World War 3: এসেই গেল তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ? রাশিয়া কি এবার পরমাণু অস্ত্র ছুড়বে এই দেশে! ইঙ্গিত স্পষ্ট, 'গোপনে' হচ্ছে ষড়যন্ত্র!

রাশিয়ার বিমানবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইউক্রেন যে হামলা চালিয়েছে, সেটাকে তাঁদের দুঃসাহসী ও অসাধারণ কৌশল বলা হলে অতিরঞ্জন হবে না। ইউক্রেন বলছে, এ হামলায় ৭০০ কোটি ডলার মূল্যের (প্রায় ৫২০ কোটি পাউন্ড) ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাশিয়ার।

এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ 18 বাংলা। তবে এটুকু নিশ্চিত যে ‘অপারেশন স্পাইডার’স ওয়েব’ নামের অভিযানটি অন্তত প্রচারের দিক থেকে এক চমকপ্রদ সাফল্য ছিল।

ইউক্রেনের মানুষ এই ড্রোন হামলাকে আগের কিছু বড় সাফল্যের সঙ্গে তুলনা করছেন। যেমন ২০২২ সালে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরে নৌবহরের প্রধান জাহাজ মস্কভা ডুবিয়ে দেওয়া, কার্চ সেতুতে বিস্ফোরণ, আর পরের বছর সেভাস্তোপোল বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।

১৮ মাস ধরে এই অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। অভিযানের অংশ হিসেবে বেশ কিছু ছোট ড্রোন বিশেষভাবে তৈরি ট্রাকের ভেতর লুকিয়ে রেখে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় পাচার করা হয়। এরপর সেগুলো হাজারো মাইল দূরে রাশিয়ার চারটি ভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আশপাশের বিমানঘাঁটিগুলোর দিকে ড্রোন হামলা চালানো হয়।

আর ইউক্রেনের হাতে রাশিয়া 'আক্রান্ত' হতেই উঠছে প্রশ্ন, জেলেনস্কির ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এবার পারমাণবিক হামলার নির্দেশ দিতে চলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন?

এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতেই বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, রাষ্ট্রপতি পুতিন কি এবার পারমাণবিক অস্ত্রের আশ্রয় নেবেন? ইউক্রেনে পরমাণু হামলা করবেন? গত ৪ মে পুতিন বলেছিলেন, "ওই অস্ত্র ব্যবহারের কোনও প্রয়োজন এখনও হয়নি এবং আমি আশা করি এগুলোর প্রয়োজন হবে না।"

এদিকে আজ থেকেই ইস্তানবুলে শুরু হতে চলেছে দু'দেশের শান্তি আলোচনা প্রক্রিয়া। ঠিক তার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তীব্রতর আকার ধারন করেছে। অনেকে বলছেন, মস্কোর উপর চাপ বাড়াতেই এটা জেলেনস্কির কৌশল।

উল্লেখ্য, আমেরিকার সঙ্গে উত্তেজনা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে। বর্তমানে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মেদভেদেভের এই মন্তব্য কয়েক দিন আগেই ঝড় তুলেছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যের জবাবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে সতর্কবার্তাও দেন তিনি।

বিতর্কিত কথার জন্য পরিচিত মেদভেদেভ এর আগে বলেছিলেন যে, রাশিয়ার শর্ত মেনে নিয়ে ইউক্রেনের কাছে এক ধরনের রাষ্ট্রত্ব রক্ষা করার শেষ সুযোগ রয়েছে। তিনি আরও সতর্ক করে দিয়েছিলেন, ব্যর্থ আলোচনা ইউক্রেন যুদ্ধকে আরও ভয়াবহ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং অগ্রগতি না হলে রাশিয়ার উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিরও সমালোচনা করেছেন, এই বছরের শুরুর দিকে জেলেনস্কির বিরুদ্ধে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জুয়া খেলার অভিযোগ করেন ট্রাম্প। এরই মধ্যে রাশিয়ায় ইউক্রেনের আক্রমণের পর পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।