

ফলের খোসা হোক বা ওই সব্জির রস, ত্বকের যত্নে কোনও আপোস নয়। অনেক কিছু করেও অবশ্য বেশির ভাগ সময়েই কাঙ্ক্ষিত ফল মেলে না। এ ক্ষেত্রে ক্লে বা মাটির শরণাপন্ন হওয়া যায়। বাজারে পাওয়া যায় বিভিন্ন রকমের ক্লে। আর এই ক্লে প্যাকের রয়েছে অসামান্য রূপটানের গুণাবলী।


যে কোনও প্যাক মুখে লাগানোর উদ্দেশ্যই হল ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা। ক্লে কিন্তু শুধুই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে না। এটি স্কিন পোরস বা ত্বকের ছিদ্র দিয়ে সমস্ত ধুলোময়লা বের করে দেয়, ত্বকের অ্যালার্জি দূর করে এবং সানবার্ন থাকলে সেটা দূর করে। ইংরেজি নাম ক্লে হলেও আক্ষরিক অর্থে এটি ঠিক কাদা বা মাটি নয়। এটি আসলে আগ্নেয়গিরির লাভার ছাই ও গাছগাছালির জৈব মিশ্রণ। যে কারণে এর মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন ও সিলিকা। ত্বকে কোলাজেন উৎপন্ন হওয়া বজায় রেখে টান-টান ভাব নিয়ে আসে ক্লে। জেনে নিন কোন ক্লে কী ভাবে ব্যবহার করবেন ত্বকের যত্নে--


ফুলার্স আর্থ- ফুলার্স আর্থ বা মুলতানি মাটি সামান্য গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাখুন। অনেকের জন্য এটা একটু শুষ্ক মনে হতে পারে, তাই সপ্তাহে এক দিনের বেশি ব্যবহার না করাই ভালো।


কেওলিন ক্লে-- মুলতানি মাটির মতোই সহজলভ্য এবং সস্তা কেওলিন ক্লে। সাদা, গোলাপি, লাল ও হলুদ এই চারটি রঙে পাওয়া যায় কেওলিন ক্লে। সাদা সব দিক থেকে ত্বক ভালো রাখে, লাল ময়লা তুলে দেয়। হলুদ রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। গোলাপি লাল আর সাদার মিশ্রণ, অতএব দুই দিক থেকেই কাজে দেয়।


বেন্টোনাইট ক্লে-- এই ক্লে জলের সঙ্গে মিশিয়ে মাখলেই কাজে আসে। এটি ত্বক পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি তার টান-টান ভাব বজায় রাখে।


ফ্রেঞ্চ গ্রিন ক্লে-- এটিকে এলিট ক্লে বা সি ক্লেও বলা হয়। আয়রন অক্সাইড আর গাছগাছালির পচনে এই মাটি তার সবজেটে রং পায়। রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করার জন্য এই ক্লে খুব উপকারী।