বসন্তে প্রকৃতির উর্বরতা বাড়াতে, নিজেরা ভাল থাকতে এই দেশে বসে নগ্ন উৎসবের আসর

Last Updated:
যে দেবতা সংসারের যাবতীয় সৃষ্টির অধিপতি, যাঁর ইচ্ছায় নিরন্তর সক্রিয় থাকে কামচক্র, তাঁর সন্নিধানে নগ্নাবস্থায় গমন পৃথিবীর অনেক প্রাচ
1/8
জাপান: আপাতদৃষ্টিতে দেখলে অদ্ভুত মনে হতে পারে বটে! কিন্তু যে দেবতা সংসারের যাবতীয় সৃষ্টির অধিপতি, যাঁর ইচ্ছায় নিরন্তর সক্রিয় থাকে কামচক্র, তাঁর সন্নিধানে নগ্নাবস্থায় গমন পৃথিবীর অনেক প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে।
জাপান: আপাতদৃষ্টিতে দেখলে অদ্ভুত মনে হতে পারে বটে! কিন্তু যে দেবতা সংসারের যাবতীয় সৃষ্টির অধিপতি, যাঁর ইচ্ছায় নিরন্তর সক্রিয় থাকে কামচক্র, তাঁর সন্নিধানে নগ্নাবস্থায় গমন পৃথিবীর অনেক প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে।
advertisement
2/8
জাপান পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর যখন শীত শেষ হয়ে বসন্তের আগমনবার্তা রটে যায় প্রকৃতির শরীরে, তখন নিজেদেরও প্রায় নগ্নাবস্থায় দৈবী উপাসনায় সামিল করেন হোনশু দ্বীপের পুরুষেরা। এই উৎসবকে বলা হয়ে থাকে হাদাকা মাৎসুরি। প্রসঙ্গত, যে কোনও বয়সের পুরুষ এখানে অংশগ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু নারীদের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ধর্মীয় অধিকার দেওয়া হয়নি।
জাপান পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর যখন শীত শেষ হয়ে বসন্তের আগমনবার্তা রটে যায় প্রকৃতির শরীরে, তখন নিজেদেরও প্রায় নগ্নাবস্থায় দৈবী উপাসনায় সামিল করেন হোনশু দ্বীপের পুরুষেরা। এই উৎসবকে বলা হয়ে থাকে হাদাকা মাৎসুরি। প্রসঙ্গত, যে কোনও বয়সের পুরুষ এখানে অংশগ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু নারীদের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ধর্মীয় অধিকার দেওয়া হয়নি।
advertisement
3/8
হোনশু সমুদ্র দিয়ে ঘেরা জাপানের এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ। এই দ্বীপের লোকবসতিও বেশ ভালো রকমের! বলা হয় যে ইন্দোনেশিয়ার পরে এই দ্বীপেই সব চেয়ে বেশি জনবসতি প্রত্যক্ষ করা যায়। ঘন জনবসতির দিক থেকে হোনশু বিশ্বে সপ্তম দ্বীপের স্থান অধিকার করেছে।
হোনশু সমুদ্র দিয়ে ঘেরা জাপানের এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ। এই দ্বীপের লোকবসতিও বেশ ভালো রকমের! বলা হয় যে ইন্দোনেশিয়ার পরে এই দ্বীপেই সব চেয়ে বেশি জনবসতি প্রত্যক্ষ করা যায়। ঘন জনবসতির দিক থেকে হোনশু বিশ্বে সপ্তম দ্বীপের স্থান অধিকার করেছে।
advertisement
4/8
যে মন্দিরে এই অভূতপূর্ব উৎসবের আসর বসে, তার নাম সাইদাই জি। বলা হয় বটে নগ্ন উৎসব, কিন্তু এখানে ভক্তরা সম্পূর্ণ নগ্নাবস্থায় থাকেন না। স্বচ্ছ, সাদা এক রেশমি বস্ত্রের মাধ্যমে তাঁরা শুধু আবৃত করে রাখেন নিজের যৌনাঙ্গ, নিতম্ব থাকে অনাবৃত। প্রচলিত বিশ্বাস- এই উৎসব পালনের মাধ্যমে প্রকৃতির উর্বরতা বাড়বে, শস্যের ফলন বাড়বে। পাশাপাশি, দেবতা প্রসন্ন হলে সুখে পরিপূর্ণ হবে জীবনও।
