বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমনটাই ভেবে নেওয়া হয় পুরুষরাই বিবাহ বহিভূত সম্পর্কে বেশি আগ্রহী। এ যেন এক চিরাচরিত ভাবনা। এই দৃষ্টিভঙ্গিতে মনে করা হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সম্পর্কে পুরুষই প্রতারণা করে বেশি। যার একটি প্রধান কারণ, তাঁদের সঙ্গীরা যৌনতার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন বা ফেলেছেন। তাই নতুন যৌন সঙ্গীর খোঁজ থেকেই নতুন সম্পর্কে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন পুরুষ সঙ্গী।
নৃতত্ববিজ্ঞানী এবং Untrue বইটির লেখক ওয়েডনেসডে মার্টিন এই বিষয়ে সমাজবিজ্ঞানী, যৌন গবেষক এবং নৃতত্ত্ববিদদের সাক্ষাত্কার নিয়ে ব্যাখ্যা করেন, "নতুন একটি গবেষণা এই সংক্রান্ত মিথ্যা ধারণাগুলিকে সংশোধন করছে। মার্টিন ব্যাখ্যা করেন, "মহিলারা পুরুষদের চেয়ে কম যৌনতা পছন্দ করেন না - তবে তারা যৌন মিলনে বিরক্ত হন।"
নারীদের প্রতারণার কারণ
বিশেষজ্ঞ মার্টিন বলেন যে এটাও একটা মিথ যে মহিলারা মানসিক কারণে প্রতারণা করেন এবং পুরুষরা যৌন কারণে প্রতারণা করেন। এক্ষেত্রে মিসৌরি স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল মহিলার উপর করা একটি সমীক্ষাকে উদ্ধৃত করে তিনি উদাহরণ দিয়েছেন যেখানে দেখা গিয়েছে একটি বড় সংখ্যক মহিলারা স্বীকার করেছেন যে প্রতারণার জন্যই তাঁরা অ্যাশলে ম্যাডিসন ওয়েবসাইট ব্যবহার করেছিলেন।
‘অ্যাশলে ম্যাডিসন’-এর এই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, যে সব নারীরা বিবাহিত জীবনে তেমন সুখী নন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারাই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন। মন নয়, এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে শরীর ছাড়া আর কিছুই তেমন গুরুত্ব পায় না। পরকীয়ায় জড়িত এই নারীদের প্রত্যেকেই নিজেদের পছন্দ-অপছন্দ সোজা-সাপ্টা তাদের পরকীয়া সম্পর্কের সঙ্গীকে জানিয়ে দেন।
সমীক্ষা বলছে, নিজেদের বিবাহিত জীবনের অপূর্ণতা এবং হতাশা থেকেই বেশির ভাগ নারীরা এই ধরনের সম্পর্কে জড়ান। শারীরিক অপূর্ণতাও কিন্তু বড় কারণ হয়। তবে এই সব পরকীয়া সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ নারীরাই ব্যক্তি স্বাধীনতাকেই বেশি গুরুত্ব দেন। অধ্যাপক ওয়াকারের মতে, নিজেদের বিবাহিত জীবনের সুপ্ত বাসনা এবং প্রসমিত কামনাকে পূরণ করতেই অধিকাংশ নারীরা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।