Parenting Tips: সব কিছুতেই খালি জেদ আর জেদ...! সন্তানের রাগ-বায়না-বিরক্তি কাটবে সহজেই, মা-বাবাদের জন্য ৫ মোক্ষম টোটকা

*রাগী শিশুকে সামলানোর উপায়: একদিন ছ'বছরের আরভ পার্কে খেলছিল, কিন্তু যখন তার পালা আসে না, তখন সে রাগে চিৎকার শুরু করে এবং মাটিতে বসে কাঁদতে শুরু করে। তাকে বকাঝকা বা চুপ করিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে তার মা প্রথমে তার অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করেন এবং ভালবেসে কথা বলেন, আর তাতেই কেল্লাফতে...! ছবি- ক্যানভা।

*বাচ্চাদের রেগে যাওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা। তবে এটি সঠিকভাবে পরিচালনা করা গুরুত্বপূর্ণ। যখন শিশু আক্রমণাত্মক হয়, তখন রেগে যাওয়ার পরিবরতে ইতিবাচক প্যারেন্টিং করাই বাঞ্ছনীয়। এখানে কার্যকর টিপস যা আপনার শিশুকে আগ্রাসন কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে। ছবি- ক্যানভা।

*শিশুর অনুভূতি বুঝুনঃ রাগ শুধু বাহ্যিক প্রতিক্রিয়া নয়, তার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। শিশুর মেজাজ, সারাদিনের অভিজ্ঞতা বা কোনও অব্যক্ত বিষয় তাকে বিরক্ত করতে পারে। আগে বুঝুন বাচ্চা কেন রেগে যাচ্ছে, তারপর খুব কেয়ার নিয়ে তাকে সামলান। ছবি- ক্যানভা।

*শান্ত থাকুনঃ আপনি যদি রাগের মাথায় আপনার সন্তানকে বকেন, তবে সেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করবে। তাই প্রথমে শান্ত থাকুন এবং ভালবাসা দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করুন। আপনার ধৈর্য এবং আচরণ শিশুকে সঠিক পাঠ শেখাবে। ছবি- ক্যানভা।

*সন্তানের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলুন এবং তার রাগের কারণ তাকে বলার সুযোগ করে দিন। যখন শিশু অনুভব করবে তার কথা শোনা হচ্ছে, তখন তার রাগ ধীরে ধীরে কমে যাবে। ছবি- ক্যানভা।

*মনোযোগ বিঘ্নিত করার কৌশলঃ শিশু যদি কোনও বিষয়ে খুব রেগে যায়, তাহলে তার মনোযোগ অন্য কোনও কাজে ঘুরিয়ে দিন। যেমন তার প্রিয় খেলনা নিয়ে খেলা করা, কোনও গল্প বলা বা বাইরে হাঁটাহাঁটি করা। এতে ধীরে ধীরে তার মেজাজ বদলাবে। ছবি- ক্যানভা।

*ইতিবাচক প্যারেন্টিংঃ সঠিক এবং ভুলের মধ্যে পার্থক্য শেখানোর জন্য শিশুকে শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ভালবাসা, ধৈর্য ও বোঝাপড়ার সঙ্গে শিশুকে সঠিক দিশা দেখান। তাকে বুঝিয়ে বলুন কীভাবে রাগকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, যাতে ভবিষ্যতে সে তার আবেগকে আরও ভালভাবে সামলাতে পারে। ছবি- ক্যানভা।

*এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে শুধু বাচ্চার রাগই কমবে না, আপনাদের সম্পর্কও দৃঢ় হবে। মনে রাখবেন, ভালবাসা এবং বোঝাপড়া শিশুর আবেগকে সঠিক পথে চালিত করার সর্বোত্তম উপায়। ছবি- ক্যানভা।