Chikungunya Returns: ২০ বছর আগে হাহাকার ফেলেছিল, আবার ফিরে এসেছে সেই ভয়ঙ্কর ভাইরাস, ৫৬০ কোটি মানুষ চরম বিপদে

Last Updated:
ভাইরাসটি মানবজতিকে ভোলেনি। সে আবার ফিরে এসেছে। ভয়ঙ্কর ভাইরাসটির নাম হল চিকুনগুনিয়া, যা আবার ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। বিপদের আশঙ্কায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র তরফে সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। এশিয়া এবং ইওরোপের অনেক দেশে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে
1/7
২০০৫ সালে এক প্রাণঘাতী ভাইরাস বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছিল। এই ভাইরাসের সংক্রমণে বহু মানুষ প্রাণ হারান, বহু মানুষ দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগতে থাকেন। ভাইরাসটি ভারত মহাসাগর অঞ্চলের ছোট ছোট দেশ থেকে ছড়াতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে ভারত-সহ একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
২০০৫ সালে এক প্রাণঘাতী ভাইরাস বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছিল। এই ভাইরাসের সংক্রমণে বহু মানুষ প্রাণ হারান, বহু মানুষ দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগতে থাকেন। ভাইরাসটি ভারত মহাসাগর অঞ্চলের ছোট ছোট দেশ থেকে ছড়াতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে ভারত-সহ একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
advertisement
2/7
পরবর্তীতে এই ভাইরাসের প্রকোপ কমে যায় এবং ধীরে ধীরে মানুষ এর নামও ভুলে যায়। কিন্তু ভাইরাসটি মানবজতিকে ভোলেনি। সে আবার ফিরে এসেছে। ভয়ঙ্কর ভাইরাসটির নাম হল চিকুনগুনিয়া, যা আবার ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। বিপদের আশঙ্কায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র তরফে সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। এশিয়া এবং ইওরোপের অনেক দেশে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
পরবর্তীতে এই ভাইরাসের প্রকোপ কমে যায় এবং ধীরে ধীরে মানুষ এর নামও ভুলে যায়। কিন্তু ভাইরাসটি মানবজতিকে ভোলেনি। সে আবার ফিরে এসেছে। ভয়ঙ্কর ভাইরাসটির নাম হল চিকুনগুনিয়া, যা আবার ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। বিপদের আশঙ্কায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র তরফে সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। এশিয়া এবং ইওরোপের অনেক দেশে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
advertisement
3/7
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মেডিকেল অফিসার ডায়ানা রোজাস আলভারেজ-এর মতে, বর্তমানে প্রায় ৫.৬ বিলিয়ন মানুষ ১১৯টি দেশে চিকুনগুনিয়া সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এই ভাইরাসটির উপসর্গ হল হাই ফিভার, অসহনীয় গাঁটে ব্যথা। এই রোগের এখনও পর্যন্ত কোনও টিকা নেই এবং এটি মশার মাধ্যমে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মেডিকেল অফিসার ডায়ানা রোজাস আলভারেজ-এর মতে, বর্তমানে প্রায় ৫.৬ বিলিয়ন মানুষ ১১৯টি দেশে চিকুনগুনিয়া সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এই ভাইরাসটির উপসর্গ হল হাই ফিভার, অসহনীয় গাঁটে ব্যথা। এই রোগের এখনও পর্যন্ত কোনও টিকা নেই এবং এটি মশার মাধ্যমে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
advertisement
4/7
বর্ষাকালে চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়, কারণ এই সময় মশার বাড়বাড়ন্ত। ২০২৫ সালে চিকুনগুনিয়ার ক্রমবর্ধিত  সংক্রমণ ২০০৫ সালের ভয়ঙ্কর মহামারীর স্মৃতি আবারও ফিরিয়ে এনেছে। সেই সময় এই রোগ প্রথম শুরু হয়েছিল ভারত মহাসাগরের ছোট ছোট দ্বীপপুঞ্জ থেকে এবং তখন ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন।
বর্ষাকালে চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়, কারণ এই সময় মশার বাড়বাড়ন্ত।২০২৫ সালে চিকুনগুনিয়ার ক্রমবর্ধিত সংক্রমণ ২০০৫ সালের ভয়ঙ্কর মহামারীর স্মৃতি আবারও ফিরিয়ে এনেছে। সেই সময় এই রোগ প্রথম শুরু হয়েছিল ভারত মহাসাগরের ছোট ছোট দ্বীপপুঞ্জ থেকে এবং তখন ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন।
advertisement
5/7
