Bangladesh: মাফিয়াদের হাতে ছেলে বন্দি লিবিয়ায়, বাঙালি মায়ের মনের জোর সাড়া ফেলল বিশ্বে! কী করলেন মহিলা?

Last Updated:
Bangladesh: দালালদের মাধ্যমে মুক্তিপণ হিসেবে কয়েক দফায় টাকা দিলেও ছেলেকে কিছুতেই পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশে থাকা মা শাহিনুর আক্তার।
1/6
জীবনে আর একটু উন্নতির আশায় লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে যেতে চেয়েছিলেন তরুণ ইয়াকুব হাসান। কিন্তু ধরা পড়ে গিয়েছিলেন জঙ্গিদের হাতে। এরপরই দালালদের মাধ্যমে মুক্তিপণ হিসেবে কয়েক দফায় টাকা দিলেও ছেলেকে কিছুতেই পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশে থাকা মা শাহিনুর আক্তার।
জীবনে আর একটু উন্নতির আশায় লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে যেতে চেয়েছিলেন তরুণ ইয়াকুব হাসান। কিন্তু ধরা পড়ে গিয়েছিলেন জঙ্গিদের হাতে। এরপরই দালালদের মাধ্যমে মুক্তিপণ হিসেবে কয়েক দফায় টাকা দিলেও ছেলেকে কিছুতেই পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশে থাকা মা শাহিনুর আক্তার।
advertisement
2/6
তাই আর অপেক্ষা করতে চাননি তিনি। তাই সেই মা পৌঁছে যান লিবিয়ায়। দেড় মাস এখানে-ওখানে ছুটে বেড়ান তিনি। ছেলের সন্ধানও বের করে ফেলেন। বাংলাদেশ দূতাবাস ও আইওএমের (ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন) সহযোগিতায় শেষমেশ মুক্তি পান ইয়াকুব। কিন্তু তাতেও সমস্যা হয়েছিল। তবে, আলাদা আলাদা দেশে ফিরে দেখা হয় মা-ছেলের।
তাই আর অপেক্ষা করতে চাননি তিনি। তাই সেই মা পৌঁছে যান লিবিয়ায়। দেড় মাস এখানে-ওখানে ছুটে বেড়ান তিনি। ছেলের সন্ধানও বের করে ফেলেন। বাংলাদেশ দূতাবাস ও আইওএমের (ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন) সহযোগিতায় শেষমেশ মুক্তি পান ইয়াকুব। কিন্তু তাতেও সমস্যা হয়েছিল। তবে, আলাদা আলাদা দেশে ফিরে দেখা হয় মা-ছেলের।
advertisement
3/6
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের শাহিনুর আক্তার (৪৫) ও তাঁর ছেলে ইয়াকুব হাসানের (২০)। মা ছেলের এই কাহিনি এখন সাড়া ফেলেছে বিশ্বজুড়ে।
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের শাহিনুর আক্তার (৪৫) ও তাঁর ছেলে ইয়াকুব হাসানের (২০)। মা ছেলের এই কাহিনি এখন সাড়া ফেলেছে বিশ্বজুড়ে।
advertisement
4/6
বাংলা ছাড়া আর অন্য কোনও ভাষা জানেন না শাহিনুর। সেই বাংলা ভাষাকে সম্বল করে ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে আনার গল্প এখন এলাকাজুড়ে চলছে। চার বছর আগে শাহিনুরের স্বামী আবুল খায়ের লিবিয়ায় যান। সেখানে তিনি নির্মাণকাজে নাম লেখান। আবুল খায়ের বিদেশে যাওয়ার ২ মাস ১০ দিন পর একমাত্র ছেলে ইয়াকুব হাসানকেও লিবিয়ায় নিয়ে যান তিনি।
বাংলা ছাড়া আর অন্য কোনও ভাষা জানেন না শাহিনুর। সেই বাংলা ভাষাকে সম্বল করে ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে আনার গল্প এখন এলাকাজুড়ে চলছে। চার বছর আগে শাহিনুরের স্বামী আবুল খায়ের লিবিয়ায় যান। সেখানে তিনি নির্মাণকাজে নাম লেখান। আবুল খায়ের বিদেশে যাওয়ার ২ মাস ১০ দিন পর একমাত্র ছেলে ইয়াকুব হাসানকেও লিবিয়ায় নিয়ে যান তিনি।
advertisement
5/6
সেখানে ইয়াকুব কাজ করতেন। এমন সময় ইয়াকুব বন্ধুদের কথামতো ইতালিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। হবিগঞ্জের দালাল জাহাঙ্গীর আলমের মাধ্যমে প্রথমে চার লাখ টাকা দিয়ে ট্যুরিস্ট ভিসায় ইতালিতে রওনা হন। কিন্তু ধরা পড়েন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে। এক মাস জেল খাটেন।
সেখানে ইয়াকুব কাজ করতেন। এমন সময় ইয়াকুব বন্ধুদের কথামতো ইতালিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। হবিগঞ্জের দালাল জাহাঙ্গীর আলমের মাধ্যমে প্রথমে চার লাখ টাকা দিয়ে ট্যুরিস্ট ভিসায় ইতালিতে রওনা হন। কিন্তু ধরা পড়েন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে। এক মাস জেল খাটেন।
advertisement
6/6
পরে সে ফের ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এবারও ধরা পড়েন। তবে এবার তাঁর কোনও খোঁজ প্রথম দিকে পাননি পরিবারের সদস্যরা। দেড় মাস পর দালালরা তাঁর বাবা ও মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই সময়ে তাঁরা পরিবারটির কাছ থেকে কয়েক দফায় অন্তত ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ। ছেলের বিপদের কথা শুনে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি শাহনুর ঢাকা থেকে দুবাই ও মিশর হয়ে চার দিনের মাথায় লিবিয়ায় যান। সেখান থেকেই ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
পরে সে ফের ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এবারও ধরা পড়েন। তবে এবার তাঁর কোনও খোঁজ প্রথম দিকে পাননি পরিবারের সদস্যরা। দেড় মাস পর দালালরা তাঁর বাবা ও মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই সময়ে তাঁরা পরিবারটির কাছ থেকে কয়েক দফায় অন্তত ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ। ছেলের বিপদের কথা শুনে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি শাহনুর ঢাকা থেকে দুবাই ও মিশর হয়ে চার দিনের মাথায় লিবিয়ায় যান। সেখান থেকেই ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
advertisement
advertisement
advertisement