Kunal Ghosh News: 'কঠিন দিনেও দল ছাড়িনি'! ফের বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ! দল ছাড়া নিয়ে জল্পনায় ইতি? কাদের আসল চেহারা সামনে আসার কথা বললেন তিনি জানেন?

Last Updated:
Kunal Ghosh News: কুণাল ঘোষকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
1/8
কলকাতা: পুজো মিটতেই বিদ্রোহের সুর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মুখে? কুণালের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট এবং বক্তব্য ঘিরে জোর জল্পনা বঙ্গ রাজনীতিতে। গত শুক্রবার কুণাল বলেন, 'প্রচণ্ড শক্তিশালী কেউ আমাকে পছন্দ না করলে আমিও তাঁকে পছন্দ করি না। পুরু হতে ভালোবাসি, আলেকজান্ডার নয়।' কুণাল ঘোষ আরও বলেন, 'মমতাদির সঙ্গে দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক, কিছু লোকের গাত্রদাহ হয়েছিল। ল্যাজে আগুন দিলে আমি হনুমান হিসেবে পারফর্ম করব। কর্মীরা কেন নেতাদের ওপর নজর রাখবে না?'
কলকাতা: পুজো মিটতেই বিদ্রোহের সুর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মুখে? কুণালের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট এবং বক্তব্য ঘিরে জোর জল্পনা বঙ্গ রাজনীতিতে। গত শুক্রবার কুণাল বলেন, 'প্রচণ্ড শক্তিশালী কেউ আমাকে পছন্দ না করলে আমিও তাঁকে পছন্দ করি না। পুরু হতে ভালোবাসি, আলেকজান্ডার নয়।' কুণাল ঘোষ আরও বলেন, 'মমতাদির সঙ্গে দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক, কিছু লোকের গাত্রদাহ হয়েছিল। ল্যাজে আগুন দিলে আমি হনুমান হিসেবে পারফর্ম করব। কর্মীরা কেন নেতাদের ওপর নজর রাখবে না?'
advertisement
2/8
এই পরিস্থিতিতে কুণাল ঘোষকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবারের পোস্টে কুণাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো বিজয়ার শুভেচ্ছা বার্তার ছবিটি তুলে ধরেন। এরপরই লেখেন, 'প্রথম সরাসরি আলাপ ১৯৮৭ সালে। তারপর দীর্ঘ যোগাযোগ। প্রবল স্নেহ পেয়েছি। নানা অভিজ্ঞতা। সেই সুসম্পর্কটা অনের সহ্য হয়নি। ফলে জীবনের কঠিনতম দিন দেখেছি আমি। অভিমান ছিল কিন্তু দল ছাড়ার কথা ভাবিনি, ছাড়িনি।'
এই পরিস্থিতিতে কুণাল ঘোষকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবারের পোস্টে কুণাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো বিজয়ার শুভেচ্ছা বার্তার ছবিটি তুলে ধরেন। এরপরই লেখেন, 'প্রথম সরাসরি আলাপ ১৯৮৭ সালে। তারপর দীর্ঘ যোগাযোগ। প্রবল স্নেহ পেয়েছি। নানা অভিজ্ঞতা। সেই সুসম্পর্কটা অনের সহ্য হয়নি। ফলে জীবনের কঠিনতম দিন দেখেছি আমি। অভিমান ছিল কিন্তু দল ছাড়ার কথা ভাবিনি, ছাড়িনি।'
advertisement
3/8
এরপর রবিবার দুর্গাপুজোর কার্নিভালেও উপস্থিত ছিলেন কুণাল। কিন্তু তার আগে রবিবার সকালে ফের ফেসবুকে একগুচ্ছে কথা লেখেন কুণাল ঘোষ। কী লিখেছেন তিনি? কুণাল লেখেন, সবিনয় নিবেদন।1) আমি তৃণমূল কংগ্রেসের গর্বিত সৈনিক। কঠিন দিনেও দল ছাড়িনি। 
2) আমি মমতাদির বাড়ি বিজয়া করতে গেছি। দেখা হয়েছে। কথা হয়েছে। ভালোবেসে বিপুল মিষ্টি দিয়েছেন। নিয়ে এসে সবাইকে দিয়ে খেয়েছি। এতদিনের যোগাযোগ, মাঝখানের ঝড়বৃষ্টিতেও ছেদ পড়েনি। দিদি দিদিই।
