Indian vs Pakistan: একেবারে পাকিস্তানের ঘাড়ের কাছে ঢুকে...স্যর ক্রিক-এ ভারতের তিন সেনার যুদ্ধমহড়া! আশঙ্কায় পাল্টা চাল চালল ইসলামাবাদ..কবে শুরু?
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
কিন্তু, ‘অপারেশন সিঁদুরের’ পরে গুজরাতের স্যর ক্রিক রো-র মতো এলাকায় ভারতের মহড়া চালানোকে মোটেই হাল্কা ভাবে নিতে পারছে না পাকিস্তান৷ এই মহড়ার আগে থেকেই ক্রিক সহ গুজরাতে পাক ফৌজ সেনা সমাবেশ বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা
নয়াদিল্লি: সিন্ধু নদের ব-দ্বীপে প্রায় ৯৬ কিলোমিটার খাঁড়ি স্যর ক্রিক৷ কচ্ছের রণের পশ্চিমে এই স্যর ক্রিক-সিন্ধ-করাচি অ্যাক্সিস, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো এই এলাকা নিয়েও দীর্ঘ সীমান্ত বিতর্কের ইতিহাস রয়েছে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে৷ দেখতে একটা সরু খাল বা জলাজমি৷ যা আলাদা করে রেখেছে ভারতের গুজরাতের সঙ্গে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের৷ এখানে পাহারা দেন ‘ক্রিক ক্রোকোডাইল’ বিএসএফ কর্মীরা৷ এবার পাকিস্তানের কান ঘেঁষে সেখানেই তিন সেনার যৌথ মহড়া চালাতে চলেছে ভারত৷ আর তাতেই নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তান৷ সীমান্তের একাধিক সেনাঘাঁটিতে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ইসলামাবাদ৷
advertisement
আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত গুজরাতের স্যর ক্রিকের কাছে স্থল-জল-বায়ু তিন সেনার যৌথ মহরা চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত৷ এই মহরার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ত্রিশূল’৷ তিন বাহিনীর সমন্বয় বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই বিশেষ প্রকল্প নিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার৷ ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরবর্তী যে কোনও পরিস্থিতির জন্য যাতে ভারতীয় সেনা সামগ্রিক ভাবে প্রস্তুত থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এই মহড়ার সিদ্ধান্ত৷ আকাশপথে জারি হয়েছে নোটাম৷ অর্থাৎ, কিছু নির্দিষ্ট আকাশপথে বিমান চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে৷
advertisement
গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়ার ছবি বলছে, ভারত দক্ষিণ পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুর, রহিম ইয়ার খান থেকে থর মরুমূভি এবং স্যর ক্রিক এলাকাকে যৌথ নৌ-বায়ু এবং স্থল সেনার মহড়ার জন্য বেছে নিয়েছে ভারত৷ পাকিস্তানের দাবি, এই মহড়া আসলে করা হচ্ছে করাচিকে আক্রমণ করার চোকিং পয়েন্টে ভারতের নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করা৷
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
সূত্রটি জানিয়েছে, পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুর স্ট্রাইক কর্পস এবং করাচি (সিন্ধু) কর্পসকে বিশেষ প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সূত্রটি আরও জানিয়েছে যে, শোরকোট, বাহাওয়ালপুর, রহিম ইয়ার খান, জ্যাকোবাবাদ, ভোলারি এবং করাচির মতো বিমান ঘাঁটিগুলিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে; আরব সাগরে টহল এবং অভিযান বাড়ানোর জন্য নৌবাহিনীর নির্দেশও জারি করা হয়েছে।
