বড় খবর! সুশান্ত মামলায় রাজসাক্ষী সিদ্ধার্থ পিঠানি ও রাঁধুনী নীরজ, খুনের মামলা রুজু করতে পারে CBI
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
সূত্রের খবর, সুশান্ত মালায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে নয়া মোড়! সূত্রের খবর, সুশান্ত মামলায় প্রয়াত অভিনেতার বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি ও রাঁধুনী নীরজকে রাজসাক্ষী করতে পারে CBI, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় তাঁদের স্টেটমেন্ট ফাইল করা হবে। সূত্রের খবর, সুশান্ত মালায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ।
advertisement
কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের? ১৪ জুনের পর এই একটা প্রশ্নের উত্তর জানতে মরিয়া গোটা দেশ! গত ১৪ জুন দেহ উদ্ধারের পর মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালের মর্গেই সুশান্তের ময়নাতদন্ত হয়। ১৫ জুন কুপার হাসপাতালের ৫ চিকিৎসকের একটি টিম জানান, অ্যাসফ্যাক্সিয়া অর্থাৎ বেশিক্ষণ ঝুলন্ত অবস্থায় থাকার কারণেই মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। কিন্তু পুলিশের এহেন দাবি মেনে নেননি সুশান্তের পরিবার, অনুরাগীরা। বারবার সামনে এসেছে একাধিক অসঙ্গতি। এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে! অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের চৌহদ্দি পেরিয়ে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তভার পায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই!
advertisement
advertisement
সুশান্তের পরিবার ও অনুরাগীরা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, বিষপ্রয়োগ করে খুন করা হয়েছে অভিনেতাকে। সত্যিই কি তাই ? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পর সুশান্তের ভিসেরা রিপোর্ট পরীক্ষা করে মৃত্যুর কারণ নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয় দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস AIIMS-এর বিশেষজ্ঞ দলকে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি সিবিআই-কে ভিসেরা পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিয়েছে AIIMS সেখানে সাফ জানানো হয়েছে, অভিনেতার উপর বিষপ্রয়োগের কোনও প্রমাণ মেলেনি।
advertisement
অন্যদিকে, সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট-ও ফের পরীক্ষা করে দেখে AIIMS-এর চিকিৎসকরা। চিকিৎসক সুধীর গুপ্তর নেতৃত্বে সুশান্ত সিং রাজপুতের নেতৃত্বে অটোপসি রিপোর্ট ও ভিসেরা রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে এই বিশেষ দলটি তৈরি করা হয়েছিল। মুম্বইয়ের ক্যুপার হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছিল সুশান্ত আত্মহত্যাই করেছেন। সূত্রের খবর এই রিপোর্ট নিয়ে দ্বিধাই জানিয়েছে এইমএস-এর চিকিৎসক প্যানেল। প্যানেলের প্রশ্ন, যদি কেউ গলায় ফাঁস দেয় তবে তার ঘাড়ের ওপর দিকে সেই ফাঁসটি থাকবে। সুশান্তের ক্ষেত্রে তা নীচে ঝুলে গেল কী করে? সেক্ষেত্রে কী করে এত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া গেল? কোনও 'ফাউল প্লে' হয়নি তো? ক্যুপার হাসপাতালের পাশাপাশি মুম্বইয় পুলিশের দাবি নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। সেই ধোঁয়াশার কথাও সিবিআই-কে জানিয়েছেন এইমস-এর বিশেষজ্ঞরা। বোর্ডের আরও প্রশ্ন, কেন অটোপসি রিপোর্টে মৃত্যুর সময় নেই!