এরপর রবিবার দুর্গাপুজোর কার্নিভালেও উপস্থিত ছিলেন কুণাল। কিন্তু তার আগে রবিবার সকালে ফের ফেসবুকে একগুচ্ছে কথা লেখেন কুণাল ঘোষ। কী লিখেছেন তিনি? কুণাল লেখেন, সবিনয় নিবেদন।1) আমি তৃণমূল কংগ্রেসের গর্বিত সৈনিক। কঠিন দিনেও দল ছাড়িনি।2) আমি মমতাদির বাড়ি বিজয়া করতে গেছি। দেখা হয়েছে। কথা হয়েছে। ভালোবেসে বিপুল মিষ্টি দিয়েছেন। নিয়ে এসে সবাইকে দিয়ে খেয়েছি। এতদিনের যোগাযোগ, মাঝখানের ঝড়বৃষ্টিতেও ছেদ পড়েনি। দিদি দিদিই।
advertisement
4/8
কুণাল আরও লেখেন,3) অভিষেক ব্যানার্জিকে সেনাপতি বলি। বিজয়ার শুভেচ্ছা দশমীতেই জানিয়েছি। ও নেতা। শ্রদ্ধা করি। ভালোও বাসি। ব্যক্তিগতভাবেও কৃতজ্ঞ। 
4) আমি কৈশোর থেকে রাজনীতি করেছি। তারপর সাংবাদিকতা। তারপর আবার প্রত্যক্ষ রাজনীতি। আরও দশরকম কাজ করি। চাকরি, সাংবাদিকতা, গল্প উপন্যাস, ক্লাব, নানা সামাজিক কাজ। আমার কিছু নিজস্ব দোষ-গুণ আছে। সংশোধন, ভারসাম্যের চেষ্টা করি। তবু কিছু বিষয়ে বদলাতে পারি না। তাই টুং টাং শব্দ হয়।
কুণাল আরও লেখেন,3) অভিষেক ব্যানার্জিকে সেনাপতি বলি। বিজয়ার শুভেচ্ছা দশমীতেই জানিয়েছি। ও নেতা। শ্রদ্ধা করি। ভালোও বাসি। ব্যক্তিগতভাবেও কৃতজ্ঞ।4) আমি কৈশোর থেকে রাজনীতি করেছি। তারপর সাংবাদিকতা। তারপর আবার প্রত্যক্ষ রাজনীতি। আরও দশরকম কাজ করি। চাকরি, সাংবাদিকতা, গল্প উপন্যাস, ক্লাব, নানা সামাজিক কাজ। আমার কিছু নিজস্ব দোষ-গুণ আছে। সংশোধন, ভারসাম্যের চেষ্টা করি। তবু কিছু বিষয়ে বদলাতে পারি না। তাই টুং টাং শব্দ হয়।
advertisement
5/8
শেষে কুণালের সংযোজন,5) চলার পথে নানারকম মানুষ দেখি। বিশেষ বিশেষ সময়ে এদের আসল চেহারাটা বোঝা যায়। উপকার হয়।
6) ওপরওয়ালায় বিশ্বাস রাখি। আত্মবিশ্বাস রাখি, ছিলাম, আছি, থাকব। আমার মত করেই। আমার কাছে জীবনের মানেটা আমার চিন্তা অনুযায়ীই থাকবে। সকলের সঙ্গে নাও মিলতে পারে।
শেষে কুণালের সংযোজন,5) চলার পথে নানারকম মানুষ দেখি। বিশেষ বিশেষ সময়ে এদের আসল চেহারাটা বোঝা যায়। উপকার হয়।6) ওপরওয়ালায় বিশ্বাস রাখি। আত্মবিশ্বাস রাখি, ছিলাম, আছি, থাকব। আমার মত করেই। আমার কাছে জীবনের মানেটা আমার চিন্তা অনুযায়ীই থাকবে। সকলের সঙ্গে নাও মিলতে পারে।
advertisement
6/8
যদিও গত শুক্রবার থেকেই কুণাল ঘোষের লাগাতার ফেসবুক পোস্ট নানা জল্পনার তৈরি করেছে। এক্স হ্যান্ডলে কুণাল ঘোষ এমনও লেখেন, 'শুভ বিজয়া। বড়দের প্রণাম। বাকিদের শুভেচ্ছা। ঝড়-জলের মধ্যে দিয়ে চলেছে আমার জীবন। ঈশ্বর এবং আপনাদের শুভেচ্ছায় কাজ করে যাই এবং যাব। আশা করি, আগামী দিনের চলার পথে, যদি কোনও বাঁকও থাকে, আপনাদের আশীর্বাদ পাব। একটা অন্যরকম মাঠ যেন দেখতে পাচ্ছি, ব্যক্তিগত খেলা নয়, সমষ্টির বৃহত্তর অঙ্কের ম্যাচ। এখনও ঝাপসা, স্পষ্ট নয়। তবে ব্যাট করার প্রস্তুতি রাখছি, সসম্মানে। খেলতে আপনি নাও নামতে পারেন। তবে গ্যালারিতে আসবেন বা টিভিতে দেখবেন। সঙ্গে থাকবেন। ম্যাচ জমবে। জয় মা।'
