Actress Mysterious Death: বাংলার চোখের মণি, একরাতে গায়ে হঠাৎ আগুন, রহস্যজনক ‘দুর্ঘটনা’য় ২৭-এই সব শেষ! তাপস-নায়িকার করুণ পরিণতি

Last Updated:
Actress Mysterious Death: মাত্র ২৭-তেই সব শেষ। সেই মৃত্যু আজও রহস্যে মোড়া। কত প্রশ্নের যে উত্তর পাওয়া যায়নি। কেবল বুকে গভীর যন্ত্রণা নিয়ে রয়েছেন নায়িকার কাছের মানুষেরা। এবং অবশ্যই তাঁর ভক্তরা।
1/12
কেবল বাংলার নয়, হতে পারতেন দেশের সেরা নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু মাত্র ২৭-তেই সব শেষ। সেই মৃত্যু আজও রহস্যে মোড়া। কত প্রশ্নের যে উত্তর পাওয়া যায়নি। কেবল বুকে গভীর যন্ত্রণা নিয়ে রয়েছেন নায়িকার কাছের মানুষেরা। এবং অবশ্যই তাঁর ভক্তরা।
কেবল বাংলার নয়, হতে পারতেন দেশের সেরা নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু মাত্র ২৭-তেই সব শেষ। সেই মৃত্যু আজও রহস্যে মোড়া। কত প্রশ্নের যে উত্তর পাওয়া যায়নি। কেবল বুকে গভীর যন্ত্রণা নিয়ে রয়েছেন নায়িকার কাছের মানুষেরা। এবং অবশ্যই তাঁর ভক্তরা।
advertisement
2/12
তিনি মহুয়া রায়চৌধুরী। তাপস পালের সঙ্গে ‘দাদার কীর্তি’ ছাড়াও ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’-এর মতো বক্স অফিসে ঝড় তোলা বেশ কিছু ছবি দিয়ে তাঁকে মনে রেখেছে বাংলার দর্শক।
তিনি মহুয়া রায়চৌধুরী। তাপস পালের সঙ্গে ‘দাদার কীর্তি’ ছাড়াও ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’-এর মতো বক্স অফিসে ঝড় তোলা বেশ কিছু ছবি দিয়ে তাঁকে মনে রেখেছে বাংলার দর্শক।
advertisement
3/12
অভিনয়-জীবন যখন মধ্যগগনে, তখনই পালিয়ে বিয়ে করে নেন প্রেমিকের সঙ্গে। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিলক চক্রবর্তীর সঙ্গে সংসার শুরু করেন নায়িকা।
অভিনয়-জীবন যখন মধ্যগগনে, তখনই পালিয়ে বিয়ে করে নেন প্রেমিকের সঙ্গে। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিলক চক্রবর্তীর সঙ্গে সংসার শুরু করেন নায়িকা।
advertisement
4/12
১৯৭৬ সালে বিয়ে, তার পরের বছরই ২৪ সেপ্টেম্বরেই মা হলেন মহুয়া৷ ছেলের নাম রেখেছিলেন গোলা৷ ভাল নাম তমাল৷ ঘনিষ্ঠ-বৃত্তের মানুষেরা বলেন, মহুয়া নাকি ছেলেপাগল ছিলেন।
১৯৭৬ সালে বিয়ে, তার পরের বছরই ২৪ সেপ্টেম্বরেই মা হলেন মহুয়া৷ ছেলের নাম রেখেছিলেন গোলা৷ ভাল নাম তমাল৷ ঘনিষ্ঠ-বৃত্তের মানুষেরা বলেন, মহুয়া নাকি ছেলেপাগল ছিলেন।
advertisement
5/12
সারাক্ষণ গোলার গল্প করতেন কাজে গিয়েও। এমনকি মৃত্যুশয্যাতেও কেবল ছেলের কথা বলে চলেছিলেন। কিন্তু ছোট্ট গোলাকে রেখেই চলে যেতে হল মহুয়াকে।
সারাক্ষণ গোলার গল্প করতেন কাজে গিয়েও। এমনকি মৃত্যুশয্যাতেও কেবল ছেলের কথা বলে চলেছিলেন। কিন্তু ছোট্ট গোলাকে রেখেই চলে যেতে হল মহুয়াকে।
advertisement
6/12
