করোনা ভাইরাসকে ধ্বংস করবে একরত্তি মশার প্রোটিন, ভ্যাকসিন তৈরিতে নতুন দিশা
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
বিশ্বব্যাপী ১২ কোটিরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ
আচমকাই গিয়ার পরিবর্তন করেছে করোনাভাইরাস (Coronavirus)। কমতে থাকা কোভিড ১৯-এর (Covid 19) প্রভাব আরও একবার উর্ধ্বমুখী। বিশ্বের যে কয়টি দেশে ফের ফিরে এসেছে করোনা, সেগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম। দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ফের লকডাউন ঘোষণা করা হতে পারে বলে খবর। সেই আতঙ্কের মধ্যেই এক অন্য সুখবর শোনালেন গবেষকরা।
advertisement
আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের (National Institutes of Health) বিজ্ঞানী এবং তাঁদের সহযোগীরা সম্প্রতি এক গবেষণা রিপোর্ট সামনে এনেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে এক ধরনের মশার শরীরস্থ প্রোটিন ডেঙ্গি (Dengue), হলুদ জ্বর (Yellow Fever), জাইকা (Zika) রোগের সংক্রমণের কারণ যে সব ভাইরাস, তাদের প্রতিরোধ করতে সক্ষম। অনেকাংশে করোনাভাইরাসকে রুখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে এই প্রোটিন।
advertisement
গবেষকদের আবিষ্কৃত ওই মশার প্রোটিনের নাম এইজি১২ (AEG12) বলে জানানো হয়েছে। যা শক্তিশালী ভাইরাসের প্রো-অ্যাকটিভ কভার ভাঙতে সক্ষম বলে গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে। যে সব ভাইরাসের গায়ে আবরণ নেই, তাদের ধ্বংস করতে এই প্রোটিন ততটা কার্যকরী নয় বলেও জানানো হয়েছে। তবে এইজি১২ এমন ভাইরাসের কর্মক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে, যা কোটি কোটি মানুষকে অসহায় করে ফেলতে পারে বলে জানিয়েছেন আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের বিজ্ঞানীরা।
advertisement
গবেষণা সমৃদ্ধ সাম্প্রতিক এই রিপোর্ট পিএনএএসে (PNAS) অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে। এনআইএইচের অংশ হিসেবে আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এনভায়রনমেন্ট হেলথ সায়েন্সের (National Institute of Environmental Health Sciences or NIEHS) তরফে জানানো হয়েছে, এক্স-রে (X-ray) ক্রিস্টালোগ্র্যাফির (Crystallography) মাধ্যম মশার ওই প্রোটিনের চরিত্র অনুধাবন করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, লিপিড খাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে এইজি১২।
advertisement
প্রাণঘাতী ভাইরাসের আবরণ থেকে সেই লিপিড সংগ্রহ করা এইজি১২-এর কাছে অতি সহজ কাজ বলে জানানো হয়েছে। যদিও এর প্রয়োগের ক্ষেত্রে আরও খানিকটা সময় অতিবাহিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। কারণ মশার ওই প্রোটিনে এমনও উপাদান থাকে, যা মানবশরীরে লাল রক্তকণিকাকে ভেঙে দিতে পারে। সেগুলি ছেঁকে ফেলে দেওয়াই গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
advertisement
বিশ্বব্যাপী ১২ কোটিরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ। কেবল আমেরিকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন কোটিরও বেশি মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ মানুষ। ভারতে কোভিড ১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ১৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ।