'বয়স' অনুসারে বাচ্চার 'ওজন' কত হওয়া উচিত...? কোন 'বয়সে' কত 'Weight' পারফেক্ট! কী বলেন ডাক্তার? দেখে নিন সম্পূর্ণ ওয়েট চার্ট

শিশুদের ওজন তালিকা: স্থূলতার সমস্যা এখন শিশুদের মধ্যেও সাধারণ হয়ে উঠেছে। শিশুদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যার দিক থেকে চিনের পরেই ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তাই এই নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ।

শিশুদের ওজন তালিকা: স্থূলতার সমস্যা এখন শিশুদের মধ্যেও সাধারণ হয়ে উঠেছে। শিশুদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যার দিক থেকে চিনের পরেই ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতে ১ কোটি ৪৪ লক্ষেরও বেশি শিশু স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। এই বিষয়ে চমকপ্রদ তথ্য তুলে ধরেছে ইউনিসেফ।

সমীক্ষা বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে, ভারতে স্থূলকায় শিশুর সংখ্যা ২ কোটি ৭০ লক্ষে পৌঁছতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের স্থূলতা অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং খারাপ জীবনযাত্রার কারণে হয়।

ডাক্তাররা কী বলেন?
অন্যদিকে, এই বিষয়ে ডাক্তাররা বলছেন, যদি শিশুদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা থাকে, তাহলে তা দূর করার জন্য অবিলম্বে সক্রিয় হওয়া উচিত বাবা মায়েদের। বস্তুত এই বয়সে ক্যালোরি বেশি খরচ হয় কিন্তু শক্তি খরচ কম হয়। এই কারণেই শিশুদের ওজন বাড়তে শুরু করে।

শিশুদের স্থূলতা এই সমস্যাগুলিকে ডেকে আনে:
শিশুদের স্থূলতার সমস্যা বৃদ্ধির কারণে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, অস্টিওআর্থারাইটিস, পিত্তথলি, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, শিশুদের স্থূলতা ক্যানসারের কারণও হতে পারে। চলুন দেখে নেওয়া যাক চার্ট অনুযায়ী কোন বয়সে কত ওজন থাকলে তা স্বাভাবিক।

এই প্রতিবেদনে আজ আমরা রাজস্থানের বিকানেরের শ্রী কৃষ্ণ নিউরোস্পাইন হাসপাতালের সিনিয়র গাইনোকোলজিস্ট এবং আইভিএফ বিশেষজ্ঞ ডাঃ শৈফালি দধিচ তুঙ্গারিয়ার কাছ থেকে জানার চেষ্টা করব, জন্ম থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত ওজন কতটা বাড়ে ও কমে এবং কোন বয়সে কতটা ওজন স্বাভাবিক?

বয়স ছেলে মেয়ে
১ বছর ১০.২ কেজি ৯.৫ কেজি
২ থেকে ৫ বছর ১২.৩ থেকে ১৬ কেজি ১২ থেকে ১৫ কেজি

৩ থেকে ৫ বছর ১৪ থেকে ১৭ কেজি ১৪ থেকে ১৬ কেজি
৫ থেকে ৮ বছর ২০ থেকে ২৫ কেজি ১৯ থেকে ২৫ কেজি
৯ থেকে ১১ বছর ২৮ থেকে ৩২ কেজি ২৮ থেকে ৩৩ কেজি

১২ থেকে ১৪ বছর ৩৭ থেকে ৪৭ কেজি ৩৮ থেকে ৪২ কেজি
১৫ থেকে ১৮ বছর ৫৮ থেকে ৬৫ কেজি ৫৩ থেকে ৫৪ কেজি

শিশুদের স্থূলতা কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
- পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় ফলমূল ও শাকসবজির পরিমাণ বৃদ্ধি করুন।
- জাঙ্ক ফুড, পিৎজা, বার্গার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।

-মিষ্টি এবং ঠান্ডা পানীয় খাওয়া বন্ধ করুন।
-ব্যায়াম করা জরুরি।
-শারীরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি করতে হবে।

বাচ্চাদের পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি।
ঘুমের অভাবও ওজন বৃদ্ধির একটি কারণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, বাচ্চাদের ৭-৮ ঘণ্টা নিবিড় ঘুমানোর পরামর্শ দিন। এতে কেবল শিশুদের ওজন নিয়ন্ত্রণ হবে না, শিশুরা সতেজ এবং সক্রিয় বোধ করবে।

অস্বীকৃতি: আমাদের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য। সামাজিক মাধ্যম ও নানা ওয়েবসাইটের পাওয়া তথ্য থেকে এই জ্ঞান নেওয়া হয়েছে। তবে এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের বা আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।