Bollywood: বাবা-স্বামীর অত্যাচার, মদের নেশা, ভারতের সবথেকে ধনী নায়িকার মৃত্যুর পর হাসপাতালের বিল মেটানোর টাকা ছিল না...
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
১৯৫০ সাল নাগাদ বলিউডে এক-সে-বরকর-এক নায়িকাদের জোরদার প্রতিযোগিতা। মধুবালা, ওয়াহিদা রহমান, নূতন...! কোন-ও নায়িকার স্টারডম ছিল, কোন-ও নায়িকা আবার বক্স-অফিসে সফল ছিলেন। একমাত্র একজন নায়িকাই ছিলেন, যিনি এককথায় 'কমপ্লিট প্যাকেজ' ছিলেন। মীনা কুমারী
advertisement
advertisement
৫০-৬০ দশকে ভারতের সবথেকে সফল এবং ধনী নায়িকা হয়ে ওঠেন মীনা কুমারী। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে ঠিক ততটাই গুমড়াচ্ছিলেন তিনি। ১৯৩৩ সালে জন্ম মীনা কুমারীর। তখন তাঁর নাম ছিল মেহজবিন। বাবা আলি বক্স, মা ইকবাল বেগম। বাবা পুত্র সন্তান চেয়েছিলেন। মেয়ে হওয়ায় তাকে অনাথাশ্রমে রেখে আসেন। পরে অবশ্য বাড়ি নিয়ে আসেন মেয়েকে, কিন্তু সারাজীবন-ই মেয়ে-বাবার সম্পর্ক তিক্ত ছিল।
advertisement
advertisement
advertisement
ব্যক্তিগত জীবন জর্জরির হলেও কেরিয়ার ছিল সোনায় মোড়া। 'তামাশা'য় মীনা কুমারীর অভিনয় আজ-ও ভোলেনি দর্শক। সাড়া ফেলল ১৯৫২-র 'বাইজু বাওরা'। ৫০-এর দশকে একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবি-- 'পরীনিতা', 'চাঁদনি চওক', 'আজাদ', 'এক হি রাস্তা'। 'শারদা', 'শাহারা', ' দিল আপনা অওর প্রিত পরাই', 'কাজল', 'সাহেব বিবি অওর ঘুলাম' ছবির হাত ধরে তিনি হয়ে উঠলেন 'ট্র্যাজেডি ক্যুইন'। ৬০-এর দশকের শুরুতে তাঁকে টেক্কা দেওয়ার আর কেউ ছিল না। হিরোরা-ও তাঁর কাছে হার মানতেন।
advertisement
advertisement
advertisement
১৯৭১ সালে তাঁর লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে। শরীর খারাপের মধ্যেও জীবনের সবথেকে বড় ছবি 'পাকিজা' শ্যুট করেন মীনা কুমারী। ১৯৭২ সালে ছবিটি মুক্তি পায়, এর কয়েক সপ্তাহ বাদেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মীনা কুমারী। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর। একসময়ে ভারতের সবথেকে ধনী নায়িকার হাসপাতালের বিল দেওয়ার টাকাও ছিল না।