

১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা সেনা কনভয়ে হামলার দায় নিয়েছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। এরপর থেকেই পাকিস্তানের কাছে জইশের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে ভারত। আন্তর্জাতিক স্তরে জইশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের বাওহালপুরের হেডকোয়ার্টার থেকেই জইশের সমস্ত কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে ।


লাহোর থেকে ৪,৫০০ কি.মি. দূরে অবস্থিত এই হেডকোয়ার্টার । প্রায় ৩ একর জমির উপর ৬০০ ক্যাডারকে নিয়ে এই হেডকোয়ার্টার । এই হেডকোয়ার্টারে রয়েছে জিম, সুইমিং পুল সহ নানা অত্যাধুনিক সুবিধাও । মার্কাজ শুভানল্লায় জইশের যাবতীয় শীর্ষস্তরের বৈঠকও হয়ে থাকে । যুবকদের 'জিহাদের' প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রাথমিক কাজও এই মার্কাজ শুভানল্লায় হয়ে থাকে।


ভারতের ক্রমাগত দাবির পর জইশ হেডকোয়ার্টার মার্কাজ শুভানল্লায় নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছ পাক প্রশাসন । এমনকী জইশের গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য দুই আধিকারিককেও নিয়োগ করেছে ইসলামাবাদ ।


বাওহালপুরের এই হেডকোয়ার্টার হল এন্ট্রি-গেট বা প্রবেশদ্বার । এরপর এখান থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বালাকোটে । বাওহালপুর থেকে বালাকোটে যাওয়া এক অর্থে জিহাদী যুবকদের পদোন্নতি হিসেবেও ধরা হয়ে থাকে ।


২০১২ থেকে এই হেডকোয়ার্টার কমপ্লেক্স তৈরির কাজ শুরু হয় ও ২০১৫ থেকে সক্রিয়ভাবে জইশের সমস্ত কার্যকলাপ শুরু হয় এই মার্কাজ শুভানল্লায়। প্রসঙ্গত, পঞ্জাব প্রদেশে অধিকাংশ নিষিদ্ধ সংগঠনগুলির কোয়ার্টার রয়েছে।


জইশ পরিচালনা করার জন্য মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাজ্য ও আফ্রিকা থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন মাসুদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।


১৪ ফেব্রুয়ারির পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পর থেকে জইশের সঙ্গে পাকিস্তানের পরোক্ষ যোগসূত্রের অভিযোগ তুলেছে ভারত।