ডিম খেতে কে না ভালোবাসেন! বিশেষ করে বাদামি ডিম, এর কুসুম তো বটেই, এমনকী সাদা অংশটাও যেন স্বাদে বেশি বলে মনে হয় সাদা ডিমের চেয়ে। কিন্তু সাদা ডিমের সঙ্গে এই বাদামি ডিমগুলোর সত্যিই কি কোনও তফাত রয়েছে? এমনিতে ডিমে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন থাকে যা আমাদের সবচেয়ে সাশ্রয়ী পুষ্টির উৎস। কিন্তু গ্রীষ্মকালে বাদামি ডিম খাওয়া কি নিরাপদ?
বাদামি ও সাদা ডিমের মধ্যে কি কোনও পার্থক্য রয়েছে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাদা ও বাদামি ডিমের মধ্যে আসলে কোনও পার্থক্য নেই। কিন্তু বেশিরভাগ ডিম-প্রেমীরা বাদামি ডিমের স্বাদ বেশি ভালোবাসেন। যদিও সাদা ও বাদামি ডিমের পুষ্টিগুণ একই- শুধুমাত্র মুরগির ডায়েটের উপরেই বাদামি ও সাদা ডিমগুলোর রঙ আর স্বাদ নির্ভর করে।
বাদামি ডিম দামি কেন?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মুরগির জাতের পার্থক্যের জন্যে বাদামি ডিম প্রাকৃতিক এবং দামী হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে শুধুমাত্র কয়েকটি কারণের জন্যে দুই ধরনের ডিম আলাদা হয়। সাদা পালক ও সাদা কানের লতি রয়েছে এমন মুরগির থেকে আমরা সাদা ডিমগুলো পাই। অন্য দিকে, লাল পালক ও লাল কানের লতিযুক্ত মুরগিদের দেওয়া ডিম বাদামি হয়। লাল পালকযুক্ত মুরগিগুলো আকারে বড় হয় বলে তাদের বেশি খাবারের প্রয়োজন হয়। এই ব্যাপারটাই ডিমের আকার এবং রঙেও প্রভাব ফেলে।
গরমে বাদামি ডিম খাওয়া কি নিরাপদ?
একটি বাদামি ডিমে ৭২-৮০ ক্যালোরি থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতে সাহায্য করে। যদিও প্রচলিত বিশ্বাস গরমকালে প্রত্যেকদিন ডিম খেলে হজমের গোলমাল হয়, কারণ ডিম গরম প্রকৃতির খাবার এবং শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়। কিন্তু গ্রীষ্মকালে সঠিকভাবে ডিম খেলে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি পৌঁছায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, একদিনে একটি অথবা দুটি ডিম খেলে সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য ঠিক থাকে এবং শরীরের তাপমাত্রা বেশি বাড়ে না। অবশ্য শরীরে বেশি তাপ উৎপন্ন করতে পারে এমন কিছু ডায়েটে রাখলে হজমের সমস্যা, অস্বস্তি ও ডায়েরিয়া হতে পারে। তাই মন খুলে খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া উচিত।