আমাদের কাছে যা চিঁড়ে, বাংলার বাইরে সেটাই ‘পোহা’ (Poha)৷ সারা দেশে বিভিন্ন স্বাদে পোহা খাওয়া হয়৷ মিষ্টি এবং নোনতা, দু’রকম স্বাদেই রান্না করা হয় পোহা৷ উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের অনেক অংশে ভুজিয়া, মিষ্টির উপরেও চিঁড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়৷ জলখাবারের জন্য আদর্শ চিঁড়ে বা পোহা শুধু ভারত নয়, বিদেশেও জনপ্রিয়৷ বিভিন্ন স্বাদে পোহা তৈরি করাও খুব সহজ৷ পোহার স্বাস্থ্যগুণও কিছু কম নয়৷ আসুন, দেখা যাক চিঁড়ে বা পোহায় কী কী উপকারিতা আছে (Health benefits of Poha)৷ মধুমেহ রোগীদের জন্য আদর্শ খাবার পোহা৷ ফাইবারে ভরপুর পোহা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে৷ অনেকেই জানেন না, পোহা প্রোবায়োটিক খাবার৷ দীর্ঘ ক্ষণ রোদে শুকিয়ে তৈরি করা এই খাবারে ডাইজেস্টেড কার্ব এবং প্রোটিনের মাত্রা বেশি৷ শরীরের সার্বিক অবস্থার জন্য এই উপাদানগুলি খুবই প্রয়োজনীয়৷ পোহায় আছে শতকরা ৭৬.৯ ভাগ কার্বোহাইড্রেটস৷ পাশাপাশি আছে শতকরা ২৩ ভাগ স্নেহজাতী পদার্থ৷ স্বাস্থ্যকর কার্বস থাকার ফলে প্রাতরাশ হিসেবে পোহা আদর্শ৷ সকালে পোহা খেলে দিনভর শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া সঠিক পথে চলে৷ পরিপাকের দিক দিয়ে চিঁড়ে খুবই সহজপাচ্য৷ প্রাতরাশের পাশাপাশি চিঁড়ে সন্ধ্যার টিফিন হিসেবেও সুস্বাদু৷ চিঁড়ে খেলে গ্যাস বা পেট ফাঁপার সমস্যা কার্যত হয়ই না৷ তাছাড়া চিঁড়ে খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে৷ ফলে বার বার খিদে পাওয়া, যাকে চলতি কথায় বলে ‘চোখের খিদে’, দেখা দেয় না সেই সমস্যাও৷ চিঁড়েতে আয়রনের অংশ আছে বলে অন্তঃসত্ত্বা এবং সদ্য প্রসূতিদের ডায়েটে রাখতে বলা হয়৷ চিঁড়েতে লেবুর রস দিয়ে খেলে, শরীর বেশি পরিমাণে আয়রন শোষণ করে৷ চিঁড়েতে ক্যালরির পরিমাণও কম৷ এক পাত্র চিঁড়ের যে কোনও থাকে ২৫০ ক্যালরি৷ সেইসঙ্গে আছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট৷ তাই শরীরের একাধিক সমস্যাকে রুখে দিতে ভরসা রাখুন বাঙালির আদি অকৃত্রিম চিঁড়ের উপর৷