত্বিক আহার করা উচিত। আর পরিমিত পরিমাণে আহার করা আবশ্যক। বাজারজাত খাবার যতটা কম সম্ভব খেতে হবে। দিনে তিন বার খেতে হবে, তবে সেটা একেবারে পরিমিত পরিমাণে। এরপর পেট সাফ রাখার জন্য দ্বিতীয় নিয়মটি হল - সকালে ঘুম থেকে উঠেই আধ লিটার জল গরম করে নিতে হবে। Representational Image
advertisement
এরপর ১০-১৫ মিনিটের জন্য বজ্রাসনে বসে সেই উষ্ণ গরম জল পান করে নিতে হবে। তারপর শৌচাগারে যেতে হবে। প্রসঙ্গত গরম জল পান করার সময় পেট খালি রাখতে হবে। আর গার্গল না করেই খেতে হবে। এই নিয়ম নিয়মিত অনুসরণ করলে পেটের গোলমাল হবে না। আর মাথায় রাখতে হবে যে, দিনি অন্তত তিন লিটার জল পান করা উচিত। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে অন্ত্রে ময়লা জমবে না। আর মলও কঠিন হয়ে যাবে না। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দেবে না। পেট পরিষ্কার থাকলে মনও ভাল থাকে। আর চোখে-মুখেও শান্তি বজায় থাকে। Representational
advertisement
পেট পরিষ্কার না থাকলে কী কী করা যেতে পারে? এবার প্রশ্ন হল, পেট পরিষ্কার না থাকলে কী করা উচিত। প্রেমানন্দ বাবার কথায়, সবার আগে যেটা করা উচিত, সেটা হল কম পরিমাণে খেতে হবে আর ভাল খাবারই খাওয়া উচিত। এর পাশাপাশি বাড়িতে বানানো খাবারই খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। বেশি পরিমাণে স্যালাড খাওয়া উচিত। ভারি খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না। নিজের খাবারের লোভ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর পেট পরিষ্কার না হলে প্রচুর হাঁটতে হবে, ব্যায়াম করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে একটা কাজ করা অত্যন্ত জরুরি। এর জন্য দুধের মধ্যে এক চামচ স্মল মায়রোবালান এবং এক চামচ ইসবগুল চূর্ণ মিশিয়ে খেতে হবে। Representational Image
advertisement
আসলে এটা এমন একটা টোটকা, যার প্রভাব সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়। আর এক মাস এই নিয়ম মেনে চললে সারা জীবনের জন্য পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে। আর সবথেকে বড় কথা হল, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে। এছাড়া এর জন্য সাত্ত্বিক আহার করতে হবে। বাইরের খাবারও খাওয়া চলবে না। এর পাশাপাশি সবুজ শাক-সবজি বেশি পরিমাণে খেতে হবে। রাতে মূলত এই টোটকা অবলম্বন করতে হবে। যার ফলে মন আর মাথাও শান্ত থাকবে। আর সেই আনন্দ সকলের চোখে-মুখেও প্রতিফলিত হবে। আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, পেট পরিষ্কার থাকলে কোনও রোগই কাছে ঘেঁষতে পারে না। Representational Image
advertisement