শুধুমাত্র বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসার জন্যই নয় IVF! দেখে নিন কী ভাবে ফার্টিলিটি বা পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বদলে যাচ্ছে প্রবণতা
- Published by:Tias Banerjee
- trending desk
Last Updated:
স্বাভাবিক ভাবে সন্তানধারণ না হওয়ার ফলে প্রচুর সংখ্যক দম্পতি ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ)-এর সাহায্য নিচ্ছেন। IVF-এর নতুন এই ক্ষমতা জানলে চমকে উঠবেন।
বর্তমানে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্ব একটা উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। কারণ কনসিভ বা সন্তানধারণ করতে গিয়ে প্রতিকূলতার শিকার হতে হচ্ছে বেশিরভাগ জনকেই। এদিকে স্বাভাবিক ভাবে সন্তানধারণ না হওয়ার ফলে প্রচুর সংখ্যক দম্পতি ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ)-এর সাহায্য নিচ্ছেন। আর তা দিন দিন বাড়ছে। যদিও নতুন একটা ট্রেন্ড বা প্রবণতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। তবে পরম্পরাগত ইনফার্টিলিটি ট্রিটমেন্টের বাইরে গিয়েও অনেক দম্পতি আইভিএফ-এর সন্ধান করছেন। (Representative Image: AI)
advertisement
আইভিএফ নিয়ে পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গি: চেন্নাই বিড়লা ফার্টিলিটি অ্যান্ড আইভিএফ-এর ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ ডা. শয়না উসমান আলির বিশ্বাস, আইভিএফ এখন আর শুধুমাত্র সেই সমস্ত দম্পতিদের জন্য সমাধান নয়, যাঁরা স্বাভাবিক ভাবে সন্তানধারণ করতে পারছেন না। তাঁর ব্যাখ্যা, বেশ কিছু দম্পতি এখন অ্যানিউপ্লয়েডির জন্য প্রি-ইমপ্ল্যান্টেশন জেনেটিক টেস্টিং (PGT-A) ব্যবহার করে জেনেটিক অস্বাভাবিকতার জন্য ভ্রূণ পরীক্ষা করতে আইভিএফ-এর পথ অবলম্বন করছেন। এই উন্নত স্ক্রিনিং কৌশলটি নির্দিষ্ট জিনগত অবস্থার সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে, যা দম্পতিদের নিজেদের ভবিষ্যৎ সন্তানের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করার সুযোগ দেয়। (Representative Image: AI)
advertisement
আইভিএফ নিয়ে পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গি: চেন্নাই বিড়লা ফার্টিলিটি অ্যান্ড আইভিএফ-এর ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ ডা. শয়না উসমান আলির বিশ্বাস, আইভিএফ এখন আর শুধুমাত্র সেই সমস্ত দম্পতিদের জন্য সমাধান নয়, যাঁরা স্বাভাবিক ভাবে সন্তানধারণ করতে পারছেন না। তাঁর ব্যাখ্যা, বেশ কিছু দম্পতি এখন অ্যানিউপ্লয়েডির জন্য প্রি-ইমপ্ল্যান্টেশন জেনেটিক টেস্টিং (PGT-A) ব্যবহার করে জেনেটিক অস্বাভাবিকতার জন্য ভ্রূণ পরীক্ষা করতে আইভিএফ-এর পথ অবলম্বন করছেন। (Representative Image: AI)
advertisement
advertisement
এই প্রবণতায় পরিবর্তনের আরও একটা কারণ হল, দেরি করে বিয়ে এবং দেরি করে সন্তানধারণ। ডা. আলির কথায়, পরিবার শুরু করার আগে আজকাল মেয়েরা নিজেদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত লক্ষ্যের উপর মনোনিবেশ করছেন। আর সেখানে আইভিএফ সফল প্রেগন্যান্সির একটা ভাল সুযোগ দিচ্ছে। কারণ বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক ফার্টিলিটি কমতে থাকে। সেই কারণে কেরিয়ার-কেন্দ্রিক দম্পতিরা আইভিএফ-এর প্রশংসাই করছেন। (Representative Image: AI)
advertisement
সক্রিয় আইভিএফ-এর উত্থান: এই প্রসঙ্গে বানেরঘাট্টা রোডের ফর্টিস হাসপাতালের ফার্টিলিটি কনসালট্যান্ট, ল্যাপারোস্কোপি অ্যান্ড রোবোটিক সার্জেন ডা. ঊষা বিআর আবার প্রোঅ্যাকটিভ আইভিএফ-এর বিকাশের বিষয়টাকে তুলে ধরলেন। তাঁর ব্যাখ্যা, যেসব দম্পতিকে বন্ধ্যাত্বের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে, তাঁরা কৌশলগত ভাবে নিজেদের পরিবার পরিকল্পনার জন্য আরও বেশি করে আইভিএফ বিকল্প বেছে নিচ্ছেন। (Representative Image: AI)
advertisement
ভ্রূণের মধ্যে কোনও জিনগত অস্বাভাবিকতা রয়েছে কি না, সেটা আসলে আইভিএফ-এর মাধ্যমে পরীক্ষা করা সম্ভব। সবথেকে সুস্থ ভ্রূণ বেছে নেওয়া সম্ভব। যার ফলে প্রেগন্যান্সির যাত্রাটাও হয় সহজ এবং স্বাস্থ্যকর। ডা. ঊষার ব্যাখ্যা, যেসব মহিলার বয়স ৩৫ বছরের বেশি, তাঁদের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাণুর গুণমান এবং সংখ্যা কমতে থাকে। এর পাশাপাশি এগ অথবা এম্ব্রায়ো ফ্রিজিংয়ের মতো ফার্টিলিটি প্রিজার্ভেশন কৌশলেরও জনপ্রিয়তা বাড়ছে বলে দাবি করলেন তিনি। (Representative Image: AI)
advertisement
শারীরিক মিলনে অনীহা: আরও একটা চমকপ্রদ প্রবণতার কথা তুলে ধরলেন ডা. আলি। তাঁর কথায়, শারীরিক মিলন ছাড়াই আইভিএফ-এর মাধ্যমে বাবা-মা হতে চাইছেন অনেক তরুণ দম্পতিই। আর এমন দম্পতির সংখ্যাটাও ক্রমেই বাড়ছে। আসলে সম্পর্ক, ঘনিষ্ঠতা এবং পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিও যে পরিবর্তন হচ্ছে, এটাই তার প্রমাণ। (Representative Image: AI)
advertisement
ভবিষ্যৎ: যেহেতু সামাজিক রীতি-নীতি এবং ব্যক্তিগত গুরুত্ব পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই আইভিএফ-এর ভূমিকাও পরম্পরাগত ভূমিকাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। জিনগত রোগ প্রতিরোধ, বায়োলজিক্যাল ক্লক নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয়ের পাশাপাশি আজকের দিনে আইভিএফ ক্ষমতায়ন, পছন্দ এবং কৌশলগত পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও সাহায্য করছে। এমনটাই মনে করেন ডা. আলি এবং ডা. ঊষার মতো বিশেষজ্ঞরা। (Representative Image: AI)