

Apple Cider Vinegar-এর একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। Google-এ সার্চ করলেই এর একাধিক ভালো দিক সম্পর্কে জানা যাবে। বহু ফুড ব্লগ রয়েছে, যাতে এর উপকার সম্পর্কে জানা যাবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভিনিগারের একাধিক খারাপ দিকও রয়েছে। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের থেকে বেশি ACV খাবারে ব্যবহার করলে তা শরীরে একাধিক প্রভাব ফেলতে পারে।


আপেলে থাকা সুগারকে অ্যালকোহলে পরিণত করে তৈরি হয় অ্যাপল সাইডার ভিনিগার (Apple Cider Vinegar)। এর মধ্যে থাকে yeast-ও। উৎসেচনের জন্য যাতে ব্যাকটেরিয়াও বাদ যায় না। আর এর জন্যই এই ভিনিগারে অ্যাসেটিক অ্যাসিডের মাত্রা সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে। যা খেলে ওজন কমতে পারে, ব্লাড সুগার (Blood Sugar) নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে, কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু এটি বেশি পরিমাণে শরীরে গেলে একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে।


ত্বকের সমস্যা - ত্বকের বিভিন্ন প্রোডাক্টে ACV-র প্রয়োগ হলেও এর অপকারিতাও রয়েছে। অনেকেই বলে থাকে ত্বক ভালো রাখতে ACV ব্যবহার করতে কিন্তু ACV ত্বকে সরাসরি ব্যবহার করলে ত্বকে সমস্যা হতে পারে। জ্বালাভাব ও ব়্যাশেসও আসতে পারে।


গ্যাস্ট্রোপ্যারেসিস - ব্লাড সুগার কমাতে ACV অনেকাংশেই সাহায্য করে। এটি খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। কিন্তু টাইপ ১ ডায়াবেটিস (Diabetes) যাঁদের রয়েছে, এই ভিনিগার শরীরে গেলে তাঁদের গ্যাস্ট্রোপ্যারেসিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।


রক্তে ও হাড়ে পটাসিয়াম কমিয়ে দেয় - বেশ কিছু সমীক্ষা বলছে, বেশি মাত্রায় অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খেলে তা শরীরে একাধিক ক্ষতি করতে পারে। তার মধ্যে পটাসিয়ামের (Potassium) মাত্রা কমিয়ে দেওয়া অন্যতম। পটাসিয়াম হার্টবিট সচল রাখতে ও মাসল সক্রিয় রাখতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে। ফলে যদি পটাসিয়াম কমে যায় শরীরে, তা হলে তা থেকে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।