Bangladesh: কোন চাল চালছে বাংলাদেশ? কেন টার্গেট করছে নর্থ-ইস্টকে...পাকিস্তান-চিন, পিছনে আছে গভীর আর পুরনো ষড়যন্ত্র এবং কারণ
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে চিন, মায়ানমার, বাংলাদেশ এবং ভুটানের সীমান্ত রয়েছে৷ এই পথই কালাদান এবং ট্রাইল্যাটারাল করিডরের সঙ্গে বাকি এশিয়াকে সংযুক্ত করে৷ পশ্চিমি দেশগুলির পাশাপাশি চিনও উত্তর-পূর্বের এই ৭ রাজ্যের প্রভাব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল৷ এটাই বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিম চিন সাগরের মাঝের সংযোগস্থল৷
নয়াদিল্লি: চিন সফরে গিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বের ৭ রাজ্য নিয়ে প্ররোচনামূলক মন্তব্য করা থেকে শুরু৷ বাংলাদেশের বর্তমান মূল উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি ঠিক কতটা ‘ভারত-বিরোধী’৷ শুধু তাই নয়, ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার যে বহিরাগত শক্তির ক্রীড়নক মাত্র, তা-ও প্রমাণিত হয়েছে একাধিক বার৷ সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এক উচ্চ পদস্থ কর্তাকে দেওয়া ইউনূসের উপহার ঘিরে ফের তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ ওই উপহারে, ভারতের উত্তর-পূর্বের ৭ রাজ্যকে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত করে এক নতুন মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে৷
advertisement
ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক বর্তমানে তলানিতে৷ ঠিক তেমনই শেখ হাসিনার সরকার পরে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের নতুন অস্থায়ী সরকার কার্যত ভারত বিরোধী অবস্থানই নিয়েছে৷ এখন প্রশ্ন, এই ভাবে পাক সেনা আধিকারককে ইউনূসের এহেন মানচিত্র উপহার দেওয়া আদতে কি ভারতের জন্য বার্তা? এর মধ্যে কি লুকিয়ে রয়েছে কোনও অশনি সঙ্কেত? কী বলছে গোয়েন্দা সূত্র? আসলে কোন চাল চালতে চাইছেন ইউনূস, কিংবা পাকিস্তান৷ নাকি চিন?
advertisement
advertisement
সাম্প্রতিকতম সমীক্ষা বলছে, উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রায় ১৫৮ মিলিয়ন টন খনিজ তেল, ২৩ বিলিয়ন মেট্রিক টন প্রাকৃতিক জ্বালানি গ্যাস রয়েছে৷ এছাড়া, মেঘনা-ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকা থাকায় শুধুমাত্র উত্তর-পূর্ব ভারত থেকেই 65 GW জলবিদ্যুৎ তৈরি হতে পারে৷ খনিজ সম্পদের মধ্যে রয়েছে ১৪০০ মিলিয়ন টন লাইমস্টোন, রেয়ার আর্থ, গ্রাফাইট, ভ্যানাডিয়াম, লিথিয়াম এব কোবাল্ট৷ সূত্রের দাবি, এই সমস্ত খনিজ সম্পদ এবং বাণিজ্যিক করিডরের জন্য অর্থনৈতিক এবং ভূরাজনৈতিক আঙ্গিকে উত্তর-পূর্ব ভারত হচ্ছে ‘হটস্পট’ জোন৷ এর জন্যই বিদেশি শক্তি এত নাক গলাচ্ছে এখানে৷
advertisement
advertisement
বহুদিন ধরেই তাই পাকিস্তান থেকে চিন এই অঞ্চলের দখল নিতে মরিয়া৷ যা স্থানীয় গোষ্ঠী ও তাদের মধ্যেকার ঐতিহাসিক বিদ্রোহের জটিলতাকে আলাদা করে উস্কানি দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে৷ মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশের এই ভাবে সেভেন সিস্টারকে নিজের মানচিত্রের অন্তর্ভুক্ত করে দেখানো আসলে জল মাপার একটা সস্তা পদ্ধতি৷ পাকিস্তান, বাংলাদেশ (এবং চিনও) বুঝতে চাইছে, এলাকার মানুষ কতটা জাতীয়তাবাদী? পাশাপাশি, বিচ্ছিন্নতাবাদকেও পরোক্ষে উস্কানি দেওয়া হয়েছে এই উপায়ে৷
advertisement
ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে বঙ্গোপসাগর একটি সামুদ্রিক সংযোগস্থল। বাংলাদেশের উপকূল গভীর জলে প্রবেশাধিকার প্রদান করে এবং পশ্চিমি দেশগুলি জানে যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উপর যেকোনও চাপ ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য কৌশলগত সমস্যা তৈরি করতে পারে। "মানচিত্র, বিবৃতির মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে অন্য দেশের অংশ হিসেবে চিত্রিত করা আসলে সফট ওয়ার। ইউনূস পাকিস্তানের মাধ্যমে বোঝাতে চাইলেন যে ভারতের সীমান্ত আলোচনাযোগ্য এবং যেকোনও বহিরাগত শক্তিকে নিয়ে এ বিষয়ে আলোচনায় বসা যেতে পারে," সূত্র জানিয়েছে।
