‘ওঁর ছোঁয়াতেই আমি...’ অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে রোম্যান্টিক দৃশ্যের জন্য নিজের ব্লাউজ আঁটোসাঁটো করে সেলাই করাতে বলেছিলেন হেমা, ‘বাগবান’ ছবির সময় এ কী বলেছিলেন বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’?
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
সম্প্রতি ছবির পরিচালক রবি চোপড়ার স্ত্রী রেণু চোপড়া জানিয়েছেন যে, এই ছবির কাজে নিজেকে একেবারে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’। শুধু পূজা চরিত্রটিকেই জীবন্ত করে তোলেননি হেমা, সেই সঙ্গে রাজ ও পূজার সম্পর্কটাকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
রবি চোপড়া পরিচালিত ‘বাগবান’ ২০০৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল। সম্পূর্ণ রূপে পারিবারিক এই ছবিতে ছিলেন একাধিক তারকা। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, হেমা মালিনী, সলমন খান এবং মহিমা চৌধুরী। মুক্তির পর বক্স অফিসে চূড়ান্ত সাফল্য পেয়েছিল ‘বাগবান’। রাজ এবং পূজা মালহোত্রার চরিত্রে রীতিমতো নিজেদের বলিষ্ঠ অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন অমিতাভ বচ্চন এবং হেমা মালিনী।
advertisement
advertisement
পিঙ্কভিলা-র সঙ্গে সাম্প্রতিক এক আলাপচারিতায় রেণু বলেন যে, “একটা দৃশ্য ছিল, যেখানে পূজা-রূপী হেমা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সেজে তৈরি হচ্ছিলেন। আর পিছন থেকে আসছেন রাজ তথা অমিতাভ। স্ত্রী-কে দেখে বলছেন, বাহ! এই দৃশ্যের জন্য হেমা নিজের ব্লাউজ আঁটোসাঁটো করে সেলাই করাতে বলেছিলেন। যাতে অমিতজি এসে ব্লাউজটা আরও আঁটোসাঁটো করে বাঁধতে পারেন।
advertisement
advertisement
অথচ পূজা চরিত্রে কিন্তু প্রথম পছন্দ হেমা ছিলেন না। এই প্রসঙ্গে রেণু আরও বলে চলেন যে, “প্রথমে বাগবান ছবিতে অমিতজির স্ত্রী তথা পূজার চরিত্রটায় টাবুকেই ভেবেছিলেন তিনি। টাবু নিজেও চরিত্রটি বেশ পছন্দ করেছিলেন। কারণ মাত্র ৩৬ বছর বয়সে চারটে বড় বড় ছেলের মায়ের চরিত্রের জন্য রাজি হননি অভিনেত্রী। সেই কারণে বিনয়ের সঙ্গে ছবির অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন টাবু।”
advertisement
এর আগে ভারতী এস প্রধানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে হেমা মালিনী জানিয়েছিলেন যে, একপ্রকার মায়ের জোরাজুরিতেই এই চরিত্রটি হাতে নিয়েছিলেন হেমা মালিনী। হেমার কথায়, “বাগবান ছবির মহরতের আগে বিআর চোপড়া আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে, তিনি চান যেন আমি আমার চরিত্রটি নিখুঁত ভাবে করি, ঠিক যেভাবে তিনি চান। উনি আমায় গল্পটি শুনিয়েছিলেন এবং আমার মনে হয়, ওটাই ছিল ওঁর আশীর্বাদ। যার জন্য ছবিটি ভাল ফল করেছে। আজ পর্যন্ত এই ছবি নিয়ে মানুষ চর্চা করেন। আমার মনে আছে, আমি যখন রবি চোপড়ার থেকে গল্পটি শুনছিলাম, তখন আমার মা-ও আমার সঙ্গে বসেছিলেন। উনি চলে যাওয়ার পর আমি বলেছিলেন, এত বড় বড় চারজন ছেলের মায়ের চরিত্র করতে বলা হচ্ছে। কিন্তু আমি কীভাবে এসব করব? আমার মা বলেছিলেন, ‘না না, তোমায় এটা করতেই হবে। কারণ গল্পটা খুবই ভাল’।”