‘সানডে হো ইয়া মনডে রোজ খাও আন্ডে’। আজও লোকের মুখে মুখে ফেরে এই বিজ্ঞাপনী জিঙ্গল। শুধু তাই নয় স্বাস্থ্য রাখতে ডিমের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসাও করেন মানুষ। বহু ভ্রান্ত মিথও রয়েছে আমজনতার মনে।
2/ 9
অনেকে মনে করেন, প্রতিদিন ডিম খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। আবার অনেকের ধারণা কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে ডিম। তবে নতুন একটা গবেষণায় জানা গেল, হার্টের ব্যামোর ভয়ে যাঁরা ডিম খাওয়া বন্ধ করেছেন, তাঁরা ফের চালু করতেই পারেন।
3/ 9
গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ই-লাইফে। গবেষকরা দেখিয়েছেন, প্রতিদিন একটা ডিম কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে। ডিমে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। তবে এটা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী না ক্ষতিকারক তা নিয়ে প্রচুর পরস্পরবিরোধী গবেষণা এবং সমীক্ষা রয়েছে।
4/ 9
২০১৮ সালে চিনের হার্ট জার্নালে একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছিল, সেখানে প্রায় হাফ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের উপর ফলো আপ চালিয়ে দেখা যায়, যাঁরা প্রতিদিন ডিম খান না তাঁদের তুলনায় যাঁরা প্রতিদিন ডিম খান তাঁদের হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
5/ 9
এই প্রসঙ্গে বেজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিডেমিওলজি অ্যান্ড বায়োস্ট্যাটিস্টিকস বিভাগের এমএসসি এবং গবেষক ল্যাং প্যান বললেন, ‘ডিম খাওয়ার সঙ্গে প্লাজমায় কোলেস্টেরল বিপাকের সম্পর্ক খুব কম গবেষণায় উঠে এসেছে। তাই আমরা এটার সমাধান করতে চেয়েছিলাম’।
6/ 9
প্যান এবং তাঁর সঙ্গীরা ৪,৭৭৮ জনকে বেছে নেন। তাঁদের মধ্যে ৩,৪০১ জনের হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল। বাকি ১৩৭৭ জনের এরকম কোনও সমস্যা ছিল না। ‘টার্গেটেড নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রেসন্যান্স’ নামক এক প্রকার বিশেষ পদ্ধতিতে প্লাজমায় উপস্থিত বিভিন্ন উপাদান পরীক্ষা করেন বিজ্ঞানীরা।
7/ 9
বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রতিদিন একটি ডিম হেমারেজ স্ট্রোকের ঝুঁকি ২৬ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। হেমারেজ স্ট্রোকে মৃত্যুর ঝুঁকি ২৮ শতাংশ পর্যন্ত কমায় এবং কার্ডিয়োভাসকুলার ডিজিজে মৃত্যুর ঝুঁকি ১৮ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়।
8/ 9
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিডেমিওলজি অ্যান্ড বায়োস্ট্যাটিস্টিকস বিভাগের বরিষ্ঠ অধ্যাপক লিমিং লি বলছেন, ‘বর্তমানে চিনের স্বাস্থ্য নির্দেশিকায় প্রতিদিন একটা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আমাদের কাজ কার্ডিওভাসকুলার রোগের সামগ্রিক ঝুঁকি কমাতে এই নিয়ে সাধারণ মানুষকে আরও উৎসাহিত করা’।
9/ 9
তবে ডিমের এই উপকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।