যদিও গত শুক্রবার থেকেই কুণাল ঘোষের লাগাতার ফেসবুক পোস্ট নানা জল্পনার তৈরি করেছে। এক্স হ্যান্ডলে কুণাল ঘোষ এমনও লেখেন, 'শুভ বিজয়া। বড়দের প্রণাম। বাকিদের শুভেচ্ছা। ঝড়-জলের মধ্যে দিয়ে চলেছে আমার জীবন। ঈশ্বর এবং আপনাদের শুভেচ্ছায় কাজ করে যাই এবং যাব। আশা করি, আগামী দিনের চলার পথে, যদি কোনও বাঁকও থাকে, আপনাদের আশীর্বাদ পাব। একটা অন্যরকম মাঠ যেন দেখতে পাচ্ছি, ব্যক্তিগত খেলা নয়, সমষ্টির বৃহত্তর অঙ্কের ম্যাচ। এখনও ঝাপসা, স্পষ্ট নয়। তবে ব্যাট করার প্রস্তুতি রাখছি, সসম্মানে। খেলতে আপনি নাও নামতে পারেন। তবে গ্যালারিতে আসবেন বা টিভিতে দেখবেন। সঙ্গে থাকবেন। ম্যাচ জমবে। জয় মা।'
advertisement
7/8
সেই বাঁক লেখা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই অবশ্য তা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে দেন তৃণমূল মুখপাত্র। শনিবার কুণাল বলেন, ''বাঁক নিয়ে আসলে বিজয়ার পোস্ট। নতুন বাঁক যদি আসে তাতেই আশীর্বাদ চেয়েছি। আমি অতীতে ছাত্র পরিষদ করতাম। ১৯৮৭ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনি। নানা ঝড় জল আমার ওপর দিয়ে গিয়েছে। তাও আমি দল ছাড়ার কথা ভাবিনি। আমি জামিন পেয়েও একটা সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান পোস্ট নিইনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে স্নেহ করতেন। পরে কপালে ভোগান্তি ছিল। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে সুযোগ দিয়েছেন কাজে। আমি আনুগত্য দেখিয়েছি।''
সেই বাঁক লেখা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই অবশ্য তা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে দেন তৃণমূল মুখপাত্র। শনিবার কুণাল বলেন, ''বাঁক নিয়ে আসলে বিজয়ার পোস্ট। নতুন বাঁক যদি আসে তাতেই আশীর্বাদ চেয়েছি। আমি অতীতে ছাত্র পরিষদ করতাম। ১৯৮৭ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনি। নানা ঝড় জল আমার ওপর দিয়ে গিয়েছে। তাও আমি দল ছাড়ার কথা ভাবিনি। আমি জামিন পেয়েও একটা সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান পোস্ট নিইনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে স্নেহ করতেন। পরে কপালে ভোগান্তি ছিল। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে সুযোগ দিয়েছেন কাজে। আমি আনুগত্য দেখিয়েছি।''
advertisement
8/8
কুণালের সংযোজন, ''আমি আত্মবিশ্বাসী ২৫০ আসন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবে। তবে চলার পথে নানা বাঁক থাকে। দমবন্ধ হলে আমি অন্য দলে চলে যাব এমনটা নয়। নেতারা যেমন কর্মীদের ওপর নজর রাখেন। তেমনি কর্মীদের এবার নজর রাখতে হবে লাইফস্টাইল, ইস্যু ভিত্তিক বিষয়ে কারা নিখোঁজ থাকেন, সেই সব এখন জেনে রাখতে হবে।''
কুণালের সংযোজন, ''আমি আত্মবিশ্বাসী ২৫০ আসন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবে। তবে চলার পথে নানা বাঁক থাকে। দমবন্ধ হলে আমি অন্য দলে চলে যাব এমনটা নয়। নেতারা যেমন কর্মীদের ওপর নজর রাখেন। তেমনি কর্মীদের এবার নজর রাখতে হবে লাইফস্টাইল, ইস্যু ভিত্তিক বিষয়ে কারা নিখোঁজ থাকেন, সেই সব এখন জেনে রাখতে হবে।''
advertisement
advertisement
advertisement