*সাধারণত মহালয়ার দিনে প্রতিমার চক্ষুদান করা হয় এই বাড়িতে। চলতি বছরে মহালয়া পুজোর সাত দিন আগে নয়, পুজোর অনেক আগেই হয়েছে। ফলে পুজোর এত আগে প্রতিমা চিত্রায়িত করলে বা চক্ষুদান করলে একদিকে নোংরা হয়ে যাওয়া, অন্যদিকে মল মাসে প্রতিমার চক্ষুদান দুটো নিয়েই সমস্যা থাকে। তাই শোভাবাজার রাজবাড়ির বড় তরফের সভা পন্ডিত জয়ন্ত কুশারীর নিয়ম মেনেই পুজোর ১২ দিন আগে সম্পন্ন হল প্রাণ প্রতিমার চক্ষুদান।
*রাজবাড়ির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য দেবরাজ মিত্র জানাচ্ছেন, "২৫ জন করে প্রবেশ করানো হবে। তার বেশি নয়। স্যানিটাইজ হয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে হবে। তার পরে ঠাকুর দর্শন করে ঠাকুর দালানের পাশের গেট দিয়ে বেরিয়ে যেতে হবে।" তবে বাড়ি প্রতিদিন স্যানিটাইজ করা হবে। দর্শনার্থী প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ করা হলেও, বাকি উপাচারে কোনও ছেদ নেই।
*দেবরাজ শোনাচ্ছিলেন এবার ভোগের চাহিদা অন্যবারের চেয়ে অনেক বেশি। ১৪০০ কেজি ভোগ থাকবে। প্রসঙ্গত, এই বাড়িতে ভোগ বলতে মিষ্টান্ন ভোগ। মেদিনীপুর থেকে আসা এক বিশেষ পরিবার ভিয়েন বসায়। তারাই এবার ভোগ বানাবে। মোতিচূর, নিমকি, পদ্ম নিমকি, পান্তুয়া, পেঁড়া সব কিছুই থাকছে ভোগে। অনেকেই ইতিমধ্যেই ভোগ নেওয়ার জন্যে আগে থেকেই আবেদন জানিয়ে এসেছেন।