কিন্তু বর্তমানে এই সব খাদ্যশস্য স্বাস্থ্যরক্ষার রত্নভাণ্ডার হিসাবে পরিচিতি পাচ্ছে। মেডিক্যাল নিউজ টু’ডে-এর মতে, মিলেট ফ্রি র্যাডিক্যাল ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে, যা অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। একই সময়ে, এটি জীবনচর্যাগত বেশ কিছু রোগের হাত থেকে বাঁচার শক্তি জোগায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এধরনের খাবারের উপর জোর দিয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন দানাশস্য শরীরের পক্ষে উপকারী ৷
১. বাজরা- বাজরা হল পুষ্টির ভাণ্ডার। এতে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, থায়ামিন, নিয়াসিন, রিবোফ্লাভিন প্রভৃতি অনেক ধরনের ভিটামিন ও খনিজ একত্রে পাওয়া যায়। মেডিকভার হাসপাতালের ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, বাজরা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সম্ভব হয়। একই সঙ্গে হার্টের স্বাস্থ্যও বজায় থাকে।
৩. জোয়ার- জোয়ারকে ইতিমধ্যেই সুপারফুড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জোয়ার পেট ঠান্ডা রাখে। এই বিশেষ দানাশস্যটি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স-এ সমৃদ্ধ। ওয়েবএমডি অনুসারে, জোয়ারে ফেনোলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। এ ছাড়া এতে অনেক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। নিয়মিত জোয়ার খেলে ওজন কমানো যায়। জোয়ার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণও করতে পারে।
৫. ছোলা- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মিলেটের ভিতর ছোলাকে অন্তর্ভুক্ত না করলেও এই মোটা দানার উপকারী শস্য। ছোলাও পুষ্টির ভাণ্ডার। ছোলায় সর্বাধিক প্রোটিন পাওয়া যায়, তাই বিশেষজ্ঞরা আটা-ময়দার সঙ্গে ছোলার বেসন মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন। ছোলার মধ্যে শীতল প্রভাব থাকে, যা পেট ঠান্ডা রাখে। ছানা কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়। Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন