Shefali Jariwala Death: বয়স কমানোই কি কাল হল? শেফালির মৃত্যুর পর ফাঁস হল 'বিগ সিক্রেট! ৭ বছর ধরে গোপনে যা করছিলেন 'কাঁটা লাগা' গার্ল...

অভিনেত্রী ও মডেল শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যু সকলকে হতবাক করে দিয়েছে। মাত্র ৪২ বছর অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন অভিনেত্রী।

সূত্রের খবর অনুসারে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেফালির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ বিভিন্ন দিক থেকে মৃত্যুর তদন্ত শুরু করছে। পুলিশের তদন্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। তদন্তে জানা গেছে যে শেফালি গত ৭-৮ বছর ধরে নিয়মিতভাবে বার্ধক্য বিরোধী ওষুধ সেবন করছিলেন।

২৭ জুন, তার বাড়িতে একটি পূজার আয়োজন করা হয়েছিল, যার কারণে শেফালি উপবাস করছিলেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও একই দিন বিকেলে তিনি বার্ধক্য বিরোধী ওষুধের ইনজেকশন নেন।

কয়েক বছর আগে একজন ডাক্তারের পরামর্শে শেফালিকে এই ওষুধটি দেওয়া হয়েছিল এবং তারপর থেকে তিনি প্রতি মাসে এই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

পুলিশ সন্দেহ করছে যে এই ওষুধটি তার আকস্মিক মৃত্যুর একটি বড় কারণ হতে পারে, যার ফলে হৃদরোগ হয়। ঘটনার সময়, রাত ১০ থেকে ১১ টার মধ্যে,শেফালির স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি ঘটে, তারপর সারা শরীর কাঁপতে শুরু করে এবং সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

শেফালিকে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার সময় শেফালির স্বামী পরাগ ত্যাগী, মা এবং পরিবারের আরও কিছু সদস্য বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। ফরেনসিক দল তার বাড়ি থেকে বিভিন্ন ধরণের ওষুধ বাজোয়াপ্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-এজিং ভায়াল, ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট এবং গ্যাস্ট্রিক সম্পর্কিত নানা ওষুধ।

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত পুলিশ এই মামলায় ৮ জনের জবানবন্দি রেকর্ড করেছে, যার মধ্যে পরিবারের সদস্য, গৃহকর্মী এবং বেলভিউ হাসপাতালের ডাক্তার রয়েছেন। তদন্ত চলাকালীন কোনও ধরণের বিরোধ বা ঝগড়ার কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

পুলিশ এবং ফরেনসিক দল এখন পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এবং ওষুধের ল্যাব পরীক্ষার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যায়। এই মামলায় তদন্ত চলছে এবং শীঘ্রই একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গভীর রাতে হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এর পরেই স্বামী পরাগ ত্যাগী এবং আরও তিনজন তাকে মুম্বাইয়ের বেলভিউ মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।