Diabetes Control Tips: ১০ টাকার 'রামবাণ'...! এক চুমুকেই খেলা শেষ সুগারের, ডায়াবেটিস তো কমবেই, শরীর থেকে নিংড়ে বার করবে 'জেদি' বদ কোলেস্টেরলকেও

ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা আজকাল খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। কোটি কোটি মানুষ এই দুটি সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে।

ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য মানুষকে প্রতিদিন ওষুধ খেতে হয়। আপনি যদি ওষুধের সঙ্গে একটি উদ্ভিজ্জ নির্যাস পান করা শুরু করেন, তাহলে আপনি উভয় রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে পেঁয়াজের নির্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা ৫০% কমাতে পারে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রাও মারাত্মকভাবে হ্রাস পেতে পারে। পেঁয়াজের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে, যা অনেক দামি ওষুধকে হার মানিয়ে দিতে পারে।

জার্নাল অফ মেডিসিনাল ফুডে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, পেঁয়াজে কোয়ারসেটিন নামক একটি ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে, যা অ্যান্টি-ডায়াবেটিক এবং অ্যান্টি-হাইপারলিপিডেমিক বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। একইভাবে, পেঁয়াজে পাওয়া সালফার যৌগগুলি শরীরে ইনসুলিনের কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে, যা চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

নিয়মিত পেঁয়াজের নির্যাস সেবন করলে শরীরের বিপাক ক্রিয়া উন্নত হয়, যা চিনির মাত্রা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনে। ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত একটি গবেষণায়, টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেঁয়াজের নির্যাসকে একটি ঔষধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

পেঁয়াজের রস শরীরে প্রবেশের পর বিভিন্ন স্তরে কাজ করে। এটি লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে, যা গ্লুকোজ বিপাক উন্নত করে। এটি অগ্ন্যাশয়কে ইনসুলিন উৎপাদনে উদ্দীপিত করে। পেঁয়াজের নির্যাস রক্ত ধমনীর প্রদাহ কমায়, যা কোলেস্টেরল জমা হওয়া বন্ধ করে।

এটি শরীরে চর্বি জমা হতে বাধা দেয় এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এছাড়া, পেঁয়াজের নির্যাস কোষের ক্ষতি করে এমন ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। পেঁয়াজের নির্যাস অনেক রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ রিচা শর্মার মতে, চিনি এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পেঁয়াজ সঠিকভাবে খাওয়া উচিত।

প্রথমে একটি মাঝারি আকারের পেঁয়াজ নিন। এটি পরিষ্কার করে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর একটি সুতির কাপড় দিয়ে এর রস ছেঁকে নিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি পেঁয়াজের নির্যাস পান করুন। আপনি চাইলে এটি আধা কাপ হালকা গরম জলে মিশিয়ে পান করতে পারেন।

স্বাদ ভাল করতে, আপনি পেঁয়াজের রসে কয়েক ফোঁটা মধু বা লেবুর রস যোগ করতে পারেন। এটি নিয়মিত সেবন করলে, ১৫-২০ দিনের মধ্যে পার্থক্য দেখা দিতে শুরু করে। তবে, চিনি রোগীদের এটি খাওয়ার আগে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

পেঁয়াজ অবশ্যই একটি প্রাকৃতিক ঔষধ, কিন্তু এটি সকলের জন্য উপকারী নয়। গ্যাস, অ্যাসিডিটি বা আলসারে ভুগছেন এমন রোগীদের কাঁচা পেঁয়াজ বা পেঁয়াজের রস এড়িয়ে চলা উচিত।

নিম্ন রক্তচাপ বা নিম্ন রক্তে শর্করার রোগীদেরও ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করার পরেই এটি খাওয়া উচিত। রক্ত পাতলা করার ওষুধ গ্রহণকারী ব্যক্তিদেরও সতর্ক থাকা উচিত, কারণ পেঁয়াজ রক্ত পাতলা করতে কাজ করে।

গর্ভবতী মহিলাদেরও পেঁয়াজের রস এড়িয়ে চলা উচিত। পেঁয়াজের রস খাওয়ার পরে যদি জ্বালা, অ্যালার্জি, মাথা ঘোরা বা কোনও অস্বাভাবিক লক্ষণ অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সঙ্গে অবশ্যই যোগাযোগ করুন।