Dilip Ghosh: ৬১-তে বিয়ে দিলীপ ঘোষের, তাতে কী! ৭৭ বছরে বিয়ে করেছেন এই বাংলারই এক নামী নেতা! জানেন তিনি কে? নামটা কিন্তু চমকে দেবে
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Dilip Ghosh: দিলীপ ঘোষ সঙ্ঘ থেকে ঘোরতর সংসারি হচ্ছেন এটা যেন অনেকেরই হজম হচ্ছিল না। কিন্তু, শুক্রের সন্ধ্যায় শুভ পরিণয় সুসম্পন্ন হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
১৮ এপ্রিল, শুক্রবার ছিল বৈশাখের প্রথম বিয়ে। এই দিন গোধূলিলগ্নে চার হাত এক করে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাত্রী বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী, রিঙ্কু মজুমদার। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতার আকাশে যখন কালো মেঘের ঘনঘটা, ঝড়ের দাপটে চারিদিক অন্ধকার তখন বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে দিলীপের বিয়ের খবর ঘিরে তো একেবারে 'কালবৈশাখী'।
advertisement
দিলীপ ঘোষ সঙ্ঘ থেকে ঘোরতর সংসারি হচ্ছেন এটা যেন অনেকেরই হজম হচ্ছিল না। কিন্তু, শুক্রের সন্ধ্যায় শুভ পরিণয় সুসম্পন্ন হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। চায়ের ঠেক থেকে ড্রইং রুম, খাবার টেবিল সর্বত্রই এক আলোচনা। দিলীপ বিয়ে ঘিরে নাগরিক সমাজ যেন দ্বিধাবিভক্ত। কারও কাছে এই বিয়েটা হাসির খোরাক তো, কারও মতে সঠিক সিদ্ধান্ত।
advertisement
advertisement
দিলীপের মতোই এক বৈশাখে বিয়ে করেছিলেন কংগ্রেসের দাপুটে নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী। সালটা ১৯৯৪। দীপা দাশমুন্সী ততদিনে প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। তবে তাঁর ফিল্মি কেরিয়ার পড়তির দিকে। একপ্রকার গোপনে সেই বছর পয়লা বৈশাখ বিয়ে সারেন প্রিয়রঞ্জন-দীপা। প্রিয়র বয়স ততদিনে পঞ্চাশ পেরিয়েছে। সেটা ছিল দীপার দ্বিতীয় বিয়ে। এই বিয়ের পর প্রিয় এবং দীপা দুজনের রাজনৈতিক জীবনেই গতি আসে। প্রিয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন, আর দীপা পরে হন সাংসদ।
advertisement
প্রিয়রঞ্জনের সঙ্গী আরও এক দাপুটে কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রর বিয়েও কম নাটকীয় নয়। সোমেন মিত্র পঞ্চাশ পেরোনোর পর অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন 'ছোড়দা' হয়তো আর বিয়ে করবেন না। কিন্তু সেই ধারণা আচমকা ভেঙে দিয়ে চমকপ্রদভাবে শিখা চৌধুরীকে বিয়ে করেন সোমেন। শিখার এটা দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। সোমেন ততদিনে কংগ্রেসি রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত। তবে শিখা পরে সোমেনের হাত ধরেই বিধায়ক হন।
advertisement
advertisement
লক্ষ্মণ শেঠ। বঙ্গ রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র। সিপিএম হয়ে বিজেপি ঘুরে লক্ষ্মণ এখন কংগ্রেসে। তবে এখানে সেটা চর্চার বিষয় নয়। চর্চার বিষয় হল লক্ষ্মণ শেঠের দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম স্ত্রী তমালিকা পণ্ডা শেঠের মৃত্যুর বেশ অনেক বছর পরে ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তিনি। সত্তর পেরোনোর পর মানসী দেকে বিয়ে করেন তিনি। তাঁর বিয়ে নিয়ে নাকি অসন্তুষ্ট ছিলেন লক্ষ্মণের প্রথম পক্ষের দুই সন্তান। প্রাক্তন সিপিআইএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ ৭৭ বছর বয়সে এসে, বছর দুয়েক আগে বিয়ে করেন ৪২ বছর বয়সী মানসী দে-কে। অর্থাৎ, বুঝতেই পারছেন বয়স কেবল সংখ্যা মাত্র। প্রেমের মন্ত্রটাই আসল কথা।