ছিল হাজার প্রশ্ন, ছিল তর্ক-বিতর্ক, সন্দেহের চোখে দেখছিল খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু... কিন্তু সব সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়ে করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করে দিল রাশিয়া আর সেই ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেক্সিকো, ঘোষণা করেছে এই টিকার প্রথম ব্যাচ উত্পাদনও করবে বলে। সাংবাদিক সম্মেলনে আন্দ্রে জানান, 'আমিই প্রথম এই টিকা নেব।' এই টিকা তৈরি করতে AstraZeneca Plc ওষুধের কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে মেক্সিকো ও আর্জেন্টিনা।
মেক্সিকোর ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার মারঠা ডেলগাডো জানিয়েছেন, দেশে এই মুহূর্তে ২০০ মিলিয়ন পর্যন্ত ডোজ প্রয়োজন। তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল সফল হলে, আগামী বছর এপ্রিলেই প্রথম ব্যাচের ভ্যাকসিন বাজারে আসবে। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাচ ইতিমধ্যেই প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। অগাস্টের শেষের দিকেই এই ভ্যাকসিন সাধারণের ব্যবহারের জন্য বাজারে এসে যাবে বলে জানানো হয়েছে।
এরপরই শুরু হয় বিতর্ক! রাশিয়ায় তৈরি কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক তৃতীয় দফার পরীক্ষা ছাড়াই অনুমোদন পেয়েছে বলে অভিযোগ। তৃতীয় দফার পরীক্ষায় মানব শরীরের ওপরে ট্রায়াল চালানো হয়। অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এই ভ্যাকসিন প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। মাত্র দু-মাসের মধ্যে যে ভাবে এই ভ্যাকসিনের যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ হয়েছে, তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণত কোনও নতুন ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শেষ হতে বেশ কয়েক মাস, অনেক সময় বছরও লেগে যায়। রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিয়ে নানা দেশের সন্দেহ ছিলই, রাশিয়ারই ৩০০০ জন ডাক্তার একটি সমীক্ষায় নেতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন। তাঁরা এই সুপারফাস্ট অনুমোদন ও তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।