শুধুই ‘সংস্কারী বাবুজি’? এর বাইরেও আছে অলোক নাথের আলাদা পরিচয়, রুপোলি পর্দা তোলপাড় করেছিল তাঁর আর টিনা মুনিমের ‘দুঃসাহসিক’ দৃশ্য

Last Updated:
৩০ বছর বয়সে অলোক নাথের জীবনে এক মোড় আসে যখন তাঁকে একজন বৃদ্ধ বাবার ভূমিকায় অভিনয় করতে বাধ্য করা হয়।
1/5
অলোক নাথের নাম শুনলেই প্রথমেই যে চরিত্রটি মনে আসে তা হল একজন শান্ত, বিচক্ষণ এবং অত্যন্ত সংস্কৃতিবান বাবার! হিন্দি ছবির এই বাবুজি পরিবারের প্রতিটি সদস্যের যত্ন নেন, পুত্রবধূদের আশীর্বাদ করেন এবং ছেলেদের সঠিক পথে চলতে শেখান। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে এই 'বাবুজি' বলিউডে নায়ক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বই এসেছিলেন! অলোক নাথের জন্ম ১৯৫৬ সালের ১০ জুলাই বিহারের খাগারিয়া জেলায়। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি খুব বেশি আগ্রহ ছিল। পড়াশোনায় খুব একটা মন ছিল না। এই আগ্রহই তাঁকে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় (এনএসডি) নিয়ে আসে।
অলোক নাথের নাম শুনলেই প্রথমেই যে চরিত্রটি মনে আসে তা হল একজন শান্ত, বিচক্ষণ এবং অত্যন্ত সংস্কৃতিবান বাবার! হিন্দি ছবির এই বাবুজি পরিবারের প্রতিটি সদস্যের যত্ন নেন, পুত্রবধূদের আশীর্বাদ করেন এবং ছেলেদের সঠিক পথে চলতে শেখান। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে এই 'বাবুজি' বলিউডে নায়ক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বই এসেছিলেন! অলোক নাথের জন্ম ১৯৫৬ সালের ১০ জুলাই বিহারের খাগারিয়া জেলায়। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি খুব বেশি আগ্রহ ছিল। পড়াশোনায় খুব একটা মন ছিল না। এই আগ্রহই তাঁকে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় (এনএসডি) নিয়ে আসে।
advertisement
2/5
সেখান থেকে তিনি নিজের অভিনয় দক্ষতাকে আরও উন্নত করেন এবং তার পর সরাসরি মুম্বই চলে যান, যাতে তিনি একজন নায়ক হতে পারেন। ১৯৮২ সালে তিনি প্রথমবারের মতো 'গান্ধি' ছবিতে একটি ছোট ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। তিনি এর জন্য ২০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন।
সেখান থেকে তিনি নিজের অভিনয় দক্ষতাকে আরও উন্নত করেন এবং তার পর সরাসরি মুম্বই চলে যান, যাতে তিনি একজন নায়ক হতে পারেন। ১৯৮২ সালে তিনি প্রথমবারের মতো 'গান্ধি' ছবিতে একটি ছোট ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। তিনি এর জন্য ২০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন।
advertisement
3/5
সেই সময়ে অভিনেতার এই পারিশ্রমিক তাঁর বাবার বার্ষিক আয়ের চেয়েও বেশি ছিল। এরপর তিনি 'মশাল', 'সারাংশ', 'মোহরা'-র মতো অনেক ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে যান। ৩০ বছর বয়সে অলোক নাথের জীবনে এক মোড় আসে যখন তাঁকে একজন বৃদ্ধ বাবার ভূমিকায় অভিনয় করতে বাধ্য করা হয়। এই ভূমিকাটিই পরে তার রুপোলি পর্দায় পরিচয় হয়ে ওঠে। তিনি 'কয়ামত সে কয়ামত তক' ছবিতে আমির খানের বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেন এবং তার পর 'ম্যায়নে পেয়ার কিয়া' ছবিতে ভাগ্যশ্রীর বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেন। এখান থেকেই তিনি বলিউডে একটি নতুন তকমা পান- 'সংস্কারী বাবুজি'।
সেই সময়ে অভিনেতার এই পারিশ্রমিক তাঁর বাবার বার্ষিক আয়ের চেয়েও বেশি ছিল। এরপর তিনি 'মশাল', 'সারাংশ', 'মোহরা'-র মতো অনেক ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে যান। ৩০ বছর বয়সে অলোক নাথের জীবনে এক মোড় আসে যখন তাঁকে একজন বৃদ্ধ বাবার ভূমিকায় অভিনয় করতে বাধ্য করা হয়। এই ভূমিকাটিই পরে তার রুপোলি পর্দায় পরিচয় হয়ে ওঠে। তিনি 'কয়ামত সে কয়ামত তক' ছবিতে আমির খানের বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেন এবং তার পর 'ম্যায়নে পেয়ার কিয়া' ছবিতে ভাগ্যশ্রীর বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেন। এখান থেকেই তিনি বলিউডে একটি নতুন তকমা পান- 'সংস্কারী বাবুজি'।
advertisement
4/5
এরপর অনেক হিট ছবিতে বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’, ‘বিবাহ’, ‘পরদেস’, ‘তাল’-এর মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন জয় করেছে। টিভিতেও তিনি 'বুনিয়াদ', 'বিদাই', 'রিশতে'-র মতো ধারাবাহিকে দারুণ অভিনয় করেছেন। কিন্তু গত ৪৫ বছর ধরে তিনি একই ভাবমূর্তির মধ্যে আটকে আছেন। সেই কারণেই 'কামাগ্নি'-র মতো দুঃসাহসী ছবিতে তিনি এক বিতর্কিত চরিত্রে অভিনয় করতে দ্বিধা করেননি।
এরপর অনেক হিট ছবিতে বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’, ‘বিবাহ’, ‘পরদেস’, ‘তাল’-এর মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন জয় করেছে। টিভিতেও তিনি 'বুনিয়াদ', 'বিদাই', 'রিশতে'-র মতো ধারাবাহিকে দারুণ অভিনয় করেছেন।কিন্তু গত ৪৫ বছর ধরে তিনি একই ভাবমূর্তির মধ্যে আটকে আছেন। সেই কারণেই 'কামাগ্নি'-র মতো দুঃসাহসী ছবিতে তিনি এক বিতর্কিত চরিত্রে অভিনয় করতে দ্বিধা করেননি।
advertisement
5/5
এই ছবিতে টিনা মুনিমের সঙ্গে যৌন দৃশ্যে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তিনি আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। 'বিনাশক', 'ষড়যন্ত্র'-র মতো ছবিতে তিনি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। 'সোনু কে টিটু কে সুইটি' ছবিতে দেখা গিয়েছিল হাতে মদের গেলাস আর মুখে খারাপ কথার ফোয়ারা নিয়ে এক অন্য বাবুজিকে। ৩০০টিরও বেশি চলচ্চিত্র এবং ১৫টিরও বেশি টিভি শোতে অভিনয়ের এই যাত্রা খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক। বলিউডের নায়ক হননি, কিন্তু 'বাবুজি' হয়ে তিনি প্রতিটি পরিবারের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান তৈরি করেছেন, এটিই অলোক নাথের সবচেয়ে বড় জয়!
এই ছবিতে টিনা মুনিমের সঙ্গে যৌন দৃশ্যে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তিনি আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। 'বিনাশক', 'ষড়যন্ত্র'-র মতো ছবিতে তিনি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। 'সোনু কে টিটু কে সুইটি' ছবিতে দেখা গিয়েছিল হাতে মদের গেলাস আর মুখে খারাপ কথার ফোয়ারা নিয়ে এক অন্য বাবুজিকে। ৩০০টিরও বেশি চলচ্চিত্র এবং ১৫টিরও বেশি টিভি শোতে অভিনয়ের এই যাত্রা খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক। বলিউডের নায়ক হননি, কিন্তু 'বাবুজি' হয়ে তিনি প্রতিটি পরিবারের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান তৈরি করেছেন, এটিই অলোক নাথের সবচেয়ে বড় জয়!
advertisement
advertisement
advertisement