সূর্যরশ্মিতে ঝলসে যাওয়া ত্বক বাড়িতে আসা ‘এই’ ফলেই হবে ম্যাজিক
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
যেহেতু বেশিরভাগ ত্বকের ক্যানসার এবং ত্বকের অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার পিছনে ইউভি রশ্মি এবং সূর্যের চড়া আলো দায়ী, তাই এই গবেষণা সেই ক্ষেত্রে পথ দেখাবে বলে আশা করা যায়!
ঈশপের গল্পের যে শেয়াল আঙুরের থোকা পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি, তার দুঃখ কোনও দিন ঘুচবে না। কিন্তু তাই বলে আপনিও আঙুরফল টক বলে একে দূরে সরিয়ে রাখবেন না। নতুন গবেষণা বলছে যে আঙুরে যেহেতু পলিফেনলস থাকে, তাই এই ফল সানবার্ন বা রোদে পোড়া ভাব এবং অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাব রোধ করতে পারে।
advertisement
জার্নাল অফ আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডারমাটোলজিতে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে যে যেসব ব্যক্তি এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাঁদের রোদে পোড়া ভাব আটকে দেওয়ার ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে তাঁদের কোষে ইউভি রশ্মি রোধ করার ক্ষমতাও। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ এঁরা আঙুর জাতীয় ফল খেয়েছেন নিয়ম করে।
advertisement
আমেরিকার বার্মিংহাম আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্রেইগ এলমেট বলেছেন যে আঙুর আসলে একটি ভক্ষণযোগ্য সানস্ক্রিন। এমনিতে মুখে যে সানস্ক্রিন লাগানো হয়, আঙুর খেলে তার উপরে আরও একটি বাড়তি সুরক্ষার স্তর তৈরি হয়ে যায়। ক্রেইগ এই গবেষণার মূল কাণ্ডারী। ২.২৫ কাপ আঙুরের সমান আঙুরের পাউডার টানা ১৪ দিন খেলে সেটা ইউভি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব আটকাতে কতটা সক্ষম, তা এই গবেষণায় দেখা হয়েছে।
advertisement
এই সমীক্ষায় যাঁরা অংশগ্রহণ করেছিলেন তাঁদের আলাদা করে দুইবার পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রথমে আঙুর খাওয়ার আগের পর্যায়ে দেখা হয়েছে ইউভি রশ্মি তাঁদের ত্বকে ঠিক কতটা ক্ষতি করেছে। এই সব ব্যক্তিদের প্রথমে এরিথেমার সামান্য ডোজ দেওয়া হয়েছিল। এটা দেওয়ার জন্য এই সব ব্যক্তিদের ত্বকে লাল ভাব দেখা যায়। সামান্য ইউভি রেডিয়েশনে এই লালভাব আরও বেড়ে যায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে দুই সপ্তাহ আঙুর খাওয়ার পর আবার পরীক্ষা করা হয়।
advertisement
দুই সপ্তাহ পর দেখা যায় যে আঙুর খাওয়ার জন্য এই সব ব্যক্তিদের ৭৪.৮% ইউভি রশ্মি প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সব ব্যক্তিদের ত্বকের থেকে নমুনা নিয়ে বায়োপ্সি করা হয়। দেখা যায় যে আঙুর খাওয়ার জন্য ত্বকের ডিএনএ-র ক্ষতি অনেক কম হয়েছে।
advertisement