Khaleda and Hasina: ২৫ বছরের সেনা অফিসারের সঙ্গে বিয়ে ১৫-র খালেদা বন্ধু হাসিনাই হলেন চরম শত্রু, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জীবনের অচেনা দিক
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
Khaleda and Hasina Relation: খালেদা জিয়ার জীবনের কম চেনা অধ্যায় ছিল নানা রঙের
Khaleda Zia Death News: বাংলাদেশের আয়রন লেডি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মঙ্গলবার মারা যান। ৮০ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হল। তিনি দু'বার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর স্বামী জিয়াউর রহমানও বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকাকালীন তিনি বিদ্রোহ করেছিলেন এবং পরে দেশের রাষ্ট্রপতি হন।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
বিয়ে কিভাবে হয়েছিল?১৯৬০ সালে খালেদা জিয়া তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানকে বিয়ে করেন। তাঁদের অ্যারেঞ্জজ ম্যারেজ হয়৷ সেই সময় খালেদার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর এবং তিনি দিনাজপুরে পড়াশোনা করছিলেন। জিয়াউর রহমান তখন দিনাজপুরের কাছে পোস্টিংয়ে ছিলেন। বিয়ের পর খালেদা পড়াশোনা ছেড়ে স্বামীর সঙ্গে চলে আসেন। জিয়াউর রহমান পরবর্তীতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন। তাঁদের বিবাহের সময় খালেদার বিয়ের বয়স ছিল ১৫ বছর, আর তাঁর স্বামীর বয়স ছিল ২৫ বছর।
advertisement
শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাখালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আধুনিক বাংলাদেশ রাজনীতির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। এই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত একটি ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি থেকে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। ১৯৭৫ সালে দেশের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন মুজিবকে হত্যা করা হয়। এরপর হাসিনা নিশ্চিত হন যে খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমান, যিনি পরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। তবে, ১৯৮১ সালে তাঁকেও হত্যা করা হয়। খালেদা জিয়া ৩৬ বছর বয়সে স্বামীকে হারান। এরপর তিনি তাঁর স্বামীর দল বিএনপির দায়িত্ব নেন এবং তাঁর উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যান।
advertisement
শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া একসঙ্গে রাজনীতিতে এসেছিলেন১৯৮০-এর দশকে সহযোগিতার এক বিরল মুহূর্ত এসেছিল, যখন শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া উভয়েই সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাদের সম্মিলিত চাপ এবং ব্যাপক বিক্ষোভের ফলে ১৯৯০ সালে এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এর ফলে বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত হয়। এরশাদের পতনের পর, দুই নারী প্রায় তিন দশক ধরে ক্ষমতায় পালাক্রমে ছিলেন, কিন্তু তাদের সম্পর্ক স্থায়ী রাজনৈতিক যুদ্ধে পরিণত হয়।
advertisement
খালেদা জিয়া ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যেখানে শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। ২০০৪ সালে শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যেখানে ২৪ জন নিহত হন। হাসিনা বিএনপি সরকার এবং খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনেন, যে অভিযোগ বিএনপি অস্বীকার করে।
advertisement
হাসিনার শাসন এবং খালেদা জিয়া২০০৯ সালে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও গভীর হয়। হাসিনা খালেদার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন দুর্নীতির মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালে, তাকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যাকে বিএনপি রাজনৈতিক প্রতিশোধ হিসেবে বর্ণনা করে। ২০২৪-২০২৫ সালে ঘটনাবলী দ্রুত পরিবর্তিত হয়। ২০২৪ সালের আগস্টে, ছাত্র-নেতৃত্বাধীন এক বিশাল আন্দোলন শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করতে এবং দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করে।
advertisement
হাসিনার পতনের পরপরই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে, সুপ্রিম কোর্ট তাকে তার শেষ দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস দেয়। খালেদা জিয়ার মৃত্যু বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি যুগের অবসান ঘটায়। তাঁর অনুপস্থিতিতে, পরবর্তী প্রজন্ম এগিয়ে আসছে। তার ছেলে তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনের পর সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। তিনি ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।