১৯৮৫-এর এক রাতে ঘটে গেল সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা। যাকে আজও ‘দুর্ঘটনা’ বলে মেনে নিতে রাজি নন কাছের মানুষেরা। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মহুয়াকে।
১৯৮৫-এর এক রাতে ঘটে গেল সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা। যাকে আজও ‘দুর্ঘটনা’ বলে মেনে নিতে রাজি নন কাছের মানুষেরা। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মহুয়াকে।
advertisement
7/12
১০ দিন টানা লড়াই করেছিলেন তিনি। তারপরেও শেষ রক্ষ হয়নি। মৃত্যুকালে তিনি বয়ান দিয়েছিলেন, অসাবধনাতাবশত গায়ে আগুন লেগে যায়।
১০ দিন টানা লড়াই করেছিলেন তিনি। তারপরেও শেষ রক্ষ হয়নি। মৃত্যুকালে তিনি বয়ান দিয়েছিলেন, অসাবধনাতাবশত গায়ে আগুন লেগে যায়।
advertisement
8/12
বাড়ির লোকেদের থেকেও শোনা যায়, তিনি নাকি ছেলের জন্য দুধ গরম করার জন্য স্টোভের কাছে গিয়েছিলেন। স্টোভ ফেটেই দুর্ঘটনা হয়েছিল নাকি।
বাড়ির লোকেদের থেকেও শোনা যায়, তিনি নাকি ছেলের জন্য দুধ গরম করার জন্য স্টোভের কাছে গিয়েছিলেন। স্টোভ ফেটেই দুর্ঘটনা হয়েছিল নাকি।
advertisement
9/12
কিন্তু পরে তদন্তের সময় দেখা যায়, স্টোভে একফোঁটা কেরোসিন ছিল না। এদিকে মহুয়ার গায়ে কেরোসিনের গন্ধ ছিল। আর ছিল আঘাতের চিহ্ন। তাঁর স্বামীর শরীরেও আঘাতের চিহ্ন।
কিন্তু পরে তদন্তের সময় দেখা যায়, স্টোভে একফোঁটা কেরোসিন ছিল না। এদিকে মহুয়ার গায়ে কেরোসিনের গন্ধ ছিল। আর ছিল আঘাতের চিহ্ন। তাঁর স্বামীর শরীরেও আঘাতের চিহ্ন।
advertisement
10/12
ঘনিষ্ঠদের দাবি, সেই রাতে নাকি স্বামীর সঙ্গে বিবাদ হয়েছিল মহুয়ার। এমনিতেই তাঁদের দাম্পত্য নাকি অনেকদিন ধরেই টালমাটাল অবস্থায় ছিল।
ঘনিষ্ঠদের দাবি, সেই রাতে নাকি স্বামীর সঙ্গে বিবাদ হয়েছিল মহুয়ার। এমনিতেই তাঁদের দাম্পত্য নাকি অনেকদিন ধরেই টালমাটাল অবস্থায় ছিল।
advertisement
11/12
তার উপরে টলিপাড়ার বক্তব্য ছিল, মহুয়ার জীবনে একাধিক বিশেষ বন্ধুর আগমন হওয়া নিয়ে সমস্যা লেগেই থাকত। তা ছাড়া অবসাদের জেরে সুরাপানও শুরু করেছিলেন নায়িকা।
তার উপরে টলিপাড়ার বক্তব্য ছিল, মহুয়ার জীবনে একাধিক বিশেষ বন্ধুর আগমন হওয়া নিয়ে সমস্যা লেগেই থাকত। তা ছাড়া অবসাদের জেরে সুরাপানও শুরু করেছিলেন নায়িকা।
advertisement
12/12
প্রশ্ন করেন অনেকে, মৃত্যুকালে ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই কি মহুয়া চুপ করে ছিলেন? তাঁর বয়ান নিয়ে আজও হাজার হাজার প্রশ্ন। রয়ে গিয়েছে মহুয়ার ছবি, স্মৃতি, কিন্তু বাংলা হারিয়েছে তার চোখের মণিকে।
প্রশ্ন করেন অনেকে, মৃত্যুকালে ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই কি মহুয়া চুপ করে ছিলেন? তাঁর বয়ান নিয়ে আজও হাজার হাজার প্রশ্ন। রয়ে গিয়েছে মহুয়ার ছবি, স্মৃতি, কিন্তু বাংলা হারিয়েছে তার চোখের মণিকে।
advertisement
advertisement
advertisement