ক্রমশই রহস্যময়ী হয়ে উঠছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। ৪ মে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল আজ সন্ধ্যায় সেই সিস্টেম ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। আপাতত অতি গভীর-নিম্নচাপ হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী ১২ ঘণ্টায় তা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। ক্রমশ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ছুঁয়ে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। আজ সন্ধ্যায় পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। তখন এর গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ৮৫ কিলোমিটার হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় অশনির অবস্থান এখন দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপরে। দূরত্ব প্রায় অনেকটাই দূরে। তবে তা উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে। এগোতে গিয়ে আগামী ১২ ঘন্টায় আরও ঘনীভূত হয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ১০ মে সন্ধ্যায় উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায় পৌঁছবে। এরপর উত্তর-উত্তর পূর্বে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে ওড়িশা উপকূলের দিকে।
বিশাখাপত্তনম থেকে ৯৪০ কিলোমিটার দূরে ও পুরী থেকে ১০০০ কিলোমিটার দূরে এই মুহূর্তে অবস্থান করছে অশনি। রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। সোমবার বিকেলে এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার হতে পারে। মঙ্গলবার সকালে এটি অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাবে। উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ওড়িশা উপকূল বরাবর এর প্রভাব থাকবে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায়।
এখনও অবধি এই সাইক্লোন যে ভাবে রূপ বদলাচ্ছে তাতে সরাসরি ল্যান্ডফল কোনও রাজ্যেই হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে৷ কিন্তু তাতেও হাওয়ার গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় যথেষ্ট জোরালো থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ কিন্তু ৯ মে এই সাইক্লোনের গতি ১২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হবে৷ যদি সাবধানতা অবলম্বন না করা হয় তাহলে প্রাণ ও সম্পত্তিহানির আশঙ্কাও থাকছে৷