Men's Health: এভাবে সাইকেল চালালেই পুরুষাঙ্গের সমস্যা, যৌন জীবনে নেমে আসবে কালো মেঘ

সাইকেল চালানোর মতো ভালো শরীরচর্চা আর হয় না। তাই সকাল-বিকেল সাইক্লিংয়ের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। নিয়মিত সাইকেল চালালে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পেশির নমনীয়তা বৃদ্ধির পাশাপাশি ওজন কমাতেও দারুণ কাজে আসে সাইক্লিং।

এ তো গেল সাইক্লিংয়ের ভালো দিক। এর কিছু ঝুঁকিও আছে। গবেষণা বলছে, দীর্ঘদিন ধরে সাইকেল চালালে পুরুষদের মধ্যে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের ঝুঁকি বাড়ে। শুধু তাই নয়, স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

ইরেকটাইল ডিসফাংশনে কী হয়: যৌন মিলনের সময় পুরুষাঙ্গ দৃঢ় না হওয়াকেই ইরেকটাইল ডিসফাংশান বলে। এটা পুরুষত্বহীনতা নামেও পরিচিত। এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে স্বাভাবিকভাবেই মানসিক অবসাদ বাড়ে।

আত্মবিশ্বাস ধাক্কা খায়। শুধু তাই নয়, এই সমস্যা স্ত্রী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে। ইরেকটাইল ডিসফাংশনে অনেক সময় যৌনতার ইচ্ছেও চলে যায়।

সাইক্লিং এবং ইরেকটাইল ডিসফাংশন: দীর্ঘক্ষণ সাইকেল চালালে টানা সিটের উপর বসে থাকতে হয়। এতে গোপনাঙ্গ ঘষা খায়। এভাবে একটানা চলতে থাকায় গোপনাঙ্গের স্নায়ুর উপরেও চাপ পড়ে।

এরই পরিণতি ইরেকটাইল ডিসফাংশন। স্নায়ুর উপর চাপ পড়ায় স্পার্ম কাউন্টও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পুরুষের ফার্টিলিটিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

শুধু তাই নয়, টানা সাইকেল চালালে যৌনাঙ্গ ও মলদ্বারের মধ্যবর্তী অঞ্চল অর্থাৎ পেরিনিয়ামে চাপ পড়ে। এই চাপ স্নায়ুর ক্ষতি করার পাশাপাশি রক্ত প্রবাহকে ধীর করে দিতে পারে। ফলে লিঙ্গে খিঁচুনি এবং অসাড়তা সৃষ্টি হয়। এর ফলেও ইরেকটাইল ডিসফাংশন হতে পারে।

গবেষণা কী বলছে: পোল্যান্ডের রক্লো মেডিকেল ইউনিভার্সিটির গবেষণা বলছে, টানা সাইকেল চালিয়ে কোথাও যাওয়ার থাকলে মাঝে মধ্যে দাঁড়ানো উচিত। অর্থাৎ একটানা সিটে বসে থাকা যাবে না। প্রতি দশ মিনিটে একবার দাঁড়ানো উচিত বলে রক্লো মেডিকেল ইউনিভার্সিটির তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। না হলে যৌনাঙ্গ অসাড় হয়ে যেতে পারে।

হার্ভার্ড স্পেশাল হেলথ রিপোর্ট অনুযায়ী, টানা সাইকেল চালানোর ফলে পুরুষাঙ্গের স্নায়ু সংকুচিত হয় এবং ধমনীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সপ্তাহে ৩ ঘণ্টার বেশি সাইক্লিং করা পুরুষদের মধ্যে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

তাহলে কি সাইকেল চালানো বন্ধ করে দেওয়া উচিত: একদমই না। বরং সাইকেল চালালেও যাতে ইরেকটাইল ডিসফাংশন না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এ জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করা যায়। টানা সাইকেল না চালিয়ে মাঝে মধ্যে দাঁড়ানো তো আছেই।

পাশাপাশি সিট যাতে চওড়া হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে। ইউরোপীয় ইউরোলজির একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সরু এবং ভি আকৃতির সিটগুলিতে লিঙ্গে অক্সিজেনের মাত্রা যথাক্রমে ৮২.৪ শতাংশ এবং ৭২.৪ শতাংশ হ্রাস হয়। পাশাপাশি হ্যান্ডেলবারের উচ্চতা আসনের সঙ্গে সমান্তরাল রাখা উচিত। এতেও ইরেকটাইল ডিসফাংশনের ঝুঁকি কমে।