চৈত্র মাস পড়তেই শুরু হয়ে যায় গরমের দাপট৷ পরবর্তী দু’ মাসে গরমের ইনিংস কী হতে পারে, তার পূর্বাভাস দেয় চৈত্রমাস৷ এ সময় বাজারে কাঁচা আম উঠতে শুরু করে৷ তাই টকডাল, আমপানা থেকে শুরু করে চাটনি-বিভিন্ন ভাবে কাঁচা আম খান৷ এর উপকারিতার শেষ নেই৷ তবে কাঁচা আমের আরও অনেক প্রতিভা আছে, তা হয়তো আপনারা জানেনই না৷
কাঁচা আমগুলি ধুয়ে গ্যাস ওভেনে সরাসরি সমস্ত আমটাই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পোড়াতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে আমের খোলা পুড়ে কালো হয়ে যাবে এবং ভেতরের অংশটা নরম হবে। ঠান্ডা হওয়ার পর খোলা ভালো করে ছাড়িয়ে ভেতরের অংশটা মিক্সিতে দিয়ে নুন ও চিনি সহযোগে ব্লেন্ড করে আরও ঠান্ডা জল মিশিয়ে ওপরে বরফকুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করতে হবে। এটি মরিনিং সিকনেসের জন্য উপকারি৷ আপনার যদি অ্যসিডিটির সমস্যা হয় তাহলে এটি তার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে৷ কাঁচা আম যকৃতের জন্যও খুব ভাল৷
গরমে রোজ খান আম ডাল৷ কাঁচা আম খোসা ছাড়িয়ে আঁটি বাদ দিয়ে ডুমো ডুমো করে কেটে রাখতে হবে। গরম জলে সামান্য তেল ও হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে ডাল যেন পুরো গলে না যায়। কড়াইয়ে তেল গরম হলে কালো সরষে ও শুকনো ফোড়ন দিয়ে নেড়েচেড়ে আমের টুকরোগুলি দিয়ে সাঁতলে নিতে হবে। ডালে হলুদ নুন ও চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটতে দিতে হবে সাঁতলানো আমের সঙ্গে। ডাল তৈরি হলে ঠান্ডা করে গন্ধরাজ লেবুর খোলা কুচানো দিয়ে মিনিট পাঁচেক ঢেকে রাখতে হবে। ইচ্ছে হলে ডালের ওপর কাঁচা সরষে তেল আধ চামচ ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া আম দিয়ে মাছের ঝোল ও অনেকেই ভালবাসেন৷ সবুজ কাঁচা আম খাওয়া মাড়ি ও দাঁতের জন্য বেশ উপকারি৷ এটি নিশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে৷