সাপ পোষ মানানো থেকে ভূত তাড়ানো, ভারতে এখনও এই লোকনাচের সাহায্য নেওয়া হয় !
- Published by:Piya Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
ভারতবর্ষ এমন এক দেশ যার প্রতি রাজ্যে, প্রতি জেলায়, শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে অলিগলি- সর্বত্র ভিন্ন ধরনের সংস্কৃতির ছোঁওয়া দেখা যায়।
ভারতবর্ষ এমন এক দেশ যার প্রতি রাজ্যে, প্রতি জেলায়, শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে অলিগলি- সর্বত্র ভিন্ন ধরনের সংস্কৃতির ছোঁওয়া দেখা যায়। এই যেমন নাচের কথাই ধরুন না। যেমন শাস্ত্রীয় নৃত্যের ভাণ্ডার ভরা বৈচিত্র্যে, তেমনই লোকনৃত্যের প্রাচুর্যও কম নয়। এখনও এমন কয়েকটি অপূর্ব নৃত্যশৈলীর প্রচলন আছে এ দেশে, যা আমাদের কাছে প্রায় অজানা থেকে গেছে। দেখুন তো, এই দেশের এই লোকনাচের কথা আপনি আগে জানতেন কি না! photo source collected
advertisement
ছৌ: ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলায় এই ছৌ নৃত্য দেখা যায়, যা একাধারে নাচ এবং মার্শাল আর্টের এক পরিশীলিত রূপ। মনে করা হয় ছৌ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ছায়া থেকে। মূলত এই পৌরাণিক নাচ রামায়ণ ও মহাভারত থেকে অনুপ্রাণিত। যে হেতু এটি আঞ্চলিক নৃত্য, সে হেতু অঞ্চল ভেদে এর কিছু তফাৎ দেখা যায়। আর সেই তফাৎ করা হয় মুখোশের প্রকারভেদের উপর ভিত্তি করে। খোলা জায়গায় এই নাচ প্রদর্শিত হয়। photo source collected
advertisement
কালবেলিয়া : রাজস্থানের কালবেলিয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে এই নৃত্য জড়িত। এই নাচ ইউনেস্কো থেকেও স্বীকৃতি পেয়েছে। মূলত দলের মহিলারা এই নাচ করেন। এই সম্প্রদায়ের মূল জীবিকা হল সাপ ধরে তার বিষ বাজারে বিক্রি করা। সাপকে মন্ত্রমুগ্ধ করার জন্য এঁরা সাপের মতোই হেলেদুলে আকর্ষণীয় পোশাকে এই নাচ করে থাকেন। photo source collected
advertisement
advertisement
চোলিয়া : ছৌ-এর মতো এটিও একটি মার্শাল আর্ট মিশ্রিত নৃত্য। উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুনি সম্প্রদায় এই নাচ করেন। আগে এই নাচ বিয়ের সময় হত, এখন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও সম্পন্ন হয়। এই নাচের সঙ্গে এই সম্প্রদায়ের কিছু প্রাচীন বিশ্বাস জড়িত আছে। বলা হয়, এই নাচ করলে অশুভ আত্মা দূরে সরে যায় এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।photo source collected
advertisement
রউফ: এই নাচের জন্মস্থল হল জম্মু ও কাশ্মীর। খুব ধীর লয়ে অপূর্ব ভঙ্গিমায় এই নাচ করা হয়। তবে যখন-তখন এই নাচ অনুষ্ঠিত হয় না। এটি একটি বিশেষ নৃত্য। তাই বিয়ে বা ইদের মতো বিশেষ কোনও অনুষ্ঠানে এই নাচ হয়ে থাকে। নাচের সময় নৃত্যশিল্পীরা দুই দলে ভাগ হয়ে মুখোমুখি দাঁড়ান। চকরি বলে এক ধরনের কাব্যগীতির সুরে তার পর এই নাচ শুরু হয়।photo source collected