Rice & Potato in Blood Sugar: যত খুশি ভাত আর আলু খান এই ভাবে! চলবে পাউরুটি-কলাও! একফোঁটাও বাড়বে না ব্লাড সুগার! শুধু জানুন সঠিক ‘নিয়ম’!

আপনার কি ডায়াবেটিস আছে নাকি সম্প্রতি আপনার ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে? যদি তাই হয়, তাহলে আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অনেক পরিবর্তন এনেছেন। আপনার পছন্দের খাবার ত্যাগ করা থেকে শুরু করে মিষ্টি এবং পানীয়, অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। কিন্তু এটা কি নিজের উপর একটু বেশি কঠোরতা নয়?

কল্পনা করুন, যদি আপনি আগের মতোই একই স্যান্ডউইচ বা স্মুদি উপভোগ করতে পারতেন, কিন্তু অপরাধবোধ ছাড়াই? এটা কি অবিশ্বাস্য অনুভূতি হত না? আচ্ছা, এটা সম্ভব! আপনাকে যা করতে হবে তা হল আপনি কীভাবে কিছু খাবার খাচ্ছেন সে সম্পর্কে সচেতন থাকা। সম্প্রতি, ফিটনেস কোচ র‍্যালস্টন ডি'সুজা তার ইনস্টাগ্রাম পেজে চারটি খাবারের হ্যাক শেয়ার করেছেন যা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা আরও ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

পাউরুটিতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যার কারণে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করে। কিন্তু এখানে সুসংবাদ: আপনি এটি এড়াতে পারেন। কীভাবে? র‍্যালস্টন রুটির টুকরো টোস্ট করার পরামর্শ দেন অথবা ফ্রিজে রেখে খাওয়ার আগে টোস্ট করে নিন। এটি করলে গ্লাইসেমিক সূচক প্রায় অর্ধেক কমে যেতে পারে, কারণ আরও প্রতিরোধী স্টার্চ তৈরি হয়।

যদি আপনি কলাপ্রেমী হন, তাহলে হলুদ পাকা কলার পরিবর্তে সবুজ কাঁচা কলা খাওয়ার কথা বিবেচনা করুন। এইভাবে, আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির চিন্তা না করেই আপনি কলা উপভোগ করতে পারবেন। র‍্যালস্টন বলেন যে কাঁচা কলা খেলে পাকা কলার তুলনায় ২০ গুণ বেশি প্রতিরোধী স্টার্চ পাওয়া যায়। এগুলোর স্বাদ মিষ্টি নাও হতে পারে, তবে চিনির বৃদ্ধি নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না।

ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায়ই সাদা ভাতের মতো উচ্চ জিআইযুক্ত খাবার গ্রহণ সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ফিটনেস কোচের মতে, যদি আপনি প্রথমে ভাত রান্না করেন এবং তারপর ফ্রিজে রাখেন, তাহলে এতে প্রতিরোধী স্টার্চ বৃদ্ধি পায়। যখন এটি ঘটে, তখন সাদা ভাতের গ্লাইসেমিক সূচক হ্রাস পায়, যার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। আরও কী, আপনি এমনকি কম ক্যালোরিও শোষণ করতে পারেন।

সাদা ভাতের মতোই, আলুতে থাকা প্রতিরোধী স্টার্চও প্রথমে রান্না করে ফ্রিজে রাখলে বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, আলুর গ্লাইসেমিক সূচক হ্রাস পায়। এটি কেবল আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে না বরং উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া খাওয়ানোর মাধ্যমে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে।