What is Hamas: হামাস কী? কারা তাদের মদত দিচ্ছে? আর কেনই বা তারা এখন ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে?

Last Updated:
What is Hamas | Explained: রিপোর্ট থেকে এ-ও জানা গিয়েছে যে, গাজা স্ট্রিপে প্রচুর সংখ্যক ইজরায়েলি নাগরিক এবং সেনাকে পণবন্দিও বানিয়েছে হামাস। আর শনিবারের এই হামলায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন দুশোরও বেশি ইজরায়েলি নাগরিক।
1/7
কয়েক দশকের পুরনো ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘর্ষে যেন এক নতুন অধ্যায় শুরু করল প্যালেস্তাইনি গোষ্ঠী হামাস। শনিবার গাজা থেকে ইজরায়েলের উপর আকস্মিক ভাবে ভয়ঙ্কর হামলা চালিয়েছে তারা। আর সাম্প্রতিক কয়েক বছরে এটাই ছিল সবথেকে বড় হামলা। এমটাই প্রকাশিত হয়েছে খবরে। রিপোর্ট থেকে এ-ও জানা গিয়েছে যে, গাজা স্ট্রিপে প্রচুর সংখ্যক ইজরায়েলি নাগরিক এবং সেনাকে পণবন্দিও বানিয়েছে হামাস। আর শনিবারের এই হামলায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৬০০-রও বেশি মানুষ। জখম হয়েছে এক হাজারেরও বেশি মানুষ। রাস্তাঘাটে ছড়িয়েছিটিয়ে পড়ে রয়েছে নাগরিকদের ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত দেহ। শুধু তা-ই নয়, গাজার দিকেও প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩১৩ জন এবং জখম হয়েছেন ১৭০০ জনেরও বেশি। Photo Courtesy: AFP
কয়েক দশকের পুরনো ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘর্ষে যেন এক নতুন অধ্যায় শুরু করল প্যালেস্তাইনি গোষ্ঠী হামাস। শনিবার গাজা থেকে ইজরায়েলের উপর আকস্মিক ভাবে ভয়ঙ্কর হামলা চালিয়েছে তারা। আর সাম্প্রতিক কয়েক বছরে এটাই ছিল সবথেকে বড় হামলা। এমটাই প্রকাশিত হয়েছে খবরে। রিপোর্ট থেকে এ-ও জানা গিয়েছে যে, গাজা স্ট্রিপে প্রচুর সংখ্যক ইজরায়েলি নাগরিক এবং সেনাকে পণবন্দিও বানিয়েছে হামাস। আর শনিবারের এই হামলায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৬০০-রও বেশি মানুষ। জখম হয়েছে এক হাজারেরও বেশি মানুষ। রাস্তাঘাটে ছড়িয়েছিটিয়ে পড়ে রয়েছে নাগরিকদের ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত দেহ। শুধু তা-ই নয়, গাজার দিকেও প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩১৩ জন এবং জখম হয়েছেন ১৭০০ জনেরও বেশি। Photo Courtesy: AFP
advertisement
2/7
 হামাস কী?- হামাস হল হারাকাত আল-মুকাওয়ামা আল-ইসলামিয়া-র সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি আসলে একটি ইসলামিক রেজিস্ট্যান্ট মুভমেন্ট। যা শুরু হয়েছিল ১৯৮৭ সালে প্যালেস্তাইনের অভ্যুত্থানের সময়। ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে বসবাসকারী প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)-এর প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বে ফাতাহ আন্দোলনের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত গৃহযুদ্ধের পরে ২০০৭ সাল থেকে গাজা স্ট্রিপ থেকেই হামাস গোষ্ঠী কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। ২০০৬ সালে প্যালেস্তাইনি পার্লামেন্টারি নির্বাচনে জয় লাভ করার পরে গাজার দখল নিয়েছিল হামাস। সেই সময় থেকেই ইজরায়েলকে ধ্বংস করার শপথ নিয়েছে তারা এবং ২০০৭ সালে গাজায় ক্ষমতায় আসার পরে ইজরায়েলের সঙ্গে একাধিক সংঘর্ষ করেছে ওই গোষ্ঠী।
হামাস কী?- হামাস হল হারাকাত আল-মুকাওয়ামা আল-ইসলামিয়া-র সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি আসলে একটি ইসলামিক রেজিস্ট্যান্ট মুভমেন্ট। যা শুরু হয়েছিল ১৯৮৭ সালে প্যালেস্তাইনের অভ্যুত্থানের সময়। ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে বসবাসকারী প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)-এর প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বে ফাতাহ আন্দোলনের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত গৃহযুদ্ধের পরে ২০০৭ সাল থেকে গাজা স্ট্রিপ থেকেই হামাস গোষ্ঠী কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। ২০০৬ সালে প্যালেস্তাইনি পার্লামেন্টারি নির্বাচনে জয় লাভ করার পরে গাজার দখল নিয়েছিল হামাস। সেই সময় থেকেই ইজরায়েলকে ধ্বংস করার শপথ নিয়েছে তারা এবং ২০০৭ সালে গাজায় ক্ষমতায় আসার পরে ইজরায়েলের সঙ্গে একাধিক সংঘর্ষ করেছে ওই গোষ্ঠী।
advertisement
3/7
 কারা হামাসকে সমর্থন করছে? আর কারাই বা এর বিরোধিতা করছে?হামাসকে সমর্থন করে শিয়া ইরান। আর ১৯২০-র দশকে মিশরে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ইসলামপন্থী প্রতিষ্ঠান মুসলিম ব্রাদারহুডের ইসলামিক মতাদর্শ মেনে চলে তারা। হামাসকে ইরান, সিরিয়া এবং লেবাননের শিয়া ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হেজবুল্লাহ-র সমন্বয়ে একটি আঞ্চলিক জোটের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই গোষ্ঠী একসঙ্গে মিলে পশ্চিম এশিয়া এবং ইজরায়েলের আমেরিকান নীতির ব্যাপক বিরোধিতা করে আসছে। হামাসকে মূলত অর্থের জোগান দেয় ইরান। শুধু আর্থিক সাহায্যই নয়, এর পাশাপাশি অবশ্য ইরানের কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্রের জোগান এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সাহায্যও পায় হামাস। (AP Photo/Fatima Shbair)
কারা হামাসকে সমর্থন করছে? আর কারাই বা এর বিরোধিতা করছে?হামাসকে সমর্থন করে শিয়া ইরান। আর ১৯২০-র দশকে মিশরে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ইসলামপন্থী প্রতিষ্ঠান মুসলিম ব্রাদারহুডের ইসলামিক মতাদর্শ মেনে চলে তারা। হামাসকে ইরান, সিরিয়া এবং লেবাননের শিয়া ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হেজবুল্লাহ-র সমন্বয়ে একটি আঞ্চলিক জোটের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই গোষ্ঠী একসঙ্গে মিলে পশ্চিম এশিয়া এবং ইজরায়েলের আমেরিকান নীতির ব্যাপক বিরোধিতা করে আসছে। হামাসকে মূলত অর্থের জোগান দেয় ইরান। শুধু আর্থিক সাহায্যই নয়, এর পাশাপাশি অবশ্য ইরানের কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্রের জোগান এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সাহায্যও পায় হামাস। (AP Photo/Fatima Shbair)
advertisement
4/7
প্যালেস্তাইনি জঙ্গি সংগঠনটিকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইজরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, মিশর এবং জাপান। হামাসের মূল শক্তি ঘাঁটি রয়েছে গাজায়। তবে এদের সমর্থনকারীরা ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে প্যালেস্তাইনের বিভিন্ন অঞ্চলগুলিতেও। আর কাতার-সহ পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে ছড়িয়ে রয়েছেন হামাসের নেতারা। (AP Photo/Adel Hana)
প্যালেস্তাইনি জঙ্গি সংগঠনটিকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইজরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, মিশর এবং জাপান। হামাসের মূল শক্তি ঘাঁটি রয়েছে গাজায়। তবে এদের সমর্থনকারীরা ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে প্যালেস্তাইনের বিভিন্ন অঞ্চলগুলিতেও। আর কাতার-সহ পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে ছড়িয়ে রয়েছেন হামাসের নেতারা। (AP Photo/Adel Hana)
advertisement
5/7
 হামাসকে নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা? বর্তমানে হামাসকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইসমাইল হানিয়ে নামে এক নেতা। ২০১৭ সালে হামাসের পলিটব্যুরোর প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। যদিও হামাসকে পশ্চিমের বেশির ভাগ অংশেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে গণ্য করা হয়, তবে এই গোষ্ঠীর কর্মকর্তারা হামেশাই তুরস্ক সফরে যান এবং সেখানকার প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এরদোগানের সঙ্গেও তাঁদের সম্পর্ক বেশ মধুর। হামাস কোন মতাদর্শে বিশ্বাসী? বিগত দুই দশক ধরে ইজরায়েলের সঙ্গে বেশ কয়েক বার সংঘর্ষে জড়িয়েছে হামাস। গাজা থেকে ইজরায়েলে অনেক সময় রকেট হামলাও চালানো হয়েছে ওই গোষ্ঠীর তরফ থেকে। আসলে ইজরায়েলকে তেমন ভাবে স্বীকৃতি দিতে চায় না এই জঙ্গিগোষ্ঠী। Photo Courtesy - AP
হামাসকে নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা? বর্তমানে হামাসকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইসমাইল হানিয়ে নামে এক নেতা। ২০১৭ সালে হামাসের পলিটব্যুরোর প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। যদিও হামাসকে পশ্চিমের বেশির ভাগ অংশেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে গণ্য করা হয়, তবে এই গোষ্ঠীর কর্মকর্তারা হামেশাই তুরস্ক সফরে যান এবং সেখানকার প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এরদোগানের সঙ্গেও তাঁদের সম্পর্ক বেশ মধুর। হামাস কোন মতাদর্শে বিশ্বাসী? বিগত দুই দশক ধরে ইজরায়েলের সঙ্গে বেশ কয়েক বার সংঘর্ষে জড়িয়েছে হামাস। গাজা থেকে ইজরায়েলে অনেক সময় রকেট হামলাও চালানো হয়েছে ওই গোষ্ঠীর তরফ থেকে। আসলে ইজরায়েলকে তেমন ভাবে স্বীকৃতি দিতে চায় না এই জঙ্গিগোষ্ঠী। Photo Courtesy - AP
advertisement
6/7
সেই সঙ্গে ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ইজরায়েল এবং পিএলও-র মধ্যে যে অসলো শান্তি চুক্তি হয়েছিল, তার সহিংস বিরোধিতা করেছিল হামাস। প্রসঙ্গত ১৯৯৩ সালে ইজরায়েলের সঙ্গে অসলো শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন প্যালেস্তাইনি নেতা ইয়াসির আরাফত, যাতে এই দুই রাষ্ট্রের মধ্যে একটি সমাধানের ভিত্তিতে দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা সংঘাতের অবসান ঘটে। এই জঙ্গিগোষ্ঠীর আবার একটি সশস্ত্র বাহিনীও রয়েছে। যার নাম ইজ এল-দীন আল-কসম ব্রিগেডস। এই বাহিনীই হামলা চালানোর জন্য বন্দুকবাজ এবং আত্মঘাতী হামলাকারীদের পাঠিয়েছিল ইজরায়েলে। আসলে এই সশস্ত্র বাহিনী একটি স্বাধীন প্যালেস্তাইনি রাষ্ট্র তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। Photo Courtesy - AP
সেই সঙ্গে ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ইজরায়েল এবং পিএলও-র মধ্যে যে অসলো শান্তি চুক্তি হয়েছিল, তার সহিংস বিরোধিতা করেছিল হামাস। প্রসঙ্গত ১৯৯৩ সালে ইজরায়েলের সঙ্গে অসলো শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন প্যালেস্তাইনি নেতা ইয়াসির আরাফত, যাতে এই দুই রাষ্ট্রের মধ্যে একটি সমাধানের ভিত্তিতে দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা সংঘাতের অবসান ঘটে। এই জঙ্গিগোষ্ঠীর আবার একটি সশস্ত্র বাহিনীও রয়েছে। যার নাম ইজ এল-দীন আল-কসম ব্রিগেডস। এই বাহিনীই হামলা চালানোর জন্য বন্দুকবাজ এবং আত্মঘাতী হামলাকারীদের পাঠিয়েছিল ইজরায়েলে। আসলে এই সশস্ত্র বাহিনী একটি স্বাধীন প্যালেস্তাইনি রাষ্ট্র তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। Photo Courtesy - AP
advertisement
7/7
 কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু বছরে আবার তাদের মধ্যে দুই রাষ্ট্রের সমাধান গ্রহণের ইচ্ছার ইঙ্গিতও মিলেছে।বর্তমানে ইজরায়েল এবং হামাস কেন লড়াই করছে? বরাবরই ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে একটা অশান্তি চলে আসছে। তবে এবারের হামলা একেবারেই আকস্মিক। কারণ কোনও রকম সতর্কতামূলক পূর্বাভাস ছাড়াই শনিবার ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছে তারা। হামাস যোদ্ধারা সীমান্ত অতিক্রম করার পরেই ইজরায়েলে হাজার হাজার রকেট হামলা চালানো হয়েছে। তাতে নিহত হয়েছেন প্রচুর সংখ্যক নাগরিক। এখানেই শেষ নয়, ইজরায়েলি সেনাদেরকেও পণবন্দি বানিয়েছে তারা। (AP Photo/Hatem Moussa)
কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু বছরে আবার তাদের মধ্যে দুই রাষ্ট্রের সমাধান গ্রহণের ইচ্ছার ইঙ্গিতও মিলেছে।বর্তমানে ইজরায়েল এবং হামাস কেন লড়াই করছে? বরাবরই ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে একটা অশান্তি চলে আসছে। তবে এবারের হামলা একেবারেই আকস্মিক। কারণ কোনও রকম সতর্কতামূলক পূর্বাভাস ছাড়াই শনিবার ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছে তারা। হামাস যোদ্ধারা সীমান্ত অতিক্রম করার পরেই ইজরায়েলে হাজার হাজার রকেট হামলা চালানো হয়েছে। তাতে নিহত হয়েছেন প্রচুর সংখ্যক নাগরিক। এখানেই শেষ নয়, ইজরায়েলি সেনাদেরকেও পণবন্দি বানিয়েছে তারা। (AP Photo/Hatem Moussa)
advertisement
advertisement
advertisement