

এই উৎসবের মরশুমে খাওয়া-ঘুম দুটোতেই একাধিক অনিয়ম হয়েছে। ডায়েট শিকেয় তুলে অনেকেই মিষ্টি, তেলেভাজা খাওয়ায় মজেছেন। কিন্তু এই অনিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়ার জেরে এ বার হজমের সমস্যা, ওজন বেড়ে যাওয়াসহ নানা অসুবিধা দেখা দিতে পারে। তাই শরীর থেকে টক্সিনগুলো দূর করতে হবে। নজর দিতে হবে ডিটক্সিফিকেশনে। কিন্তু কী কী করলে শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি ওজন কমতে পারে বা হজমের সমস্যা দূর হতে পারে?


সুগার ফ্রি ডায়েট - পায়েস, মিষ্টি থেকে শুরু করে নানা খাবার। পুজোর মরশুমে শরীরের সুগারের মাত্রা বেড়েছে। তাই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বজায় রাখতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সুগার ফ্রি ডায়েটের উপরে নজর দিতে হবে।


পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে - ডিটক্সিফিকেশনের জন্য সব চেয়ে কার্যকরী জল। দিনে অন্তত ২ লিটার জল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এতে ফ্যাট বার্নের পাশাপাশি শরীরের টক্সিনগুলিও দূর হয়। পর্যাপ্ত জলপান করলে ত্বকও ভালো থাকে।


নানা ধরনের সবজি রাখতে পারেন পাতে - নানা ধরনের মরশুমি সবজি পাওয়া যায় শীতকালে। এগুলি লো ক্যালোরি সম্পন্ন। কিন্তু এগুলিতে ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পাওয়া যায়। রোগপ্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য করে এই ডায়েট।


সকালে গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন - অন্তত ১৫ দিন সকালে এক গ্লাস গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে কোনও রকম চিনি বা অন্য পানীয় যোগ করার দরকার নেই।


ফিট থাকতে হবে - ওজন কমাতে গেলে ডায়েটের পাশাপাশি শরীরচর্চা খুব জরুরি। ওয়ার্ক আউটের ফলে ফ্যাট বার্ন হয়। আর খুব তাড়াতাড়ি ওজনও কমে। শরীরচর্চার জেরে একাধিক হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এতে মুড ভালো থাকে।


মাংস থেকে দূরে থাকা ভালো - ইতিমধ্যেই শরীরে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট ও সুগার রয়েছে। কারণ অনিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়া হয়েছে। তাই হালকা খাবার খাওয়া ভালো। এতে হজম প্রক্রিয়াও ঠিক থাকবে। এ ক্ষেত্রে মাংস এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।


ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার - শরীরে ডিটক্সিফিকেশনের কাজে সাহায্য করে ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার। তাই পোস্ট দিওয়ালি ডায়েটে ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার রাখাটা খুব জরুরি। শশা, গাজর, স্যালাড, ছোলা-মুগ জাতীয় খাবার ও সবুজ শাক-সবজি খাওয়া যেতে পারে।


পর্যাপ্ত ঘুম - নানা পার্টি ও আড্ডার জেরে বন্ধুদের সঙ্গে অনেক রাত পর্যন্ত জাগতে হয়েছে। ঘুমও অনিয়মিত হয়েছে। তাই পর্যাপ্ত ঘুম খুবই জরুরি। পরের দিন উঠে শরীরচর্চা করতে হোক বা ওজন কমানো, প্রতিটি ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত ঘুম কিন্তু অবশ্যই দরকার। কারণ অনিয়মিত খাদ্যগ্রহণ ও ঘুমের অভাবের জেরে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।