আবারও দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে চিকুনগুনিয়া ভাইরাস। লা রিইউনিয়ন, মায়োট ও মরিশাসের মতো দ্বীপগুলিতে চিকুনগুনিয়ার পরিস্থিতি গুরুতর। লা রিইউনিয়নের প্রায় ৩৩ শতাংশ মানুষ ইতিমধ্যে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখন এই ভাইরাস ওইসব দ্বীপ থেকে আফ্রিকার দেশ যেমন মাদাগাস্কার, সোমালিয়া ও কেনিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পৌঁছেছে, যেখানে মহামারির মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে ভারতে। ভারতে চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বর্ষাকালে মশার উপদ্রব বেড়ে যায় ভারতে, ফলে চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকিও অনেক বেশি বাড়ে।
আবারও দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে চিকুনগুনিয়া ভাইরাস। লা রিইউনিয়ন, মায়োট ও মরিশাসের মতো দ্বীপগুলিতে চিকুনগুনিয়ার পরিস্থিতি গুরুতর। লা রিইউনিয়নের প্রায় ৩৩ শতাংশ মানুষ ইতিমধ্যে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখন এই ভাইরাস ওইসব দ্বীপ থেকে আফ্রিকার দেশ যেমন মাদাগাস্কার, সোমালিয়া ও কেনিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পৌঁছেছে, যেখানে মহামারির মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে ভারতে। ভারতে চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বর্ষাকালে মশার উপদ্রব বেড়ে যায় ভারতে, ফলে চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকিও অনেক বেশি বাড়ে।
advertisement
6/7
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ইউরোপে চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের বাড়তে থাকা প্রাদুর্ভাব নিয়ে বেশি চিন্তিত, কারণ আগে এই ভাইরাস কেবল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশগুলিতেই ছড়াত। তবে জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক ভ্রমণের কারণে এখন এই ভাইরাস ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়ছে। ১ মে থেকে ফ্রান্সে প্রায় ৮০০ চিকুনগুনিয়া সংক্রমণের ঘটনা রিপোর্ট হয়েছে, যার মধ্যে ১২টি স্থানীয় সংক্রমণ। কিছু ক্ষেত্রে মানুষ ভ্রমণ না করেও শুধুমাত্র মশার কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি ইতালিতেও একটি সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। চিকুনগুনিয়া মূলত এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়, যেগুলি দিনে কামড়ায়। এই মশাই ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাসও ছড়ায়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ইউরোপে চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের বাড়তে থাকা প্রাদুর্ভাব নিয়ে বেশি চিন্তিত, কারণ আগে এই ভাইরাস কেবল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশগুলিতেই ছড়াত। তবে জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক ভ্রমণের কারণে এখন এই ভাইরাস ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়ছে। ১ মে থেকে ফ্রান্সে প্রায় ৮০০ চিকুনগুনিয়া সংক্রমণের ঘটনা রিপোর্ট হয়েছে, যার মধ্যে ১২টি স্থানীয় সংক্রমণ। কিছু ক্ষেত্রে মানুষ ভ্রমণ না করেও শুধুমাত্র মশার কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি ইতালিতেও একটি সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। চিকুনগুনিয়া মূলত এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়, যেগুলি দিনে কামড়ায়। এই মশাই ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাসও ছড়ায়।
advertisement
7/7
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ মানুষ চিকুনগুনিয়া সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠেন, তবে সংক্রমণের পরেও কয়েক সপ্তাহ বা মাস গাঁটের ব্যথা থেকে যেতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সতর্ক করেছে যে, যতদিন না এই রোগের কোনও টিকা বা চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হচ্ছে, ততদিন প্রতিরোধই একমাত্র কার্যকর উপায়। চিকুনগুনিয়া থেকে বাঁচতে মশা তাড়ানোর উপকরণ ব্যবহার, ফুলহাতা পোশাক পরা, মশারি ব্যবহার এবং আশপাশের জমে থাকা জল পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ মানুষ চিকুনগুনিয়া সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠেন, তবে সংক্রমণের পরেও কয়েক সপ্তাহ বা মাস গাঁটের ব্যথা থেকে যেতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সতর্ক করেছে যে, যতদিন না এই রোগের কোনও টিকা বা চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হচ্ছে, ততদিন প্রতিরোধই একমাত্র কার্যকর উপায়। চিকুনগুনিয়া থেকে বাঁচতে মশা তাড়ানোর উপকরণ ব্যবহার, ফুলহাতা পোশাক পরা, মশারি ব্যবহার এবং আশপাশের জমে থাকা জল পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি।
advertisement
advertisement
advertisement