লিপস্টিক লাগানোর সঠিক উপায়টা জানা নেই? তাহলে সেটা জেনে নিয়ে এবার পুজোর লুকে বাজিমাত করুন

পুজোর মরশুম তো শুরু হয়েই গেল। কেনাকাটা শেষে এবার পার্লার কিংবা স্যালঁয় ঢুঁ মারার পালা। নজর কাড়ার জন্য পুজোর সাজে সেজে উঠতে হবে তো! আর সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য প্রসাধনী সামগ্রী অপরিহার্য। তবে প্রসাধনীর মধ্যে লুকটাই পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে শুধুমাত্র লিপস্টিক। অর্থাৎ শুধুমাত্র ঠোঁট দুটো রাঙিয়েই সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে ওঠা সম্ভব।

লিপস্টিক অনেকটা ফোকাল পয়েন্টের মতো কাজ করে। যা ঠোঁটের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আসলে আমাদের মুখমণ্ডলের মধ্যে সবথেকে লক্ষণীয় ফিচার হল ঠোঁট। আর ভাল একটা শেড বেছে নেওয়া হলে তো কথাই নেই! বোল্ড রেড, সফট পিঙ্ক কিংবা সাল্ট্রি প্লাম - লিপস্টিকের এই প্রতিটি শেডই কারওর ব্যক্তিত্ব এবং স্টাইলের ভিন্ন দিক প্রতিফলিত করতে পারে। আবার ভাইব্র্যান্ট রেড আত্মবিশ্বাস এবং ক্ষমতার প্রতীক। আবার ন্যুড শেডের মধ্যে দিয়ে ফুটে ওঠে সৌন্দর্য, ক্লাস।

এখানেই শেষ নয়, লিপস্টিকের একটা আলাদাই ব্যাপার আছে। এটা নিজেদের মধ্যে একটা ভাল লাগার অনুভূতিও তৈরি করে। আর লিপস্টিক লাগানোর ফলে আত্মবিশ্বাস এবং ক্ষমতায়নের অনুভূতি বাড়ে। আবার সামান্য কোনও আউটফিটকেই এটা অসাধারণ স্টেটমেন্ট আউটফিটে রূপান্তরিত করতে পারে। মেজাজের উপরেও লিপস্টিকের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তবে লিপস্টিক সঠিক ভাবে লাগাতে হবে। নাহলে লুকের বারোটা বেজে যেতে পারে। যাইহোক শিখে নেওয়া যাক লিপস্টিক লাগানোর সঠিক উপায়।

সঠিক ভাবে লিপস্টিক লাগানোর জন্য প্রথমে ঠোঁটকে সুন্দর করে তুলতে হবে। ঠোঁটের যত্নের জন্য এক্সফোলিয়েট করা আবশ্যক। তার পাশাপাশি ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজও করতে হবে। এতে ঠোঁটটা একটা মসৃণ ক্যানভাসের রূপ নেবে। যে লিপস্টিক লাগাবেন, তার সঙ্গে মানানসই শেডের লিপ লাইনার বেছে নিতে হবে। এভাবে ঠোঁটের ধারগুলিকে লিপ লাইনার দিয়ে ঠিক করে নিতে হবে।

এবার ঠোঁটের মাঝখান থেকে বাইরের দিকে পছন্দসই লিপস্টিক লাগিয়ে নিতে হবে। লিপস্টিক লাগানো হয়ে গেলে অতিরিক্ত লিপস্টিক শুষে নেওয়ার জন্য টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। এতে লিপস্টিক অনেক ক্ষণ থাকে। তবে যাঁরা গ্লসি লিপস পছন্দ করেন, তাঁরা লিপস্টিক লাগানো হয়ে গেলে হালকা করে লিপ গ্লস লাগিয়ে নিতে পারেন।