বিদেশে পড়তে যাওয়ার শখ? এই ৫ দেশে গেলে মোটা টাকার চাকরি একেবারে হাতে এসে যাবে! জানুন পদ্ধতি
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
Best Countries for Students to Study, Work, and Settle in 2025: কিছু দেশ আছে যেখানে শিক্ষার পর সরাসরি পেশাগত দুনিয়ায় প্রবেশের জন্য সুনির্দিষ্ট ও সহায়ক পথ রয়েছে। চলুন দেখে নিই, ২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের জন্য ক্যারিয়ারের সেরা সম্ভাবনাময় ৫টি দেশ!
advertisement
advertisement
কানাডা (CANADA)- কানাডা শুধু বন্ধুবৎসল সংস্কৃতির জন্যই নয়, কাজের সুযোগের দিক থেকেও আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের কাছে জনপ্রিয়। Co-op প্রোগ্রাম: পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীরা কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। PGWP (Post-Graduation Work Permit): ডিগ্রির মেয়াদ অনুযায়ী ৩ বছর পর্যন্ত কানাডায় থেকে কাজ করার সুযোগ। স্থায়ী বসবাসের রাস্তা: Express Entry ও Provincial Nominee Program-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই স্থায়ী নাগরিকত্বের পথে এগোতে পারেন। বুমিং সেক্টর: টেকনোলজি, স্বাস্থ্যসেবা ও ফিনান্সে চাকরির চাহিদা রয়েছে। (Photo: AI Generated Representative Image)
advertisement
জার্মানি (GERMANY)- জার্মানি বিশেষ করে STEM শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ: বিনামূল্যে পাবলিক ইউনিভার্সিটি ও শক্তিশালী ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমি। আবশ্যিক ইন্টার্নশিপ: ইঞ্জিনিয়ারিং ও অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সে ইন্টার্নশিপ বাধ্যতামূলক যা অনেকসময় পূর্ণকালীন চাকরিতে রূপ নেয়। ১৮ মাসের Job Search ভিসা: ডিগ্রির পর চাকরির সন্ধান করতে পাওয়া যায়। EU Blue Card: দক্ষ কাজ পেলে ইউরোপে দ্রুত বসবাসের অনুমতি মেলে। (Photo: AI Generated Representative Image)
advertisement
নেদারল্যান্ডস (NETHERLANDS) --নেদারল্যান্ডস হল এমন এক দেশ, যেখানে ইংরেজি ভাষায় উচ্চমানের শিক্ষা ও প্র্যাকটিকাল চাকরির সম্ভাবনা দুটোই পাওয়া যায়: Orientation Year Visa: ডিগ্রি শেষ হওয়ার পর ১ বছরের জন্য দেশে থাকার অনুমতি, চাকরির খোঁজে। ইংরেজি মাধ্যম কোর্স: অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে পড়ানো হয়। স্টার্টআপ ও টেক ইন্ডাস্ট্রি: AI, ফিনান্স, সাসটেইনেবিলিটি ইত্যাদি ক্ষেত্রে চাকরির চাহিদা বাড়ছে। (Photo: AI Generated Representative Image)
advertisement
অস্ট্রেলিয়া (AUSTRALIA) অস্ট্রেলিয়া উচ্চমানের জীবনযাত্রা ও বৈচিত্র্যময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিখ্যাত: Work-Integrated Learning (WIL): পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রি প্রজেক্ট ও ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ। Temporary Graduate Visa (Subclass 485): ২ থেকে ৪ বছর পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ ডিগ্রির উপর নির্ভর করে। Skilled Migration: যোগ্য হলে এই সময়ের মধ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদনও করা যায়। (Photo: AI Generated Representative Image)
advertisement
সিঙ্গাপুর (SINGAPORE) ছোট দেশ হলেও ক্যারিয়ারের দুনিয়ায় বিশাল প্রভাব রাখে: এশিয়ার টেক ও বিজনেস হাব: Google, Grab, DBS-এর মতো বহু কোম্পানি এখান থেকে ইন্টার্ন নেয়। ইন্টার্ন থেকে চাকরি: অনেক ইন্টার্নশিপ পরবর্তীতে চাকরিতে রূপ নেয়, বিশেষ করে ফিনটেক, এআই ও লজিস্টিক্সে। Employment Pass সিস্টেম: দক্ষ কর্মীদের জন্য দ্রুত ও স্বচ্ছ নিয়মে কাজের অনুমতি। (Photo: AI Generated Representative Image)
advertisement
কী জানা জরুরি? শুধু কোর্স র‍্যাঙ্ক নয়: পোস্ট-স্টাডি ভিসা অপশন, ইন্টার্নশিপের সুযোগ, ও কর্মজগতে প্রবেশের সুযোগ আগে থেকেই যাচাই করে নিন। নেটওয়ার্কিং & ক্যারিয়ার ফেয়ার: পড়ার শুরু থেকেই যুক্ত হতে হবে। শেষ সেমিস্টার পর্যন্ত অপেক্ষা করলে সুযোগ হারাতে পারেন। (Photo: AI Generated Representative Image)
advertisement
রিলেভ্যান্ট অভিজ্ঞতা: একটা ডিগ্রি যথেষ্ট নয়—দরকার অভিজ্ঞতা, যোগাযোগ এবং উপযুক্ত জায়গা। কানাডা, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুর—এই পাঁচটি দেশ শুধু আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায় না, বরং তাঁদের ভবিষ্যতের ওপর বিনিয়োগও করে। তাই যদি বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখেন, তবে এমন একটা গন্তব্য বেছে নিন, যা আপনাকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ক্লাসরুম থেকে ক্যারিয়ারের পথে এগোতে সাহায্য করবে। (Photo: AI Generated Representative Image)