নদীর ধারে দেহ ছুড়ে নয়, এই প্রথম বাংলাদেশের মৃত যৌনকর্মী পেলেন ধর্মীয় সম্মানে কবর
- Published by:Arindam Gupta
- news18 bangla
Last Updated:
স্থানীয় পুলিশ কর্তা আশিকুর রহমনের কথায়, 'ইমাম প্রথমে রাজি হননি৷ কিন্তু আমরা অনেক অনুরোধ করি৷ বশেষে উনি রাজি হন৷' মাত্র ১২ বছর বয়সে দৌলতদিয়ায় যৌনব্যবসায় নামেন হামিদা৷ এই দৌলতদিয়ায় প্রায় ১২০০ মহিলা যৌনকর্মী রয়েছেন৷ রোজ ৫ হাজার গ্রাহকের যাতায়াত৷
advertisement
advertisement
৬৫ বছরের যৌনকর্মী হামিদা বেগমের দেহ নদীর ধারে কিংবা ফাঁকা কোনও জায়গায় কবর দিয়ে দায় সারা হল না৷ যথাযথ মর্যাদায় ইসলামিক ধর্মীয় আচার মেনেই কবর দেওয়া হল হামিদাকে৷ হামিদার মেয়ে লক্ষ্মীর কথায়, 'আমার মা যে এ রকম ফেয়ারওয়েল পাবে, কখনওই ভাবিনি৷ মানুষের মতোই ট্রিট করা হল আমার মাকে৷' লক্ষ্মীও যৌনকর্মীর পেশাতেই রয়েছেন৷
advertisement
ইসলাম ধর্মের গুরুরা বহু দশক ধরে যৌনকর্মীদের শেষকৃত্যে ধর্মীয় আচারের বিরোধী ছিলেন৷ তাঁদের কাছে যৌনব্যবসা কুকর্ম ও অসত্৷ হামিদা বেগমের মৃত্যুর পরও তাঁর পরিবার একটি পরিত্যক্ত কবরস্থানেই হামিদার দেহ কবর দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছিলেন৷ কিন্তু রুখে দাঁড়ান অন্যান্য যৌনকর্মীরা৷ তাঁরা পুলিশের কাছে অনুরোধ করেন, ইসলামিক ধর্মগুরুদের সঙ্গে আলোচনা করে হামিদাকে সাধারণ মানুষের মতোই ধর্মীয় সম্মান দেওয়া হোক৷
advertisement
advertisement
advertisement
যৌনকর্মীদের মৃত্যুর পরে এতদিন পদ্মার ধারেই ফেলে দেওয়া হত দেহ৷ কুকুরে ছিঁড়ে খেত৷ ২০০০ সালে একটি পরিত্যক্ত কবর স্থান তৈরি করা হয়৷ পরে রাতের অন্ধকারে সেখানেই কবর দেওয়া হত দেহ৷ দৌলতদিয়ার যৌনকর্মী সংগঠনের প্রধান ঝুমুর বেগমের কথায়, 'আমরা সকালে কাউকে কবর দিতে চাইলে, গ্রামবাসীরা আমাদের বাঁশ নিয়ে তাড়া করত৷ যেন কোনও কুকুর মারা গিয়েছে৷ হামিদা বেগমের শেষকৃত্য সেই দিনেরই বোধ হয় অবসান ঘটাল৷'