Bangla News: আটক পর্যটক, Hotel-Home-Stay-তে ফুরোচ্ছে খাবার! পাহাড় নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত ট্যুর সংস্থাগুলির...

পাহাড়ে বেড়াতে যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন অনেকেই। টিকিট কাটা অবধি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পাহাড়ের অবস্থা ভয়াবহ(Bangla News)। চলতি সপ্তাহেই যাদের যাওয়ার কথা বেড়াতে, তাদের জন্যে দুঃখের খবর। আগামী কয়েকদিন দার্জিলিং-কালিম্পং-সিকিম(Darjeeling-Kalimpong-Sikkim-Dooars) পাহাড়ে বেড়ানো যাবে না। পর্যটন সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই স্থির করে ফেলেছে আগামী ৭ দিন যোগাযোগ ব্যবস্থা যথাযথ না থাকার কারণে তারা বেড়াতে নিয়ে যাবেন না কোনও পর্যটককে (Tour Operators)।প্রতীকী ছবি। 

কলকাতার অন্যতম নামী পর্যটন সংস্থা কুন্ডু ট্রাভেলস। আগামী ২৪ তারিখ তাদের ট্যুর করানোর কথা ছিল ডুয়ার্সে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তারাও ঠিক করেছে ট্যুর স্থগিত করে দেবে। এছাড়া একাধিক সংস্থা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা ট্যুর আপাতত করাবে না।

অন্যদিকে, পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের জন্য আশঙ্কার খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার বিকেলে আবহাওয়া দফতরের তরফে এমনই জানানো হয়েছে। পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ২৪ ঘণ্টা পাহাড়-সহ তরাই ডুয়ার্সে চলবে ভারী বৃষ্টি।

যার জেরে পর্যটকদের ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিম্নচাপের জেরে সোমবার রাত থেকে পাহাড়ে শুরু হয়েছে নাগাড়ে বর্ষণ। যার জেরে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে ধসের খবর এসেছে। নতুন করে ধস নেমেছে দার্জিলিঙেও।

ওদিকে গত কয়েকদিন দিনভর হোটেলেই আটক থাকেন পর্যটকরা। বৃষ্টির মধ্যে বাতিল করতে হয় যাবতীয় পরিকল্পনা। পূর্বাভাস অনুসারে আজ দিনভর পাহাড়ে জারি থাকতে পারে এই পরিস্থিতি। তারপর পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে তবে কোনও নিশ্চয়তা নেই। পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গের পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সের জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণ হবে। এর পর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমবে।

তবে সমতলে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও পাহাড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি জারি থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে। গত ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিংয়ে ১৬৬ মিমি ও কালিম্পংয়ে ১৩৬ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। পুজোর ছুটিতে দার্জিলিং পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছেন হাজার হাজার পর্যটক। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মুখ ভার তাদের।

বেড়াতে এসে হোটেলবন্দি হয়ে ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এমনকী বৃষ্টির মধ্যে শিলিগুড়ি ফেরার গাড়িও সব জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর মিলেছে। কারণ একাধিক গ্রামের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে চালক ও গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না।

একাধিক হোটেল বা হোম স্টে জানাচ্ছে, তাদের কাছে মাত্র দু'দিনের রেশন আছে। ফলে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিকঠাক না হলে রেশন শিলিগুড়ি থেকে পাহাড়ে আনা যাবে না। এতেই সমস্যা তৈরি হবে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। অন্যতম পর্যটন বিশেষজ্ঞ দেবজিৎ দত্ত জানিয়েছেন, "আপাতত কিছুদিন ট্যুর না করানোই ভাল৷ প্রাকৃতিক অবস্থা দেখে আবার শুরু করানো যাবে।"