Visva Bharati Admission: হেরিটেজ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীতে ভর্তির দারুণ সুযোগ! ২০০ আসন ফাঁকা, দেখে নিন কোন বিভাগে কত?

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাণের জায়গা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। আজ থেকে কয়েক বছর পিছিয়ে গেলে এই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার জন্য দেশ-বিদেশের পড়ুয়ারা ছুটে আসতেন। পড়শি দেশ বাংলাদেশ থেকেও বহু ছাত্র-ছাত্রী এখানে শিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন দেখতেন। তবে এবার সেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার আগ্রহ দিন দিন কমছে! সূত্রের খবর স্নাতক ও স্নাতকোত্তরস্তর মিলিয়ে প্রায় ২০০টিরও বেশি আসন ফাঁকা। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাওয়া একমাত্র সচল কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারও ভর্তি নিয়ে পড়ুয়াদের আগ্রহ তেমন নেই? (ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়)

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে স্নাতকস্তরে প্রায় ১,৭৪০টি ও স্নাতকোত্তরস্তরে প্রায় ৬০০টি আসন নির্ধারিত ছিল। এর মধ্যে হিন্দি ভবনে ২০টি, সংস্কৃত বিভাগে ২৮টি, ওড়িয়া বিভাগে ১৫টি, তুলনামূলক ধর্ম বিভাগে ৪৫টি, অর্থনীতি বিভাগে ১৫টি, দর্শন বিভাগে ৩১টি আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে।

বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বলেন, "নানা কারণে এখনও পর্যন্ত আসন শূন্য রয়েছে। তবে নতুন করে ভর্তি প্রক্রিয়ায় জোরদার দেওয়া হচ্ছে। অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানদের পড়ুয়া ভর্তি বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। শুধু বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, গোটা দেশেই এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।" সুতরাং এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপনিও আপনার সন্তানকে বিশ্বভারতীতে ভর্তি করাতে পারবেন। ২০০ আসন যখন শূন্য তখন আশা করা যায় সুযোগ মিলতেও পারে সহজে।

একসময়ে গৌরবময় এই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক হিসেবে ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, অস্কারজয়ী সত্যজিৎ রায়, সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, মহাশ্বেতা দেবী, কবি নবনীতা দেবসেন, শিল্পী নন্দলাল বসু, রামকিঙ্কর বেইজ, বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর মতো স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গেরা। তবে বর্তমানে সেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবার সংকটের মুখে!

তবে শিক্ষাবিদ ও প্রাক্তনীরা মনে করছেন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র‍্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নিম্নমুখী হওয়াই পড়ুয়ারা তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। (ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়)