

ভাইফোঁটা মানেই ভাইয়ের পাতে সাজিয়ে দেওয়া হরেক পদের মিষ্টি৷ কেউ পাঁচ রকম, কেউ বা আবার সাত রকম মিষ্টিতে সাজিয়ে দেন আদরের ভাইয়ের প্লেট৷ সময়ের সঙ্গে মিষ্টির ধরন বদলালেও থেকে গিয়েছে কিছু সাবেকিয়ানা৷ আধুনিক আর সাবেক মিষ্টির সেই মিশেলেই সাজিয়ে তুলুন আপনার ভাইয়ের মিষ্টির পাত৷


ভাইফোঁটার সবচেয়ে সাবেক সন্দেশ ভাইফোঁটা লেখা গোল ক্ষীরের মিষ্টি৷ হাল আমলের মিষ্টির বাজারেও হারিয়ে যায়নি এই মিষ্টির জনপ্রিয়তা৷ সাবেক ছোঁয়া রাখতে দিতে পারেন আপনিও৷


ভাইফোঁটা লেখা মিষ্টির মতোই ভাইয়ের পাতা খাজা দেওয়াও বহু পুরনো রেওয়াজ৷ আপনিও দিয়েছেন নিশ্চয়ই ছোটবেলায়৷ সেই নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনতে এবারও দিতে পারেন খাজা৷


সব সন্দেশ দেবেন না৷ এতে গলা শুকিয়ে যাবে৷ চমচম, পান্তুয়ার মতো কোনও একটা রসের মিষ্টি অবশ্য়ই রাখুন৷ তবে রসের মিষ্টি বেশি খেলে মুখ মেরে যায়৷ তাই এক রকম রসের মিষ্টিই রাখবেন৷


যেহেতু ভাইফোঁটা মিষ্টি কড়াপাকের সন্দেশ, তাই দ্বিতীয় সন্দেশটা অবশ্য়ই রাখুন নরম পাকের৷ ছানার বা নতুন গুড়ের সন্দেশ রাখলেই জমে যাবে৷


এবার আপনি খেলতে পারেন নিজের মতো৷ পঞ্চম মিষ্টিটা হতে পারে যেমন খুশি৷ যদি সাবেকিয়ানা রাখতে চান তাহলে দিন গাঙ্গুরামের ইন্দ্রানী বা নকুড়ের জলভরা তালশাঁস বা ভীমনাগের মতো কোনও রাসভারী মিষ্টি৷


যদি চান আধুনিকতার ছোঁয়া তাহলে দিন বেকড রসগোল্লা, বাটার স্কচ, ম্য়াঙ্গো, ব্ল্য়াক কারেন্ট বা চকোলেট সন্দেশের মতো একদম হাল আমলের ফিউশন মিষ্টি৷


ভাই কি রসমালাই বা রাবড়ি খেতে ভালবাসেন? তাহলে বাটিতে করে সাজিয়ে দিতে পারেন রসমালাই বা রাবড়ি৷ দিতে পারেন ছোট ভাঁড়ে মিষ্টি দইও৷ তবে রসমালাই বা রাবড়ি দিলে কিন্তু আর দই দেবেন না৷ যেকোনও একটা দিন৷


সবই মিষ্টি কেন দেবেন? প্য়াস্ট্রি, টার্ট, ডোনাট বা ম্য়াক্রোঁ দিলে কেমন হয়? ভাই সত্য়িই অবাক হয়ে যাবেন৷ আপনিও বাহবা পাবেন অন্য় রকম প্লেট সাজিয়ে৷


অনেক খাওয়া দাওয়ার পর একটু ঠান্ডা খেতে মন চায়৷ শেষপাতে আইসক্রিম, পুডিং বা চকোলেট মুজের মতো কিছু পেলে কে না খুশি হবে?