যে মন্দিরে এই অভূতপূর্ব উৎসবের আসর বসে, তার নাম সাইদাই জি। বলা হয় বটে নগ্ন উৎসব, কিন্তু এখানে ভক্তরা সম্পূর্ণ নগ্নাবস্থায় থাকেন না। স্বচ্ছ, সাদা এক রেশমি বস্ত্রের মাধ্যমে তাঁরা শুধু আবৃত করে রাখেন নিজের যৌনাঙ্গ, নিতম্ব থাকে অনাবৃত। প্রচলিত বিশ্বাস- এই উৎসব পালনের মাধ্যমে প্রকৃতির উর্বরতা বাড়বে, শস্যের ফলন বাড়বে। পাশাপাশি, দেবতা প্রসন্ন হলে সুখে পরিপূর্ণ হবে জীবনও।
advertisement
5/8
আমাদের দেশে যেমন তীর্থক্ষেত্রে পুণ্যস্নানের রেওয়াজ রয়েছে, হোনশু দ্বীপেও তা হয়। সবার প্রথমে সাইদাই জি মন্দিরে আগত ভক্তরা পুণ্যকুণ্ডের হিমশীতল জলে স্নান সেরে ওঠেন। এর পর সিক্ত শরীরে তাঁরা সমবেত হন মন্দির প্রাঙ্গনে, শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।
আমাদের দেশে যেমন তীর্থক্ষেত্রে পুণ্যস্নানের রেওয়াজ রয়েছে, হোনশু দ্বীপেও তা হয়। সবার প্রথমে সাইদাই জি মন্দিরে আগত ভক্তরা পুণ্যকুণ্ডের হিমশীতল জলে স্নান সেরে ওঠেন। এর পর সিক্ত শরীরে তাঁরা সমবেত হন মন্দির প্রাঙ্গনে, শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।
advertisement
6/8
মন্দিরের সর্বোচ্চ তল থেকে এবার পুরোহিত একটি উইলো গাছের শাখা সমবেত ভক্তদের ভিড় লক্ষ্য করে ছুড়ে দেন। তা লুফে নেওয়ার জন্য চলতে থাকে হুড়োহুড়ি। পরের ধাপে পুরোহিত দু'টি কাঠের লাঠি ছুড়ে দেন। বলা হয়, যাঁরা এই লাঠি বা গাছের শাখা লুফে নিতে পারবেন, তাঁদের সারা বছর সুখে, স্বচ্ছলতায় কাটবে।
মন্দিরের সর্বোচ্চ তল থেকে এবার পুরোহিত একটি উইলো গাছের শাখা সমবেত ভক্তদের ভিড় লক্ষ্য করে ছুড়ে দেন। তা লুফে নেওয়ার জন্য চলতে থাকে হুড়োহুড়ি। পরের ধাপে পুরোহিত দু'টি কাঠের লাঠি ছুড়ে দেন। বলা হয়, যাঁরা এই লাঠি বা গাছের শাখা লুফে নিতে পারবেন, তাঁদের সারা বছর সুখে, স্বচ্ছলতায় কাটবে।
advertisement
7/8
উল্লেখ না করলেই নয়- এই উৎসবটির মেয়াদ কিন্তু খুব বেশি নয়। পুণ্যতিথিতে মাত্র আধঘণ্টার জন্য সাইদাই জি মন্দিরে এ হেন হাদাকা মাৎসুরির আসর বসে। অনুষ্ঠান চলাকালীন কলরবে মুখরিত হয় উৎসব প্রাঙ্গন, উৎসব শেষ হলে লাঠি আর গাছের শাখা লুফে নেওয়ার ধাক্কাধাক্কিতে অনেকের শরীরে আঁচড়ের দাগও দেখা যায়। কিন্তু ভক্তরা তা গ্রাহ্য করেন না।
উল্লেখ না করলেই নয়- এই উৎসবটির মেয়াদ কিন্তু খুব বেশি নয়। পুণ্যতিথিতে মাত্র আধঘণ্টার জন্য সাইদাই জি মন্দিরে এ হেন হাদাকা মাৎসুরির আসর বসে। অনুষ্ঠান চলাকালীন কলরবে মুখরিত হয় উৎসব প্রাঙ্গন, উৎসব শেষ হলে লাঠি আর গাছের শাখা লুফে নেওয়ার ধাক্কাধাক্কিতে অনেকের শরীরে আঁচড়ের দাগও দেখা যায়। কিন্তু ভক্তরা তা গ্রাহ্য করেন না।
advertisement
8/8
গত বছরেও জাপানের এই উৎসবে ১০ হাজার ভক্তসমাগম হয়েছিল। চলতি বছরে করোনাবিধির কথা মাথায় রেখে খুব অল্পসংখ্যক ভক্তের উপস্থিতিতে উদযাপন করা হয় এই ধর্মীয় কৃত্য। তবে জাপান আশাবাদী- সব সমস্যা দূর করে আবার পরের বছরে ভক্তের ঢল নামবে হাদাকা মাৎসুরি উপলক্ষ্যে।
গত বছরেও জাপানের এই উৎসবে ১০ হাজার ভক্তসমাগম হয়েছিল। চলতি বছরে করোনাবিধির কথা মাথায় রেখে খুব অল্পসংখ্যক ভক্তের উপস্থিতিতে উদযাপন করা হয় এই ধর্মীয় কৃত্য। তবে জাপান আশাবাদী- সব সমস্যা দূর করে আবার পরের বছরে ভক্তের ঢল নামবে হাদাকা মাৎসুরি উপলক্ষ্যে।
advertisement
advertisement
advertisement