Unhealthy Drinks in Winter: নারকেল জল, ছাতুর শরবত, মৌরিজল-সহ ৫ স্বাস্থ্যকর পানীয় ভুলেও গলায় ঢালবেন না শীতে! সর্দি-কাশি-গলা ব্যথা-শ্লেষ্মা-জ্বর থেকে উঠতেই পারবেন না!

শীতে ঠান্ডা বাতাসে এক কাপ গরম চা বা স্যুপ সত্যিই আরামদায়ক। কিন্তু আপনি কি জানেন যে "স্বাস্থ্যকর" দেখতে সব পানীয়ই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়? কিছু পানীয়, উপশম দেওয়ার পরিবর্তে, সর্দি, কাশি এবং কফের মতো সমস্যাগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ অনিল প্যাটেল জোর দিয়ে বলেন যে "শীতকালে, কিছু ঠান্ডা পানীয় শরীরে কফ এবং শ্লেষ্মা বৃদ্ধি করে। এর ফলে সর্দি, ফ্লু এবং গলা ব্যথা সাধারণ হয়ে ওঠে।" এই পানীয়গুলির অতিরিক্ত ব্যবহার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে। অতএব, শীতকালে কোন পাঁচটি পানীয় এড়ানো উচিত তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।

নারকেল জল - গ্রীষ্মের বন্ধু, শীতের শত্রু৷ নারকেল জল গ্রীষ্মের 'সুপার ড্রিঙ্ক', কিন্তু শীতকালে এই গুণই সমস্যার সৃষ্টি করে। শীতে এটি শরীরের তাপমাত্রা কমায় এবং কফ বৃদ্ধি করে। যারা সাইনাস বা গলা ব্যথায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। যদি আপনাকে অবশ্যই পান করতে হয়, তাহলে খুব কম পরিমাণে এবং শুধুমাত্র দিনের বেলায় পান করুন।

দই বা কলা দিয়ে তৈরি স্মুদি - শীতকালে স্মুদি পান করার অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয় কারণ এতে দ্রুত শ্লেষ্মা তৈরি হয়। দই এবং কলা উভয়ই ঠান্ডা প্রকৃতির। এগুলো একসঙ্গে খেলে শরীরে শ্লেষ্মা উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। এর ফলে গলায় ভারী ভাব, কাশি এবং সর্দি লাগার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।শীতকালে, স্মুদি বা দই-কলা খুব সকালে বা রাতে খাওয়া উচিত নয়।

ছাতুর শরবত-গ্রীষ্মকালে শীতলকারী 'সুপারফুড' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কিন্তু শীতকালে এটি খেলে বিপরীত প্রভাব পড়তে পারে। ছাতুর শীতল প্রকৃতি শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়, যা সর্দি-কাশির তীব্রতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। আপনি হালকা গরম দুধ, আদা চা, অথবা হলুদের দুধের মতো উষ্ণ পানীয়ের পরিবর্তে এটি ব্যবহার করতে পারেন।

মৌরির জল – মৌরি, যা কফ দোষ বৃদ্ধি করে, হজমের জন্য চমৎকার, তবে এর প্রকৃতি ঠান্ডা। ঠান্ডা আবহাওয়ায় মৌরির জল পান করলে শরীরে কফ দোষ বৃদ্ধি পেতে পারে, যার ফলে গলা ব্যথা, শ্লেষ্মা জমা এবং কাশি হতে পারে। যদি আপনি এটি পান করতে অভ্যস্ত হন, তাহলে হালকা গরম পান করুন। এটি এর শীতল প্রভাব কমাবে।

লেবুজল বা ডিটক্স ওয়াটার – ঠান্ডা লাগার ক্ষেত্রে গলার জন্য ক্ষতিকর। লেবুজল এবং ডিটক্স ওয়াটার শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে, কিন্তু ঠান্ডা লাগার ক্ষেত্রে গলার জন্য বিপজ্জনক। লেবু অ্যাসিডিক এবং গলা জ্বালা করতে পারে, এবং এর শীতল বৈশিষ্ট্য শ্লেষ্মা উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে। এটি হালকা গরম জল এবং মধুতে মিশিয়ে খান। এটি সুস্বাদু এবং গলার জন্য প্রশান্তিদায়ক।

যদি আপনি ঠান্ডা লাগা এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান, তাহলে এই ঠান্ডা পানীয়ের পরিবর্তে কিছু উষ্ণ ভেষজ পানীয় পান করুন৷ আদা-তুলসী চা, হলুদ-দুধ, দারুচিনি এবং লবঙ্গ দিয়ে তৈরি ক্বাথ, গরম জল বা গরম স্যুপ পান করতে পারেন উষ্ণতার জন্য৷